করাচী রিফিউজীদের শহর, করাচীর জনসংখ্যা এখন ২ কোটী ২০ লাখের মতো; ১৯৪৭ সাল, ভারত বিভক্তির সময় থেকে শুরু করে আজ অবধি করাচী সব ধরণের রিফিউজীদের ভালোবাসার সাথে বুকে ধারণ করে রেখেছে; এদের মাঝে আছে বিহার ও ভারতের উর্দুভাষী অন্চল থেকে আগত রিজিউজিরা, আফগানরা, কিছু বাংগালীও আছেন। সেখানে ৪ লাখ রোহিংগা আছে, এবং ভালো খবর যে, তাদেরকে বাংলাদেশের মতো কোন রিফিউজী ক্যাম্পে আটক করে রাখা হয়নি, তারা সেই শহরের অধিবাসী হয়ে গেছে।
করাচীতে বসবাসরত ৪ লাখ রোহিংগাদের আনুমানিক ৩/৪ লাখ আত্মীয় রোহিংগা থাকার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে; করাচী শহর রোহিংগাদের আলাদা করে না রাখার কারণে, এবং সেখানে বাংলাদেশে অবস্হানরত রোহিংগাদের আত্মীয় স্বজনরা থাকায়, বাংলাদেশী রোহিংগাদের একাংশ নিশ্চয় করাচী যেতে উৎসাহী হবে; এই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর দরকার।
রাখাইনে যেসব দরিদ্র রোহিংগাদের জমিজমা ছিলো না, তারা অবশ্যই রাখাইন ফেরত যেতে চাইবে না; এই ধরণের পরিবারে যদি কার্যক্ষম পুরুষ থাকে, এবং করাচীতে যদি তাদের আত্মীয়স্বজন থাকে, তাদেরকে করাচী যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে গোপনে; এবং করাচীর মানব পাচারকারীদের সাহায্য নিয়ে এদের করাচী পৌঁচিয়ে দেয়া সম্ভব।
বর্তমানে রোহিংগাদের সাহায্যের জন্য যেই পরিমাণ ক্যাশ পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে একাংশ দিয়ে যদি রোহিংগাদের একাংশকে করাচী নেয়া যায়, এই পদক্ষেপটি সবার জন্য ভালো হতে পারে; করাচীতে রোহিংগারা নিজেদের জন্য নতুন জীবন খুঁজে পাবে।
করাচী শহরের ভালো দিক হলো, প্রতিটি এথনিক গ্রুপের নিজস্ব পাড়া, এলাকা ইত্যাদি আছে; এই মেগা শহরে মানুষ কোন না কোন উপায়ে জীবিকার ব্যবস্হা করে নেয়।
বর্তামানে বাংলাদেশে অবস্হানরত রোহিংগাদের মাঝে, সেসব পরিবার রাখাইনে আগের থেকেই দরিদ্র ছিলো, ও পরিবারে পিতা নেই, ছেলেমেয়ে মায়ের সাথে আছে, এসব পরিবারকে বর্তমান রিফিউজী ক্যাম্প থেকে সরায়ে, আলাদা স্পেশাল ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে, আলাদা পরিবেশে মানুষ করার দরকার; কারণ, এরা কখনো চাইলেও হয়তো ফেরত যেতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬