এই লেখার কিছু অংশ স্পয়লারের মতন লাগতে পারে কিন্তুক যা বুঝি পাঠকদের শতকরা দু-পাঁচজন বাদে বাকি সব্বারেই দেখা শেষ তাই হু কেয়ারস
মনে করেন এক ব্যাটা দুপুরবেলা শান্তিমত রমনা পার্কে বসে কান চুলকাচ্ছে। শান্তিমত কিছুক্ষণ কান চুলকিয়ে পরে আরো মিনিটদুয়েক নাসিকারন্ধ্রে খোঁচাখুচি করে পার্কের বেঞ্চিতে মিনিটদশেক ভাতঘুম দিয়ে উঠে আস্তে হাঁটা দিয়ে উঠে চলে গেল। এখন পর্যন্ত তেমন মহা আপত্তিকর কিছু ঘটেনি। কিন্তু এইটুকু অংশ যদি আপনার ক্যামেরায় রেকর্ড করে আপনি ইউটিউবে দিলেন আর সেটা এক সপ্তাহে পাঁচ কোটি হিট হয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে ফেলল। তাহলে তাহলে আমার হিসেবে কিছু হিংসুক নিন্দুক বলবে যে, এইটা এমন হিট হবার মত কি হল? আর যদি হিট হবিই তাহলে এইরকম নাক আর কান চুলকানোর জিনিষ ছাড়া কি হিট করার কোনো রাস্তা ছিলোনা? ইত্যাদি ইত্যাদি…
তিন বান্দরের কাজকারবার নিয়ে করা সুপারহিট মুভিটি আমাকে কদিন আগে দেখা লাগলো। ছবি শেষ হবার পরে প্রথম আমার মাথায় ছবিটা বানালো কৈ। কারণ নায়িকার এক টাকডুম টাকডুম নাচের জন্য হাফ দুনিয়া ঘুরে আসার অভ্যাস তো বহুবছর ধরেই আছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করে দেখলাম ছবি করা হয়েছে আই আই এম ব্যাঙ্গালোরের ক্যাম্পাসে। এই প্রথম কিঞ্চিত আফসোস হল, গ্র্যাজুয়েশনের জন্য তিন বছর ইন্ডিয়ার ঘানি টানলামই যখন আরেকটু খানদানী যায়গাতেই পড়তাম। আসলেই ভারতের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর যেকোন স্থানের শিক্ষার্থীদেরই কাছে টানার মত। নজরকাড়া শুটিং এর জন্য স্যুজারল্যান্ড দরকার নেই। তবে আমার পড়ার সময় আমাদের ক্যাম্পাসে ভগৎ সিং নিয়ে একটা মুভি হয়েছিল অজয় দেভগান ভাই নায়কের রোলে ছিলেন। দেখি দেখি করেও এখনো ছবিখান দেখা হয় নাই। ব্যাঙ্গালোরের প্রশাসন বিদ্যায়তনের ভেতর বাহির বেশ ভালই লাগলো। তার তুলনায় দেশের হল,ক্যাম্পাস একটু ম্যাদামারাই লাগলো।
এই তিন ঘন্টার ছবিখান নিয়ে আমার এতো আইঢাইয়ের কারণ হল। এই ছবিখান শুধু যেনোতেনো ছবি না বরং প্রথমত আমির খান ছবি যেটা শুনলেই মোটামুটি সবাইই ধরে নেয় ভাল ছবি, তার সাথে হল আমির খান কমেডী সিনেমা অর্থাৎ অফিশিয়ালি ইউনিভার্সার রেটিং সব্বাই দেখতে পারবে তার সাথে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল শোলের পয়ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা বক্স অফিস সেরা হিট ভারতীয় ছবি। ফলাফল হলঃ ভারতীয় প্লাস উপমহাদেশীয় জনগণ এইবস্তু খাচ্ছে, খাবে এবং খাইতেই থাকবে। যেমন আমার এক মামা এখনো মাসে রুটিন করে কমপক্ষে একবার শোলে দেখেন (পাগল যে কতরকম আছে দুনিয়ায়)।
তাই দেখলাম ভূলে গেলাম ছবির চেয়ে এই ছবির প্রভাব অনেক গভীর আর দীর্ঘস্থায়ী হবে আর এইখানে মহা আপত্তিকর বেশকিছু থীমকে মোটামুটি উৎসাহই দেয়া হয়েছে। এই যেমন ধরুন, রাজুর অসুস্থ বাবা, মা আর বোনকে নিয়ে দিব্যি বেশকিছু রূঢ কথাবার্তা বলে পার পেয়ে গেছে রাঞ্চো। যেগুলো সামাজিক মাপকাঠিতে অত্নত আমি কখনোই গ্রহণযোগ্য বলব না। পরে রাজুর বাপকে হসপিটাল রাইড দিলেও তা মাফ হয়না।
এই সিনেমা দেখে বাড়ির পিচ্চিরা মহা উৎসাহে ফার্ট আর রেপ জুক্স নিয়ে রিহার্সেল দিচ্ছে, আমার হিসেবে তেমন উৎসাহদায়ক সীন না। আর কথা বাড়ালাম না।
মদিরাচ্ছন্ন অবস্থায় ঢুলতে ঢুলতে গিয়ে প্রস্তাব দিল আর লাড়কী এক্কারে আই ডু বলে লাফিয়ে উঠল। ভাল্লাগেনাই!
পরীক্ষার প্রশ্ন চুরি রাঞ্চোর এথিকসের সাথে মিলে নাই।
সব মিলিয়ে ভালমন্দের পাল্লায় ফেলার পরে মনে হয়েছে এইমাপের ছবিতে মন্দগুলো যেনো আরো বড় আকারে ফুলে ফেঁপে ওঠে। তার তুলনেয় লাগে রহো মুন্নাভাই অনেক ভারসাম্যপূর্ণ ছিল।
আর ফুন্সুখ? ঐ ব্যাটা এক তিব্বতী বিপ্লবী [টেররিস্ট?] ভিক্ষু। চীনেপটকার সাথে টেক্কা দিতে গিয়ে আজকাল জেলহাজতে আছেন। তারে ঠ্যাক দিতে গিয়ে চীনেমামারা আবার আমির সাহেবের ব্লগে হানা দিয়েছিলেন ।তাই নিয়ে কত কি।
আলোচিত ব্লগ
অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ
'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস
রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন