মিলিওন ডলারের ক্ষতিকর হোয়াইট ফ্লাই
১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
হোয়াইট ফ্লাই খুব ক্ষতিকর পোকা । প্রতি বছর এ পোকা কমপক্ষে এক মিলিওন ডলার মূল্যের ফসলের ক্ষতি করে । “১৯৯১ সালে এই ছোট্ট হোয়াইট ফ্লাই বিলিওন ডলার মুল্যের ফসলের ক্ষতি করেছে” । এই হোয়াইট ফ্লাই খুব দ্রুত ছড়ায় । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য একরকম কীটনাশক দেওয়া হয় সে কীটনাশকের নাম নিয়োনিকোটিনোয়েড (neonicotinoid) । কিন্তু এ কীটনাশক মানুষের জন্য খুব ক্ষতিকর এবং যে গাছে এ কীটনাশক দেওয়া হবে সে গাছের ফুলের রস যদি মৌমাছি খায় সে মৌমাছি কিছু সময় পরই মারা যাবে । এই কীটনাশক মৌমাছির হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ । আর মৌমাছি বিলুপ্ত হওয়া মানে পরাগাওন কম হবে আর পরাগাওন কম হওয়া মানে ফসলেরও ক্ষতি । যত পরাগাওন কম হবে তত ফসল কম হবে । হোয়াইট ফ্লাইয়ের যদি পরিমাণ মতো প্রাকৃতিক শিকারি থাকতো তাহলে হোয়াইট ফ্লাই তিব্রমাত্রায় বিস্তারলাভ করতে পারত না । কিন্তু এখনও হোয়াইট ফ্লাই প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে যদি হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণকারি পোকা বিলুপ্তর হাত রক্ষা পায় । কিন্তু মানুষের অতী লোভের কারণে এবং ধৈর্য্য কম থাকার কারণে মানুষ নিজেদের ক্ষতি করে হলেও কীটনাশক দিয়েই যাবে ।কারণ মানুষ খালি খোজে লাভ আর লাভ । মানুষ ভেবে দেখে না যে কীটনাশক নিজেদের জন্য ক্ষতিকর।রাসায়নিক সারে আপাতত ফসল বেশী হলেও এই সার যে মাটির শক্তি কমিয়ে দেয় সেটি কখনও কেউ ভেবে দেখে না । এবং রাসায়নিক সার যদি এ ভাবেই দেওয়া হয় তাহলে ৪০ বছর পরে মাটিতে কোন গাছই আর হবে না । যতই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হোক না কেন অনেক মানুষের খাবার প্রাকৃতিক ভাবে মেটানো সম্ভব । সারের চাহিদা মেটাতে হলে বিভিন্ন আবর্জনা পচিয়ে মাটিতে দিলে সে মাটির কার্যক্ষমতা কমবে না বরং বাড়বেই । খুব কম প্রাণীই পাওয়া যাবে যার প্রাকৃতিক ভাবে কোন নিয়ন্ত্রণকারি কোন শিকারি নাই । ১০০% প্রাণীর মধ্যে মাত্র ১% প্রানী পাওয়া যাবে যার সরাসরি প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রনকারি শিকারি নাই । যেমন: ছাড়পোকা,ফ্লি ইত্যাদি । এগুলোর জন্য কয়েল জ্বালাতে হবে না ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখলে সেগুলো আর হবে না । তো মানুষ যদি একটু ধৈর্য্য ধরে তাহলে সব সমস্যার সমাধাণ হবে । হোয়াইট ফ্লাই নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে সবুজ লেস পাখা পোকা,রাঙাপোকা,পেরিট গান্ধিপোকা,বড় চক্ষু গান্ধি পোকা, ড্যামসেল গান্ধিপোকা ও দুই প্রকার পরজীবী ছত্রাক । এগুলো যদি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পায় তাহলে হোয়াইট ফ্লাইও পরিমাণ মতো থাকবে এবং পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
কএকজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,...
...বাকিটুকু পড়ুনবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে
আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
...
...বাকিটুকু পড়ুন