রিসেশান হচ্ছে, যখন ষ্টকমার্কেটের ইনডেক্স হঠাৎ করে পড়ে যায়, এবং দীর্ঘ সময় অবধি পড়তে থাকে, কয়েক কোয়ার্টারের জিডিপি নীচের দিকে, ইন্ড্রাষ্ট্রিগুলো লাভের বদলে ক্ষতির সন্মুখীন হয়, ব্যাংকে অলস ক্যাপিটেল পড়ে থাকে, মানুষ চাকুরী হারাতে থেকে, মানুষ কেনাকাটা কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে মুহিত সাহেব অর্থমন্ত্রী থাকাতে ওখানে রিসেশন হয় না: উনি মানুষের থেকে গরুর মুল্য বাড়িয়ে রেখেছেন; ফলে, সমস্যা হচ্ছে না।
গতকাল, আমেরিকান স্টকমার্কেটের সবচেয়ে বড় সুচক "ডাও ইন্ডাষ্ট্রিয়েল' ৮৫০ পয়েন্টের মত পড়ে গেছে, ইহা ৩.৫% পতন; আজ ভোরে ষ্টকমার্কেট খোলার আগেই ৩৫০ পয়েন্ট নীচে আছে, মার্কেট শুরু হলে, ইহা যদি গতকালের মতো পড়ে যায়, ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংকগুলো ও ফান্ডগুলো তাদের বিনিয়োগ বদলায়ে বন্ডের দিকে যেতে থাকবে, সেটা ভয়ংকর ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
আমেরিকার পতনের সাথে তাল মিলিয়ে জাপান ও ইউরোপের ষ্টকমার্কেট পড়ে গেছে; জাপানের ষ্টকমার্কেট পড়েছে ৪%; পশ্চিমা অর্থনীতির মাঝে জাপানী অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ অবস্হায়, তারা উৎপাদনমুখী অর্থনীতির থেকে বিনিয়োগমুখী অর্থনীতির দিকে চলে গেছে গত ২০ বছরে, তাদের উৎপাদনমুখী অর্থনীতি দখল করে নিয়েছে চীনারা।
****এই মহুর্তে "ডাও ইন্ডাষ্ট্রিয়েল' ৬০০ পয়েন্টের কাছাকাছি নীচে চলে গেছে; সমস্যা দানা বাঁধছে!
গতকালের ষ্টকমার্কেট পড়ে যাবার পেছনে চীনাদের অবদান বেশী, তাদের ষ্টকমার্কেট 'বেয়ার মার্কেটে' চলে গেছে প্রায় বছর খানেক আগে; গতকাল চীনারা তাদের মুদ্রার মান কমায়ে দিয়েছে। যাক, হিসেব অনুযায়ী রিশেসান শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছর থেকেই; কিন্তু ট্রাম্পের সরকার মানুষকে ক্রমাগতভাবে ভালো অর্থনীতির কথা বলে বছর খানেক ধরে রেখেছে।
আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বে রিসেশান শুরুকে তরান্বিত করে বড় বড় কর্পোরেশগুলো; তারা প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চাকুরীতে নতুন লোক নেয়া বন্ধ করে দেয় ও কিছু লোক চাটাই করে প্রথমদিকে; এই অবস্হা দেখার সাথে সাথে মানুষ ভ্রমণ করা বন্ধ করে দেয়, ও নতুন গাড়ী কেনা বন্ধ করে।
এই সপ্তাহের মাঝে বুঝা যাবে আমেরিকান কর্পোরেশনগুলো ও বড় বড় ব্যাংকগুলো কি কি পদক্ষেপ নেয়। পশ্চিমের অর্থনীতির আরেক খারাপ দিক হলো, "শর্টসেল বিনিয়োগকারী ফান্ডগুলো"; ইহারা আসলে শকুনের মতো, রিসেশান দেখা দিলে, ইহারা শকুনের মত ষ্টকমার্কেটের আকাশে উড়তে থাকে; ইহাদের ভয়ে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের ষ্টকগুলো কম দামে বিক্রয় করার শুরু করে। আজ সকাল থেকে এক সুইডিস শকুনকে দেখালো সংবাদে, এই ইডিয়ট সুইডেন থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার আমেরিকায় এনে "শর্টসেল" ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে, এবং সকালে সে হাসতে ছিলো, সে বলেছে, গত ৬ মাস থেকে তারা ভয়ংকর ভালো করছে। আমেরিকা এসব বিদেশী শকুনদের ব্যবসা করতে দিয়ে নিজের বিপদ বাড়াচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯