রোহিঙ্গা ইস্যুতে ধর্মিয় সুরসুরির কাছে হারমেনেছে আধুনিক বিশ্বায়ন। ধর্মিয় গোরামির কাছে পদদলিত আধুনিক বিশ্বায়নের রূপকাররা। ধর্ম নিরপক্ষতার যুদ্ধে বিশ্ব মানবাধিকার কাপুরুষ অথবা ছদ্মবেশি প্রতারক। নয়তো আজ সভ্যজাতির খোলসধারি অসভ্যদের হাতে ক্ষমতা। অথবা বিশ্ব আজ বিবেক হারা।
সংখ্যালঘু বর্বোরোচিত হামলার শিকার রহ্ঙ্গিা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান অবস্থানকে আধুনিক বিশ্বায়নের সহায়ক। বাংলাদেশ, মুসলিম রোহিঙ্গা নয় একাত্তরের চেতনা থেকে নির্যাতনের শিকার অসহায় রোহিঙ্গা গোষ্ঠির পক্ষে ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করি আমি। বাংলাদেশ মায়ানমারকে আরাকানে সহিংসতা বন্ধের জন্য বলেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছেও আবেদন জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য।বাংলাদেশের এ অবস্থান ইতিবাচক।
কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বমানবাধিকারের মুকুটধারি ধর্ম-কর্ম-বর্ণ নির্বিশেসে শান্তিকামি জাতিসংঘ যেন ঘুম ঘুম চোখে কি বলছে। সন্ত্রাস বিরোধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীরব, বৃটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে। বর্বোরোচিত শব্দকে হারমানায় এত নির্মম নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহ্য হচ্ছে কি সুচীর প্রেমে । যদি সূচীর প্রতি প্রেম না ই থাকে তাহলেকি রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে তাদের কোন মানবাধিকার নেই?
ইরাক,ইরান,দক্ষিণ সুদান,লিবিয়া,লাদেন,আইএস বিপরিতে ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, সূচী বা আরাকানের ব্যাপারে পৃথক দুষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে সমধিকারের খোলশধারি বিশ্ব নিয়ন্ত্রনকারিরা। আধুনিক বিশ্বের রূপকাররা ধর্মিয় গোরামিতে আবদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে ও ধর্ম নিরপক্ষতাকে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া আধুনিক বিশ্বায়নের কথা বলে মুসলিম বিরোধি অভিযান চালানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন কি মনে দানা বাঁধতে পারেনা ? আমি মনে করি যদি এমনই হয় তাহলে গোটা বিশ্ববাসি অমঙ্গলের পথ ধরেছে। হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের।
মিডিয়াগুলোও ”রোহিঙ্গা মুসলিম” এই শব্দটি অপব্যবহার করেছে মায়ানমারের আরকানের জনগোষ্ঠিই্কি যথেষ্ট নয়।মুসলিম দেশগুলো যুদ্ধঘোষনা করছে না কেন ? এমন জনশ্রুতিকেও ধিক্কার জানাই। কোন মুসলিম রাষ্ট্রেই বি-ধর্মী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বা বি-ধর্মী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই এমন নজির নেই। এখানে মুসলিম বলে মানবতাকে কেন বিভাজন করা হবে। একটি রাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠি সংখ্যালঘু সাধারণ নাগরিকদের শোসন করে চরম পৈচাশিক নির্যাতন করছে । অন্যায় ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে অভিযান চালাবে বিশ্ব নেতৃত্ব। বিশৃঙ্খল রাষ্ট্রগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন তাই করবে তারা। আর অবশ্যই সব সভ্যজাতি তাদরকে সমর্থন দেয়া সহ সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে।ধর্মিয় গোরামির কাছে মানবতার পরাজয় হতে পারে না মেনে নেয়া যায়না কোন সভ্রজাতি হিসেবে।একমাত্র অসভ্যজাতিই ধর্মিয় গোরামিতে লিপ্ত হতে পারে। ভিন্নমতালম্বি মানুষের সঙ্গে জানোয়ারের রূপ নিতে পারে।
কর্তারাষ্ট্র প্রধানরা নিশ্চই মায়ানমার জাতিকে দু:শ্বাসন থেকে মুক্ত বরবে এবং সূচীর বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার করে আধুনিক বিশ্বের দৃষ্টান্ত স্থান্তর করবে ।সে ক্ষেত্রে যে যে রাষ্ট্রের সহযোগীতা প্রয়োজন তাদের সঙ্গে চুক্তির আহবান করবে বিশ্ব নেতৃত্বদানকারিরা। আর যারা মুখে কুলপে এঁটেছেন তাদের বলছি মুখ না খুললে একসময় পর্যায়ক্রমে ভযঙ্কর থাবা আপনার জন্যও অপেক্ষা করছে। তাই আমি মনে করি শান্তি প্রতিষ্ঠায় সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য বিশ্ব নেতৃত্বকে বাধ্য করতে সব রাষ্ট্রকেই সোচ্চার হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩