আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমরা হয়তো শুধু চেহারাই দেখি, চুল, চোখ, গাল। কতদিন হলো নিজেকে দেখা হয়ে উঠছে না আমাদের। বৃষ্টিতে শরীর ভেজাই, নিজেকে আর ভেজানো হয়ে ওঠেনা আজকাল। কিন্তু প্রতিদিনই আমাদের ছায়া হ্রস্ব থেকে হ্রস্বতর হয়। হয়তো কুঁকড়ে থাকা অস্তিত্বের দিকে তাকাতে খুব ভয় হয় বলেই চুল আঁচড়ানো পর খুব দ্রুতই সরে পরি আয়নার সামনে থেকে।
রাত নিজ্ঝুম, পথে কত ভয় তবুও রানার ছোটে। রানার ছুটেও চলেছে সেই শেরশাহের কাল থেকে। অনেক অনেক খবর প্রতিদিন পৌঁছে যায় আমাদের নাস্তার টেবিলে, কলিগদের আড্ডায়, রাস্তার মোড়ের চায়ের স্টলে অথবা হঠাৎ নিরঙ্কুশ একাকিত্বের মুহূর্তে। খবর আসে, খবর পড়ি, জম্পেশ আড্ডার উপকরণ পেলে চেহারা জুড়ে ছড়িয়ে পরে প্রলম্বিত হাসি।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই। কাকে ছোঁব? কখন ছোঁব? আজকাল আমরা ছুঁতেও ভুলে গেছি, কিছুই আর আমাদের ছুঁতে পারেনা। পাশের ফ্ল্যাটে মৃতদেহ সৎকারের সময়েও আমরা মুন্না ভাই এমবিবিএস অথবা মনিটর জুড়ে বিস্তৃত সস্তা নারিদেহে পুরুষাঙ্গের উত্থান দেখে তৃপ্ত হই।
প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে আরো একটি শিশুর মৃত্যু! (আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭