গত ৪০ বছরে, গার্মেন্টস'এর মালিকরা ও অন্যান্য মধ্যভোগীরা যেই পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে, তাতে তাদের কর্মচারীদের বিনা কাজে ২/১ বছর মিনিমাম বেতন দেয়ার ক্ষমতা তারা রাখে। গার্মেন্টস'এর মালিকেরা বেতন না দিলে সরকার ১ বছরের বেশী সময় দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখে; সরকারের উচিত ছিলো, গার্মেন্টসকর্মীদের ঘরে রাখা; কর্মীদের উচিত ছিল, নিজের ও দেশের মানুষের প্রাণ রক্ষার্থে ১ মাস ঘরে থাকা।
এই মহুর্তে ইউরোপ, আমেরিকার ক্রেতারা চাইলে তাদের মালামাল আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোন পোর্টে খালাস করতে পারবে না; তদুপরি, আনীত মালামালকে "জীবাণমুক্ত" করার বিরাট ঝুকি নিতে হবে; তা'হলে, বাংলাদেশের মালিকেরা কল-কারখানা চালু করছে কেন? ওরা হয়তো, বায়ারদের সাথে, শিপিং'এর সাথে কিছু একটা করছে, যা বর্তমান পরিস্হিতি অনুসারে বেআইনী হওয়ার সম্ভাবনা।
আমেরিকায়, ইতালীতে যা ঘটছে, তা গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমের কারণে, সরকারের হাতে দরকারী বিষয়ে কন্ট্রোল নেই, উহা অনেক আগের থেকে 'প্রাইভেট কোম্পানীগুলোর' হাতে চলে গেছে; নিউইয়র্কের প্রাইভেট হাসপাতাল, একটি অলাভজনক হাসপাতাল কয়টি 'ভেনটিলেটার' রাখবে, সেটা সরকার ঠিক করে দেয় না, সেটা হাসপাতালের ব্যবসায়িক নীতির মাঝে পড়ে। বাংলাদেশেও গার্মেন্টেস প্রাইভেটের হাতে।
আমেরিকানরা, ইতালিয়ানরা ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাস করে, জাঁকজমক জীবন যাপন করে; তারা যেই সিষ্টেম চালু করেছে, এবার তারা উহারই শিকারে পরিণত হচ্ছে; কিন্তু বাংলীরা অন্যের ক্যাপিটেলের জন্য প্রাণ দিবে, তারা এই সিষ্টেম থেকে কোন ধরণের সুযোগ ভোগ করেনি; অবস্হাটা হচ্ছে, মনিবের ভুলে মনিব আক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু মনিবের সেবায় নিযুক্ত দাসও আক্তান্ত হলো; দাসকে অকারণে মুল্য দিতে হলো।
শ্রমিকেরা সামান্য রিস্ক নিয়ে ঘরে ১ মাস থাকলে কিছু হতো না; সরকার ভাবছে বাজার হারাবে ভিয়েতনামের কাছে, ভারতের কাছে; মালিকেরা ভাবছে ব্যবসা কমে যাবে, ব্যবসা চলে যাবে অন্যদের হাতে; কিন্তু মরতে যদি হয়, কমর্মীদেরই মরতে হবে, দেশবাসীকেই মরতে হবে। কর্মীদের কাজে যাবার আগে ভাবার দরকার ছিলো, সরকার তাদের পক্ষ নেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮