সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মিলিওন ডলারের ক্ষতিকর হোয়াইট ফ্লাই
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হোয়াইট ফ্লাই খুব ক্ষতিকর পোকা । প্রতি বছর এ পোকা কমপক্ষে এক মিলিওন ডলার মূল্যের ফসলের ক্ষতি করে । “১৯৯১ সালে এই ছোট্ট হোয়াইট ফ্লাই বিলিওন ডলার মুল্যের ফসলের ক্ষতি করেছে” । এই হোয়াইট ফ্লাই খুব দ্রুত ছড়ায় । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য একরকম কীটনাশক দেওয়া হয় সে কীটনাশকের নাম নিয়োনিকোটিনোয়েড (neonicotinoid) । কিন্তু এ কীটনাশক মানুষের জন্য খুব ক্ষতিকর এবং যে গাছে এ কীটনাশক দেওয়া হবে সে গাছের ফুলের রস যদি মৌমাছি খায় সে মৌমাছি কিছু সময় পরই মারা যাবে । এই কীটনাশক মৌমাছির হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ । আর মৌমাছি বিলুপ্ত হওয়া মানে পরাগাওন কম হবে আর পরাগাওন কম হওয়া মানে ফসলেরও ক্ষতি । যত পরাগাওন কম হবে তত ফসল কম হবে । হোয়াইট ফ্লাইয়ের যদি পরিমাণ মতো প্রাকৃতিক শিকারি থাকতো তাহলে হোয়াইট ফ্লাই তিব্রমাত্রায় বিস্তারলাভ করতে পারত না । কিন্তু এখনও হোয়াইট ফ্লাই প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে যদি হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণকারি পোকা বিলুপ্তর হাত রক্ষা পায় । কিন্তু মানুষের অতী লোভের কারণে এবং ধৈর্য্য কম থাকার কারণে মানুষ নিজেদের ক্ষতি করে হলেও কীটনাশক দিয়েই যাবে ।কারণ মানুষ খালি খোজে লাভ আর লাভ । মানুষ ভেবে দেখে না যে কীটনাশক নিজেদের জন্য ক্ষতিকর।রাসায়নিক সারে আপাতত ফসল বেশী হলেও এই সার যে মাটির শক্তি কমিয়ে দেয় সেটি কখনও কেউ ভেবে দেখে না । এবং রাসায়নিক সার যদি এ ভাবেই দেওয়া হয় তাহলে ৪০ বছর পরে মাটিতে কোন গাছই আর হবে না । যতই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হোক না কেন অনেক মানুষের খাবার প্রাকৃতিক ভাবে মেটানো সম্ভব । সারের চাহিদা মেটাতে হলে বিভিন্ন আবর্জনা পচিয়ে মাটিতে দিলে সে মাটির কার্যক্ষমতা কমবে না বরং বাড়বেই । খুব কম প্রাণীই পাওয়া যাবে যার প্রাকৃতিক ভাবে কোন নিয়ন্ত্রণকারি কোন শিকারি নাই । ১০০% প্রাণীর মধ্যে মাত্র ১% প্রানী পাওয়া যাবে যার সরাসরি প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রনকারি শিকারি নাই । যেমন: ছাড়পোকা,ফ্লি ইত্যাদি । এগুলোর জন্য কয়েল জ্বালাতে হবে না ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখলে সেগুলো আর হবে না । তো মানুষ যদি একটু ধৈর্য্য ধরে তাহলে সব সমস্যার সমাধাণ হবে । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে সবুজ লেস পাখা পোকা,রাঙাপোকা,পেরিট গান্ধিপোকা,বড় চক্ষু গান্ধি পোকা, ড্যামসেল গান্ধিপোকা ও দুই প্রকার পরজীবী ছত্রাক । এগুলো যদি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায় তাহলে হোয়াইট ফ্লাইও পরিমাণ মতো থাকবে এবং পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হবে ।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।