ভারতের মধ্য প্রদেশে মাদ্রাসাগুলোতে হিন্দুধর্মগ্রন্থ গিতা পাঠ বাধ্যতামূলক করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। অথচ এই ঘৃণ্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টু’শব্দ উচ্চারণ না করে বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ধর্মব্যবসায়ী দেওবন্দি গোষ্ঠী।
এর কারণ দেওবন্দি ধর্মব্যবসায়ীরা হিন্দুদের পক্ষ অবলম্বন করে এরা নিজেরাই হিন্দু হয়ে গিয়েছে। তারা এর বিরুদ্ধে বলবে কোন মুখে?
যেমন:
১) রাশিয়া তার দেশে গীতা নিষিদ্ধ করতে চাইলে হিন্দু মুসলিমদের উক্ত সিদ্ধানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় দেওবন্দ মৌলভীরা। (সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ২২শে ডিসেম্বর, ২০১১)
২) দেওবন্দিরাই ফতওয়া দেয়, হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না। (সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯)
৩) দেওবন্দীরাই ফতওয়া দেয়, গরু হিন্দুদের দেবতা হওয়ায় গরু কুরবানী করা যাবে না। (সূত্র: দ্য হিন্দু, ৬ই নভেম্বর, ২০১১)
৪) দেওবন্দি ধর্মব্যবসায়ীরা নরেন্দ্র মোদির পক্ষ অবলম্বন করে বলেছিল, “২০০২ সালে সংঘটিত গুজরাট দাঙ্গার কথা মুসলমানদের ভুলে যাওয়া উচিত এবং গুজরাটে মুসলমানরা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না”। (সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ১৯শে জানুয়ারি, ২০১১)
৫) ২০০৮ সালে দেওবন্দীদের ২৯ তম বার্ষিক সভার প্রধান অতিধি ছিল হিন্দু ঠাকুর রবি সঙ্কর এবং ২০০৯ সালে ৩০ তম বার্ষিক সভার প্রধান অতিধি ছিল হিন্দু ঠাকুর রাম দেও। সে অনুষ্ঠানে রাম দেও’র থেকে হিন্দুদের ইয়োগা শিক্ষা গ্রহণ করে দেওবন্দিরা। (সূত্র: টাইমস ২৪ ইন্ডিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান নিউজ)
(বি:দ্র: বাংলাদেশীদের হেফাতিদের তীর্থস্থান হচ্ছে এই দেওবন্দ মাদ্রাসা। এই বিভ্রান্ত এই দেওবন্দ মাদ্রাসাকেই অন্ধ অনুসরণ বাংলাদেশের কওমী/খারেজী/হেফাজতিরা, হেলিকপ্টার শফিও এ মাদ্রাসার ছাত্র)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১১