হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যদি কোনো হাবসী কৃতদাস তিনিও যদি কুরঅন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফসম্মত কথা বলেন তাহলে তা শ্রবণ করবে এবং তা মানবে। অর্থাৎ যারা মুসলমান হবে তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হলো, দ্বীন ইসলাম তথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী প্রতিটি আমল করা এবং আক্বীদা পোষণ করা। অথচ আশ্চর্য হলো, দ্বীন ইসলামের একটি অন্যতম ফরয আমল হচ্ছে হজ্জ। এই হজ্জ আদায়ের ক্ষেত্রে মুসলমানরা আজ চরমভাবে বিভ্রান্তির শিকার।
যেখানে হাদীছ শরীফ-এ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোযা, ঈদ, হজ্জ ইত্যাদি ইবাদতগুলো আরবী মাসের সঠিক তারিখ অনুযায়ী পালনের জন্য নির্দেশ করেছেন সেখানে সউদী ওহাবী সরকার আরবী মাসগুলো চাঁদের তারিখ সঠিকভাবে গণনা না করে বরং ক্যালকুলেশন অনুযায়ী মনগড়াভাবে গণনা করে মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগীগুলো অনায়েসে নষ্ট করে দিচ্ছে। বিশেষ করে সউদী আরবের চাঁদের তারিখের সাথে হজ্জের আমলটি সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের অগণিত মুসলমান তাদের জীবনের কষ্টার্জিত টাকা পয়সা নিয়ে হজ্জ করতে আসেন। কিন্তু সউদী ওহাবী সরকার চাঁদের তারিখ সঠিকভাবে গণনা না করার কারণে হজ্জের ফরযগুলো, ওয়াজিবগুলো যেদিন ও যে সময়ে আদায় করার নিয়ম; সেদিন আদায় না করার কারণে হজ্জের আমলটি বরবাদ হচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে কোনো হাজী ছাহিবই ফিকির করছে না। উদাহরণস্বরূপ হজ্জের তিনটি ফরযের একটি হচ্ছে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। এই অবস্থান কিন্তু বছরের যে কোনো দিন করলে চলবে না, করতে হবে ৯ই যিলহজ্জ তারিখে। তার আগের কিংবা পরের তারিখেও যদি করে তাহলে হজ্জ শুদ্ধ হবে না বা আদায় হবে না। তাহলে হজ্জ যাতে সঠিকভাবে পালিত হয় সেজন্য কত সতর্কতার সাথে সউদী জনগণ ও সরকারের যিলহজ্জ মাসের চাঁদ তালাশ করা উচিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শত-সহস্র আফসুস যে, সউদী ওহাবী সরকার এ বছরও যেদিন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ তালাশ করবে যেদিন চাঁদ থাকবে দিগন্তরেখার বেশ নিচে। অর্থাৎ সউদী আরব এ বছরেও চাঁদ না দেখেই যিলহজ্জের তারিখ ঘোষণা করে হজ্জ বাতিল করতে যাচ্ছে। সুতরাং হজ্জে গমনেচ্ছুক হাজী ছাহেবসহ সকল দেশের মুসলমানদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।