somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফেলুদার তোপসে
নিষ্পত্তি কি সব সময়ে জয়-পরাজয়ে? ময়দানি ধুলোয় তার বাইরেই যে পড়ে থাকে খেলার আসল-নকল গল্পগুলো৷ ময়দানের ঘাস-ধুলো যাঁর প্রিয়তম বন্ধু, তাঁর কলমে অভিজ্ঞতার দস্তাবেজ৷

শূন্যতা বিষয়ক গল্প

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সেই যে নদীটা –
যার বুকের থেকে দেখা যায়,
পথে পথে মায়া ছড়ানো।
তার সাথে দেখা হলে ফের, জেনে নিও –
তার জলের কোন ঘুর্নিতে দুঃখ লুকানো।


আবার একটা বৃষ্টির প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছি। তোমার আমার অনাকাঙ্খিত প্রেম ভাসিয়ে নিয়ে যাবো ময়ূরাক্ষীর জলে। আমাদের প্রেমের তো কোনো শাখা ছিল না। তারপরও তোমার সাম্রাজ্যবাদী মন শাখা খুলেছিল কৃষ্ণনগর থেকে বাগনান; পসরা সাজিয়ে বসেছিল ভালো দামে বিকোবার আশায়...
কিন্তু একটা বৃষ্টি বদলে দিল সব। তোলপাড় তুললো... ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠলো সবাই এবার; তোমার আমার পার্সেন্টেজের হিসেব ভাগ করে নেওয়া এক চিলতে খোলা আকাশ সাক্ষী থাকবে মৃত অথবা অর্ধমৃত পাপবোধ গুলোর আটলান্টিস পাড়ি দেওয়ার।

শুধু অপেক্ষায় আছি কোনো ন্যাচারাল ডিজাস্টার আবার বছর ঘুরে এক করে দেবে বিচ্ছিন্ন দুই ব-দ্বীপের গল্প, আর কিছুই ভাবছিনা তেমন। টাকা আবার সত্তর থেকে চল্লিশের ঘরে আসবে কি না, তিস্তার জল ভাগের মা পাবে কি না, আর কত সি.আর.পি.এফ জওয়ান রক্তাক্ত হবে আর ভাবিনা এসব কথা।
উবু দশ কুড়ি বলতে বলতে কেটে যাচ্ছে অষ্টাদশীর চু কিত কিত এর বিকেল। সেখানে দিন বদলের ধুসরতা এখনও ছেলেবেলাকে গ্রাস করে না। এদিকে সন্ধ্যার স্তব্ধতাকে ঘিরে কেনি জি'র স্যাক্সোফোন ভাঙ্গতে থাকে শহুরে স্কাইলানের স্তব্ধতায় মোড়া যৌবন। ঠিকানা হারিয়ে অলিপাব এ খুঁজি বন্ধুত্বের ঘ্রাণ। সেখানে প্রাপ্তির ঝুলিতে একটিও আপেল পড়ে থাকে না। আলিশান মেহেফিল শুধু দেখিয়ে দেয় শীতঘুমের রাস্তা। এবার তবে অক্ষরে শুধুই বানপ্রস্থ লেখা হোক।
হঠাৎ একটা ছবি মনে পড়ল, আঁকতে আঁকতে কারা যেন উঠে গেছে কুহু ডাকে। আর সেই পাখিরা- নগ্ন মেঘেরা- দাঁড়িয়ে আছে একঠায় বেসামাল বিটপের ঠোঁটে। মাঝে মাঝে ভুলে যাই পৃথিবীর জ্যামিতি, মাঝে মাঝে ভুলে যাই ফিরে আসা। লবঙ্গীর বনে নড়ে ওঠে আরও একটা পোড়ানো নিলয়।

ট্রেন চলে গেলে শূণ্যতা পড়ে থাকে পিছনে পিছনে; শহরটা মরে যায় একদিন। ধূলি জমে থাকে এখানে ওখানে, কোনো ট্রেন ভিড় করে না আর ধূলি জমা স্টেশনে। শূন্যতা বিষয়ক একটি গল্পের মধ্যে কত যে প্রশ্ন...। উত্তরপর্বে এসে বোকার মতো মাথার উপর খোলা আকাশ নিয়ে হাঁটি বহুদূর- তবুও কি খুঁজে পাই তৃষা মেটাবার মত...। বুকের মধ্যে অচিন পাখি এক করুণ স্বর, কাঁদে নিভৃতে। পূর্ণতার কাছে পরিত্যক্ত এই অস্তিত্বের খড়িমাটি!
পথের মোড়ে মোড়ে ঝুলে থাকে অনেক প্রশ্ন- অনেক উত্তর নতমুখ হেঁটে যায়- রঙিন হাসে। এইসব দেখে দেখে শূন্যতা বিষয়ক গল্পটা ক্রমশ বড় হয়- অনেক প্রশ্নের উত্তর তবুও অজ্ঞাত। শুধু চলতে চলতে হঠাৎ সরু পথ- ঘোলাটে দৃষ্টি।

ভাল আছি- ভাল না থাকলে কি আর আড্ডায় আড্ডায় রাজা-উজির মেরে বেড়াই কিংবা তাড়িয়ে বেড়াই বনের মোষ? এই কথা শুনেই তুমি তো হোঃ হোঃ হেসেই খালাস! কাল যেমন হঠাৎ দেখা বন্ধুটিও তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে...। আশ্রমে যাবার কথা শুনলে কি হাসতে হয় ? কেউ কি জানে কার বুকে কার আশ্রম! উড়তে উড়তে কত যে পালক খুল গেল- কত স্বপ্ন যে দুঃস্বপ্নের অতলে তলিয়ে গেল- সে মনে রাখেনি তার একটি অর অথবা বর্ণও! সে শুধু জানে একদিন তাকে ছুঁয়ে দেখতে দূরের আকাশ। তাই সে রোদে পোড়ে- বৃষ্টিতে ভেজে...
একদিন সে সত্যি সত্যিই আকাশ ছুঁয়েছিল- নীলিমার চোখে চোখ রেখে, ঠোটে...। সেদিন তার মৃত্যু হয়েছিল!

শূন্যতা বিষয়ক গল্প
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×