somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আশার আলো পাঠশালা" : আশা, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনার এক নতুন সূচনা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখাটা বেশ কিছুদিন আগেই লেখার কথা । কিন্তু ছবিগুলো না থাকায় লিখতে পারছিলাম না। কারন ছবি ছাড়া এত সুন্দর একটা অবকাঠামোকে ঠিকভাবে তুলে ধরা যায়না। আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সংগঠন আছে – “স্বপ্নোত্থান”।
আমরা সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা যেমন অনেক আশা-আকাঙ্খা আর আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করি, তেমনি দেশের সুবিধাবঞ্ছিত দরিদ্র শিশুরাও যেন সেই আনন্দময় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, আমরা মূলত সেই লক্ষে কাজ করি। আজকে এই লেখার উদ্দেশ্য আমাদেরই মত একই লক্ষে কাজ করে যাওয়া আর একটি চমৎকার সংগঠন নিয়ে কিছু বলা। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্বরামখানা গ্রামে অবস্থিত এই সংগঠনটির নাম “আশার আলো পাঠশালা”।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ওই গ্রামের সদ্য এইচ.এস.সি পাস করা এক তরুন ‘কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ’।
আমার নিজের শহর (রংপুর) এর কাছাকাছি হওয়ায় বিশ্বজিৎ এর সাথে পরিচয় করে দিয়েছিলেন আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাটা শফিক ভাই। উনার ইচ্ছা ছিল আমি একবার ওদের ওখানে যাই, দেখে আসি। শফিক ভাই এর মুখে ‘আশার আলো পাঠশালা’ সম্পর্কে শুনার পর নিজের আগ্রহ থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম কুড়িগ্রাম ঘুরে আসার। “আশার আলো পাঠশালা” সম্পর্কে যা ধারনা ছিল, তা হল, একটি তরুন নিজ উদ্যোগে তার গ্রামের হতদরিদ্র শিশুদের জন্য একটি বিনাবেতনের বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এই ব্যাপারটিই একটি অবাক করা ব্যাপার। কিন্তু অবাক হওয়ার যে আরও অনেক বাকি ছিল, তা তখনো জানতাম না! যাই হোক, এবার মূল ঘটনায় আসি। যেদিন রওনা দিলাম, দিনটি ছিল শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১২।
অইদিন ওদের সারাদিন ব্যাপি বিভিন্ন ছোটখাটো অনুষ্ঠান ছিল। ইচ্ছা ছিল সবগুলাতেই থাকব। কিন্তু পৌছাতেই কিছুটা দেরি হল। কুড়িগ্রাম মূল শহরে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টা। ওখানে বাস থেকে নেমে আবার অন্য বাসে উঠে নাগেশ্বরী যেতে আরও দেড় ঘণ্টা। তারপর সেখান থেকে অটোরিক্সা নিয়ে দীর্ঘ ৪০ মিনিট বিভিন্ন আঁকাবাঁকা পথ পার হয়ে অবশেষে পৌছালাম নাখারগঞ্জ বাজার। বাজারের সাথেই পূর্বরামপুরা গ্রাম। পৌছাতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হলেও মনে মনে ভাবলাম, এত ভেতরে একটি গ্রাম, অথচ সেখানে কি সুন্দর মানসিকতা নিয়ে কিছু ছেলেমেয়ে কাজ করছে । যাই হোক, আমি যাওয়ার আগে অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে ওরা গ্রামের বৃদ্ধদের মাঝে সেমাই বিতরন করেছে।


বৃদ্ধদের মাঝে সেমাই বিতরন

আমি যেয়েই দেখলাম ওরা কিছু অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করছে। বিশ্বজিতের কাছে জানতে পারলাম, ওনারা ওদের স্কুলে নতুন ভর্তি হয়া ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক। তখন বিশ্বজিৎ ওনাদেরকে স্কুল এর নিয়ম কানুন সম্পর্কে বলছিল। আমিও তখন ‘আশার আলো পাঠশালা’ এর প্রকৃত কাঠামো এবং এর নিয়ম গুলি সম্পর্কে জানলাম। ‘আশার আলো পাঠশালা’ প্রকৃত পক্ষে কোন পুর্ণাঙ্গ স্কুল নয়, এটি গ্রামের হাজারো হতদরিদ্র গরিব শিশুদের পড়াশোনা এবং সর্বোপরি জীবন সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দানকারী একটি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। আমার মনে আছে, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন স্কুল এর পড়াশোনা ঠিকভাবে বোঝার জন্য ক্লাস থ্রি, ফোর থেকেই প্রাইভেট পড়তাম অথবা কোচিং করতাম। এছাড়া মা-বাবাও আমাদের পড়া দেখিয়ে দিতেন। কিন্তু গ্রামের বেশিরভাগ বাচ্চার মা-বাবা অশিক্ষিত, এবং তাদের অনেকেরই সন্তানদের বাইরে কোথাও প্রাইভেট বা কোচিং করানোর মত সামর্থ্য নাই। আর গ্রামের স্কুলগুলোর পড়াশোনার কি অবস্থা, সেটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। ফলে এই দরিদ্র শিশুরা কোথাও কোন পড়াশোনার সাহায্য পায়না। কেউ তাদের পড়া বুঝিয়ে দেয়না। একসময় আগ্রহ এরা হারিয়ে ঝরে পড়ে । বিত্তবানদের ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট পরে, কোচিং করে আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হবে, আর শুধুমাত্র দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করার জন্য এই শিশুগুলো ঝরে যাবে, অশিক্ষিত থেকে যাবে তাতো হতে পারেনা! এই সত্যটুকু অনুভব করে বিশ্বজিৎ ও তার কিছু বন্ধুরা মিলে গড়ে তোলে ‘আশার আলো পাঠশালা’। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পাঠশালা শিশুদের স্কুলের পড়াশোনা দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের যাদের বই-খাতা কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের সেগুলো কিনে দেয়। তারা যাতে ঠিকমতো স্কুলে যায়, সে ব্যাপারে সবসময় খোঁজখবর রাখে। নিয়মিত অভিভাবক মিটিং করে, তাদের বাচ্চাদের সম্পর্কে অবহিত করে। এভাবেই একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে কাজ করছে ‘আশার আলো পাঠশালা’।


অভিভাবকবৃন্দ

নতুন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা শেষে তারা নতুন ভর্তি হওয়া বাচ্চাদের সাথে তাদের প্রথম ক্লাস শুরু করল। এই ক্লাসটি শুধুমাত্র তাদের সাথে পরিচিত হওয়া, গল্প গুজব করার জন্য, আর কিছু নয়। আমার খুব সৌভাগ্য, আমি তখন উপস্থিত ছিলাম, এবং নিজের চোখে তাদের কর্মকাণ্ডগুলো দেখতে পারছিলাম। বিশ্বজিৎ যখন বাচ্চাদের সাথে কথা বলা শুরু করল, তখন অবাক হলাম তার কথা বলার ভঙ্গি দেখে, বাচ্চাদের সাথে মিশে যাবার ক্ষমতা দেখে। আমি যদি একটা গ্রামের বাচ্চার কাছে গিয়ে, তার সাথে শহুরে ভাষায় আমার মত করে বিজ্ঞের মত কথা বলা শুরু করি, তাহলে কখনই আমি তার সাথে মিশতে পারবনা, তার মনোযোগ ধরতে পারবনা। এই ছেলেগুলি সেটা জানে। তারা একেবারে ওই শিশুগুলার মত করে তাদের সাথে মেশে, গল্প করে, গল্পের সাথে সাথে আনন্দ নিয়ে পড়ায়। শুধু পড়াশোনাই নয়, তারা বাচ্চাদের নৈতিকতাও শিক্ষা দেয়। প্রথম দিন তাদের একটি শিক্ষাই দেয়া হয়, হাত তুলে শপথ করানো হয় “সদা সত্য কথা বলিব, সৎ থাকিব, কোন অবস্থায় কখনই মিথ্যা বলিব না ”।
মুগ্ধ হয়ে যাই তাদের শিক্ষায়! নতুন বাচ্চাদের ক্লাস শেষ হলে স্কুলটির বাকি অংশ দেখতে বের হই। মোট ৪ টা ঘর। ৩ টা ক্লাসরুম, ১তা অফিস ঘর। অফিস ঘরটিতে আবার লাইব্রেরীর ব্যাবস্থা আছে। গল্প, উপন্যাস, সাধারন জ্ঞান সহ বেশ অনেক বই তাঁকে সাজিয়ে রাখা। ছাত্রছাত্রীরা অবসর সময়ে সেখানে এসে বই পরছে। কি চমৎকার ব্যবস্থা! এতকিছু যে তারা করছে, পুরোটাই বিনালাভে, স্বেচ্ছাশ্রমে, মানুষের জন্য ভাল কিছু করার তাগিদ থেকে! একটা প্রশ্ন সহসা মাথায় উঁকি দিল, ‘তারা তাদের শ্রমটুকু স্বেচ্ছায় দিচ্ছে, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু অর্থ?? ৪ টা স্কুলঘরের ভাড়া, ইলেক্ট্রিসিটি, কিছু বাচ্চার বইখাতা, লাইব্রেরীর বই-পত্তর এবং আরও নানাবিধ খরচ সহ একটি স্কুলের খরচ চালানো চাট্টিখানি কথা নয়, তাহলে কে দিচ্ছে এই খরচ?? ’ উত্তর পেলাম বিশ্বজিৎ এর কাছ থেকে। এই খরচ অন্য কেউই দেয়না। বিশ্বজিৎ সহ ‘আশার আলো পাঠশালা’ তে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ১৫ জন। এদের বেশিরভাগই কলেজ পড়ুয়া। এই স্বেচ্ছাসেবকরা বাইরে প্রাইভেট পড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে পাঠশালার খরচ যোগায়! আরেকটা ধাক্কা খাওয়ার পালা! কতখানি একাগ্রতা থাকলে এইটুকু বয়সের ছেলেগুলার পক্ষে এমন সাহসিকতার কাজ করা সম্ভব! দুপুরে নামাজ ও খাবার পর অনুষ্ঠানের আরেকটি পর্ব শুরু হল। জামাকাপড় ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব। ওইদিনের আগেরদিন কুড়িগ্রামের ডি.সি. সেখানে গিয়েছিলেন এবং গরিব ছাত্রছাত্রীদের জন্য ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু জামাকাপড় দিয়ে এসেছিলেন। সেগুলা বিতরন করা হবে। এবং সাথে পূর্বের কিছু খেলাধুলা এবং পরিক্ষায় ভাল ফলাফলের পুরস্কার বিতরন করা হবে। অনুষ্ঠানের এই পর্বে প্রথমেই পাঠশালার ক্লাস সিক্স পড়ুয়া একজন ছাত্রী উপস্থাপনা করল। আমি আবারো বিস্মিত হলাম, মেয়েটির মধ্যে কোন জড়তা নেই। উচ্চারন হয়ত খুব শুদ্ধ ছিলনা, কিন্তু এই গ্রামের হতদরিদ্র মেয়েটি যে এত মানুষের সামনে দাড়িয়ে কোন জড়তা ছাড়াই সহজ ভাবে কথা বলে যাচ্ছে, এটাই কি অনেক বড় একটি পাওয়া না?? আমার ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল, ওই বয়সে আমি নিজে কখনই এইরকম সবার সামনে দাঁড়িয়ে জড়তাহীন ভাবে কথা বলতে পারতামনা! শুধু আমি না, আমি জানি, আমাদের দেশের অনেক ছেলেমেয়েই জনসমুক্ষে উপস্থাপনে বিশেষ পারদর্শী নয়, এটি আমাদের সামাজিক অথবা শিক্ষগত সমস্যা, যাই হোক, এটি আসলেই একটি বড় সমস্যা। যাই হোক, ‘আশার আলো পাঠশালা’ ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় প্রতিও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ছাত্রছাত্রীদের সবার সামনে কথা বলা শেখায়, উপস্থাপনা শেখায়, বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এমন অনেক এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজে তাদের যুক্ত করে রাখে। তারা শেখায় কিভাবে মানুষকে সন্মান করতে হয়, কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে হয়।


ছাত্রছাত্রীদের একাংশ

যাই হোক, এরপর ডি. সি. সাহেবের দেয়া কাপড়চোপড়, এবং খেলার পুরস্কার বিতরন করা হল। আমার অনেক সৌভাগ্য যে আমিও সেই বিতরনে অংশ নিয়েছিলাম এবং সেজন্য সত্যি সত্যি আমি ‘আশার আলো পাঠশালা’’র কাছে কৃতজ্ঞ! এরপর বাচ্চাদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আরও একটি পর্ব থাকলেও আমি আর পরে থাকতে পারিনি। আমার কিছু কাজের তাড়া থাকায় চলে আসতে হয়েছিল।


পুরষ্কার বিতরণী, সর্বডানে প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ

সর্বডানে প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ ‘আশার আলো পাঠশালা’ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত হলেও, এর কাজকর্ম এখন শুধু শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ নেই। অচিরেই এটি একটি পরিপূর্ণ সামাজিক সংগঠনে পরিনত হচ্ছে। কেননা, তারা যেমন গরিব বাচ্চাদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান করছে, পাশাপাশি ওই বাচ্চাদের অভিভাবক মায়েদের জন্য আবার শহর থেকে হাতের কাজ পাইয়ে দেবার ব্যাবস্থা করছে। মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছে আন্দোলন। এছাড়া গ্রামের বয়স্ক বৃদ্ধ মানুষরা যেন একাকীত্বে না ভোগে, তাই তাদের জন্য একটি খোলা জায়গায় বিকেলবেলা করে চা-চক্রের ব্যবস্থা করছে, যাতে করে গ্রামের বৃদ্ধ মানুষগুলো একসাথে কিছু সময় গল্পগুজব করে কাটাতে পারে। ‘আশার আলো পাঠশালা’ তেমনি একটি সংগঠন, যারা বিনামূল্যে হতদরিদ্র শিশুদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান করে নিজেদের শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করেছে। ‘আশার আলো পাঠশালা’ তেমনি একটি সংগঠন, যারা মানুষের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে সেই আনন্দে নিজেদের আনন্দ খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু ‘আশার আলো পাঠশালা’র মত সংগঠন শুধু কুড়িগ্রামের মানুষ নয়, দেশের সব জায়গার মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করুক, ভালবাসা বয়ে আনুক, আমরা তাই চাই। আর সেই উদ্দেশেই আসলে এই লেখাটি লেখা। বিশ্বজিৎ নামের অল্পবয়সী এই ছেলেটির অসাধারণ কাজটি দেখে আমাদের কারো কি ইচ্ছে হবেনা যে, আমরাও আমাদের চারপাশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলার জন্য কিছু করি?? আমাদের যাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, এটা কি তাদের একধরনের দায়িত্তের মধ্যে পরেনা?? আমরা আমাদের নিজ এলাকায় কি একটু চেষ্টা করে দেখতে পারিনা, এরকম কোন সংগঠন গড়ে তোলার? আমরা অনেকে মিলে যদি চেষ্টা করি, কাজটা খুব একটা কঠিন কিছু নয়, এটা করার জন্য আমাদের কিন্তু অন্য সব কাজ বাদ দিয়ে দিতে হবেনা। আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের পাশাপাশি আমরা চাইলেই কিছু সময় বের করে স্বেচ্ছাসেবী কিছু কাজ করতে পারি। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার ২ টা সুফল আমি খুব স্পষ্ট চোখের সামনে দেখতে পাই।

১।
মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে পারলে নিজের মধ্যে একধরনের অন্যরকম মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। এই পৃথিবীতে অনেক মানুষের টাকাপয়সা আসে, কিন্তু সবাই মানসিক শান্তি নিয়ে ঘুমাতে পারেনা! আর যে মানুষগুলার জন্য আমি ভাল কিছু করব, তারা অবশ্যই আমার জন্য দোয়া করবে। মানুষের দোয়া অনেক বড় একটি জিনিস!

২।
আমি আমার চারপাশের মানুষ গুলোর জন্য ভাল কিছু করতে পারলে, তা সমাজের জন্য ভাল কিছু হবে, সর্বোপরি সবার ছোট ছোট ভাল কাজ গুলো মিলিয়েই একদিন আমার দেশটি অনেক এগিয়ে যাবে! আমার চারপাশের সমাজ, আমার দেশ যদি মাথা তুলে দাঁড়ায়, উন্নত হয়, তাহলে আমাদের সবার জীবনযাত্রার মানও কি একসময় আরও উন্নত হবেনা??

"আশার আলো পাঠশালা" এর ফেসবুক পেজ লিঙ্কঃ আশার আলো পাঠশালা

"আশার আলো পাঠশালা" এর প্রতিষ্ঠাতা 'কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ' এর ফেসবুক আইডি লিঙ্কঃ বিশ্বজিৎ
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৫
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×