করোনা নিয়ে ভারতের মানুষের মেজাজ ভয়ংকর খারাপ; আমেরিকা, ব্রাজিল ও ভারত এখন করোনার স্হায়ী ঠিকানা; আমেরিাকানদের ধৈর্য আছে, সহজে নিজের দোষ অন্যের উপর চাপায় না, ব্রাজিলের মানুষদেরও কিছুটা চরিত্র আছে; কিন্তু ভারতের সাধারণ মানুষজন বাংলাদেশের মানুষদের মতো, ওরা সহজেই বিনা ভাবনায় অন্যের উপর দোষ চাপাতে ওস্তাদ, নিজের মেজাজ খারাপ হলে, অন্যের বিপদ।
করোনার শুরুতে ভারতের বিবিধ এলাকায়, মসজিদে তাবলীগ, মাবলীগ করে মুসলমানেরা নিজেদের মাঝে কিছুটা করোনা ছড়ায়েছে; ইহা নিয়ে বেশ চীৎকার হয়েছিলো, ধরাধরি হয়েছিলো। গত ঈদে ভারত সরকার মানুষকে বাড়ীতে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছিলো, উহা বিনা সমস্যায় সম্পন্ন হয়েছে।
কোরবানীর ঈদেও মসজিদ ও ঈদগাহে সমাবেশ করতে না দিলে ও পশু কোরবানী নিষিদ্ধ করলে, আপনার বক্তব্য কি হবে? করোনার মাঝে পশু কোরবানী করলে, দাংগাবাজরা একটা ইস্যু পাবে হাতে। মানুষের মেজাজ ভালো নেই; ফলে, সাধারণ মানুষ হয়তো দাংগাবাজদের বিপক্ষে কিছু বলবে না। কোনভাবে, কোন এলাকায় দাংগা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সরকার পশু কোরবানী বন্ধ রাখতে আদেশ দিতে পারে।
ভারতের দরিদ্ররা বেকার হয়ে গেছে, ভারতে সাহায্য পাওয়া মোটামুটি অসম্ভব, মানুষ অসহায়। অবশ্য, মুসলমানদের অর্থনীতি সবার চেয়ে খারাপ। এই অবস্হায়, মুসলমানদের উচিত সমস্যায় না যাওয়া। কারণ, দাংগা বাধে সব সময় দরিদ্র এলাকায়। ভারত সরকার ভাবছে, কোরবানী বন্ধের কথা; কারণ, করোনা নিয়ে সরকার বিপাকে, এর মাঝে যদি দাংগা হয়, সরকার সমস্যায় পড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮