আমাদের সরকারে, আমার কেহ নেই; শুধু জেনারেল এরশাদ সাহেবকে 'জাতীয় ভগ্নীপতি' হিসেব করলে, উনিই আমাদের ঘনিস্টতম ব্যক্তি। শেখ হাসিনা আমাদের জেনারেশনের নেতার কন্যা, সেই হিসেবে উনিও আমাদের লোক; তবে, উনার হিসেবের খাতায় আমাদের নাম নেই; আমরা জোর করে সম্পর্ক ধরে রেখেছি। বাকী যারা সরকারে আছেন, উনারা আমাদের জন্য বৃটিশ, মারাঠা, বখতিয়ার খিলজী ইত্যাদির মতো লোকজন।
শেখ হাসিনার সরকার মোটামুটি মানুষের জন্য খারাপ কিছু করার প্ল্যানে নেই; উনি বেগম জিয়া, নিজামীদের মতো জাতি-বিরোধী কেহ নন; সুতরাং ভয়ের কিছু নেই; উনি অবশ্য সালমান রহমান, কর্ণেল ফারুক, এস আলম, ওরিয়ন, স্কয়ার, বসুন্ধরাদের ঘনিস্ট মানুষ; ওরা উনার অফিসে যায়, চা-পনি খায়, উনি ওদের কথা শুনেন; আমরা উনার অফিসে যেতে পারি না, উনি আমাদের এলাকায় আসতে পারেন না; ফলে, আমাদের সাথে উনার বন্ধুত্ব নেই।
কিন্তু সভ্যতার এই যুগে, এই ধরণের সরকার, যারা আমাদের গণনা করে না, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, সেজন্য কিছু শক্তির দরকার, অর্থনৈতিক শক্তির; ফালু, আমান উল্লাহ আমান ও মেজর মান্নানের মতো; এই লোকগুলি সরকারের চায়ের-টেবিলের লোকজন নন; কিন্তু টেবিলের নীচ নিয়ে এরা সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলে।
আমরা যদি সাধারণ জনতা এক হয়ে কিছু ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলি, আমাদের হাতে টাকা পয়সা আসে; এস আলমের মত আমরাও সরকারের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারি, ভারতীয় রিলায়েন্ট, আদনাণীর মত বন্ধুত্ব করতে পারি; ভোট মোট দিয়ে এই ধরণের সরকারের সাথে মিতালী সম্ভব নয়, এরা ঐ ভোট মোট নিয়ে মাথা ঘামায় না; এরা টাকা পয়সাওয়ালাদের পছন্দ করে; এরা শেখ সা'দীকে পাত্তা দেয় না, কিন্তু এস আলম, বা বসুন্ধরার শাহ আলমকে ডেকে বন্ধুত্ব করে; আমাদের কাছে বসুন্ধরা বা এস আলমের এত জমি নেই; কিন্তু আমরা কিছু কর্পোরেশনের মালিক হলে, সরকার আমাদরকেও চা খেতে ডাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২২