somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন,তবে সুশীলতা ত্যাগ করবেন না!!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ রাজপথে করা একপ্রকার অসম্ভব।তাই যতদুর সম্ভব,অন্যায়ের প্রতিবাদ ব্লগ,ফেসবুক কালেভদ্রে পত্রিকার পাতায়ও হচ্ছে। তবে এখানে সমস্যা হলো,সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাচ্ছে না।কারনটা হলো, সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, নিজের সুশীলতা রাখা যায় না।
যেমন প্রথম ছবিটার কথাই ধরুন-

হাতকড়া পরা অবস্থায় যাকে দেখছেন,তিনি হলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা বিপুল চাকমা,আর মৃতদেহটি তার মা নিরুদেবী চাকমার। কোলন ক্যানসারে মা মরণাপন্ন। সেই মাকে নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে একটা মাইক্রোবাসে করে তিনি ছুটছিলেন চট্টগ্রাম হাসপাতালের দিকে। পথের মধ্যে পানছড়ি থানা, পথের মধ্যে তল্লাশি। মায়ের সামনে ধস্তাধস্তি, মায়ের বাধা উপেক্ষা করে তাঁকে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে।তাঁর নামে ১৫টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে জানিয়েছেন পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।বিপুল চাকমাকে পুলিশ নিয়ে গেলে নিরুপমা দেবী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। চট্টগ্রামের বড় হাসপাতালের বদলে তাঁকে ভর্তি করা হয় কাছেরই খাগড়াছড়ি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখলেন না হতভাগ্য মা। মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখতে পারলেন না বিপুল চাকমাও। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দয়া হলো। মায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে থাকার আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে সাত ঘণ্টার জন্য প্যারোলে জেলের বাইরে আসতে দেওয়া হয়।তিনি হাতকড়া পরা অবস্থায় মাকে শেষ বিদায় দিলেন।

এই কাহিনী শুনে কার না চোখে পানি আসবে। ফলে এর প্রতিবাদে ব্লগ ফেসবুকে এমনকি পত্রিকায় পাতায়ও মাতম চলছে। কারন এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে নিজেকে সুশীল বলে পরিচিত হতে পারবেন এবং রিস্কও কম।

এবার ২য় ছবিটার কাহিনীতে আসুন।
দুটি নবজাতক শিশুর পিতা হলেন সদ্য পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাঃ তারেক হাসান সজিব। তাকে প্রায় এক মাস আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে উঠিয়ে নেয়া হয়ে ছিলো এবং তার সাথে জহিরুল ইসলামকে। এর মধ্যেই তিনি জমজ সন্তানের পিতা হন। বাবা ফিরে এসে সন্তানের নাম রাখবে এই আশায় এখনো নামও রাখা হয়নি।দুই দিন আগে ডাঃ সজিব এবং জহুরুল ইসলাম পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।ডাঃ তারেক হাসান সজিব রেখে গেলেন তার বিধবা স্ত্রী এবং মাত্র ২৪ দিন বয়সী দুই জমজ সন্তান।কিন্তু পারেননি রেখে যেতে তাদের নাম।মাত্র ২৪ দিন বয়সেই পিতৃহারা ডাঃ সজিবএর যমজ মেয়ে !

এখন এই ঘটনায় প্রতিবাদ করে আপনি যদি দুই লাইন লিখেন,তবে কিন্তু সুশীল লিষ্ট থেকে আপনার নাম কাটা যাবে।আপনাকে ছাগু ট্যাগ দেয়া হবে । কারন এরা জামাত-শিবিরএর রাজনীতির সাথে যুক্ত।

সুতরাং প্রতিবাদ করুন।তবে সাবধানে করবেন,কেন খামাখা ছাগু ট্যাগ খাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×