বিদেশী ফোন কোম্পানীর হাতে আমাদের মানুষের বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন ডাটা যাওয়ায়, কোনভাবে মানুষের স্বার্থহানী হওয়ার কথা নয়; কিন্তু ফোনের টাকা বিদেশী ফোন কোম্পানীর হাতে যাওয়া ভয়ংকরভাবে জাতীয় স্বার্থের হানী। আজকে ব্লগে উল্টোটা এসেছে, অনেককে এই ধরণের ডাটা ফোন কোম্পানীর হাতে যাওয়ায় শংকিত; কিন্তু বিদেশী ফোন কোম্পানীর হাতে ফোন ব্যবসাটা, যেটা আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর, সেটা ধরা পড়েনি।
গত ২/৩ দিন, 'জনসন্মুখে চুমু খাবার ইভেন্ট' নিয়ে অনেক কথা হয়েছে; বর্তমান বিশ্বে এগুলো নিয়ে কেহ মাতামাতি করা মানে, নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করা মাত্র; কিন্তু প্রচুর তরুণকে এই ইভেন্টকে সমর্থন দিতে দেখা গেছে; আসলে এটাকে ইভেন্ট হিসেবে সামনে এনেছে কিছু পেছনে-পড়ে থাকা তরুন। আমাদের ইভেন্ট হওটার দরকার ছিলো সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে শিক্ষনীয় কোন বিষয়।
ভোট হচ্ছে না বলে, আমাদের তরুণরা অনবরত অভিযোগ করছে; কিন্তু ভোটে কারা নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সেটা নিয়ে কোন সঠিক ভাবনা সামনে আসেনি; এবং শুধু ভোটের উপর জোর দেয়াতে প্রমাণ হচ্ছে যে, ভোটের বাহিরে এদের গণতান্ত্রিক ধরণা নেই; আমাদের ভোটের আরেক মহা ভয়ংকর দিক হলো 'ভোট বিক্রয়'; ২০% ভোট যদি বিক্রয় হয়, ভোটের রেজাল্ট গণতান্ত্রিক হতে পারে না, এ বিষয়টা কোনদিন সামনে আনতে পারেনি আমাদের তরুণরা।
আমাদের তরুণদের সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা ছিল শিক্ষার উপর ভ্যাট নিয়ে; ভ্যাটের বিপক্ষে তারা জয়ী হয়েছে, কিন্তু পরাজিত পক্ষ কে ছিল সেখানে, সেটা তারা বুঝতে পারেনি; পরাজিত পক্ষ ছিল সরকার; তারা সরকার মানে মুহিতকে মনে করেছে, আসলে পরাজিত হয়েছে তরুণরাই।
কয়েকটা উদাহরণ দিলাম; তরুণরা প্রায় প্রতিটি বড় ধরণের সমস্যাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না; ফলে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তরুণদের কোন ভুমিকা থাকছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৭