অন্ধকারময় জীবন।
আসলে আমি যখন খুব ছোট, তিন চার মাস বয়স তখন রাতের অন্ধকার কি জিনিস তা বুঝতে পারতাম কিনা জানি না।মনে হয় কোন কারনে ঘর অন্ধকার হলে চেঁচিয়ে উঠতাম কিংবা ভয়ই পেতাম না,তা ঠিক মনে নেই। কিন্তু যখন এক দুই কিংবা ছয় বছর বয়স, মনে পড়ছে অন্ধকারকে প্রচণ্ড ভয় পেতাম।মনে হত কোন অদৃশ্য কিছু দাড়িয়ে আছে অন্ধকারে, যে আমাকে নিয়ে যাবে বহু দূর। অন্ধকারে গেলেই মনে চলে যেতে হবে সেই অদৃশ্য শক্তির সাথে।এটা দুই থেকে আট বছর বয়সের মধ্যেকার ভাবনা ছিল।আর একটু বড় হতে, অর্থাৎ দশ বার বছর বয়সে পা দিতেই অন্ধকারকে আর ভয় পাই না, কিন্তু পড়াশোনার লাইফে যাকিছু জানলাম, বুঝলাম পড়লাম তা কি আলোকিত জীবনের জন্য যথেষ্ট? আমি পড়াশোনায় খুব ভাল তা নয়।এমনকি খুব বেশি পড়ি তা নয়।ঐ যাকে বলে মধ্যম পর্যায়ের স্টুডেন্ট। তাই থাকতে হল সেই আন্ধকারে।তার মানে এক ভয় পাওয়া অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়ে আরেক অন্ধকারে পা রাখা।আঠার উনিশ বছর বয়সে কলেজ যেতে হবে,কলেজে মারামারি হবে,। মার খেতে হবে, আর মার খেলে মার খাওয়াতেও হবে।পুলিশ খুঁজবে তাই তখন পালিয়ে বেড়াতে হবে ঐ রাতের অন্ধকারে।ছোটবেলা যে অন্ধকারকে ভয় পেতাম সেই অন্ধকার ই হবে পুলিশের হাত থেকে বাচার উপায়।তাছাড়া বৃদ্ধ বয়সে হয়ত ছেলে মেয়ে দেখবে না তারা বৃদ্ধাআশ্রম এ রেখে আসতে চাইবে,। যদি রেখে আসে তাহলে সারা রাত হয়ত কাটাতে হবে রাতের অন্ধকারে।যদি ভাগ্যবশত বৃদ্ধাআশ্রমে রেখে না আসে তাহলে বাড়ির একটি ছোট্ট ঘরে থাকতে হবে যেটা মনে হয় হবে আলোমুক্ত ও অন্ধকারযুক্ত।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলে জানতাম কিন্তু তার সারা জীবন কি এরকমভাবে অন্ধকারে কাটাতে হয়????
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭