somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তমনা ইসলামপন্থীদের কীবোর্ড যুদ্ধ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-----------------
//নারী বাহ্যিক শক্তিতে দূর্বল//
এইটা কেমনে ভাই? টেষ্ট করেছিলেন নাকি নারী বাহ্যিক শক্তিতে দূর্বল? ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ!!!
-------------------
সমাজ ..."নারী বাহ্যিক শক্তিতে দুর্বল" ...এটা শিখিয়ে সাইকোলজিকেলী নারীদের দুর্বল করেছে।
ধরুন ৫ম শ্রেনীর একটা ছাত্র এবং ছাত্রী। ছাত্রটি বাইরে যেতে শিখে। ছাত্রীটি ঘরে ঢুকতে শিখে। ছাত্রীকে বলা হয় তুমি মেয়ে তাই তুমি এটা সেটা করতে পারবেনা। আর ছেলেদের বলা হয় কিভাবে মার খেয়ে মার দিতে হয়। সমাজ আগ্রাসী প্রতিবাদী নারীদের দজ্জাল, জঞ্জাইল্যা , আইরন লেডি বলছে । আর নরম সহনীয় ছেলেদের লেডিস গালি দিতে শিখিয়েছে। এভাবে মেয়েরা মানসিক ভাবে নারী হয়ে উঠে বা নারী করে গড়ে তোলা হয়। আর ঘরে ফেরা মেয়েটির ব্যায়ামহীনতার কারনে ধীরে ধীরে হাঁড় নরম হয়ে উঠে। ছেলেকে শিখানো হয় বোনটিকে রক্ষার দায়িত্ব তোমার। আর মেয়েকে শিখানো হয় প্রতিবাদ মানে দজ্জাল , জঞ্জাইল্যা । এভাবে নারীরা হয়ে উঠে ডিফেন্সিভ মানসিকতার আর ছেলেরা হয় ওফেন্সিভ। এভাবে চলে নারী পুরুষের মানুষের তৈরী করা অঘোষিত শৃংখল।

--------------------------------
থিউরিটিক্যালী ইসলামে সমস্যা নেই। ইসলামপন্থীদের মধ্যে চরম সমস্যা আছে।
ঢালাওভাবে আমি সহ ইসলামপন্থীদের অজ্ঞ এবং মূর্খ ঢাকার যথেষ্ট সুযোগ এবং অধিকার আধুনিক সভ্যতার রয়েছে। শুুধু অজ্ঞই নয় একেকটা চরম বেয়াদব।
জেনার সাক্ষী করা হয়েছে চার জনকে। কোথায় পাওয়া যাবে চারজন সাক্ষী । যাকে হাইজ্যাক করে রেপ করা হয়েছে তার ১ জন সাক্ষীও পাওয়ার কথা না। (সাহাবাদের সমাজে একজনের সাক্ষী দিয়ে ধর্ষনের ডেথ পেনাল্টি এর উদাহরন আছে।)মুফতীরা বলেই যাচ্ছে চারজন সাক্ষী লাগবে। দোয়াতের ভিতর কলম ঢুকানো দেখতে হবে।ধর্মী পুরোহিতরা বলেই যাচ্ছে "কুরআন বিজ্ঞানের প্রতি মোহতাজ না"। ডিএনএ টেস্ট নিয়ে তাদের কথা নেই। নতুন বিষয় দেখলে তাদের অন্তর জ্বালা করে উঠে।ঈমানের পিত্তি দোল খায় । জ্বলে ছিড়ে যায়। অনেক গন্ড মুর্খদের বিজ্ঞানের রক্তদান প্রথায়ও সমস্যা, মরনোত্তর চক্ষু দানেও সমস্যা।
---------------------------------------
যখনই ইসলামী দার্শনিকরা উসুল ঠিক করতে গেছে তখনই প্রতিবাদ উঠেছে। সেই দার্শনিককে ত্যক্ত বিরক্ত করা হয়েছে। অবশ্যই পরে জনমতের চাপে ৫০/৬০ বছর পরে সেই দার্শনিককে গ্রহন করেছে সমাজ। কিন্তু সেই দার্শনিক ততক্ষনে বিরক্ত হয়ে নতুন চিন্তা করা বাদ দিয়েছে। এভাবে মুসলিম সমাজে দার্শনিকের সিকিউরিটি নেই, কাজের পরিবেশ নেই। অবশ্যই প্রকৃত ইসলামে আছে। ইসলাম দার্শনিককে ইনডেমনিটি দিয়েছে।তার নিয়তের উপর ছেড়ে দিয়েছে। ভূল ইজতিহাদের জন্যে সওয়াব দিয়েছে। চিন্তা করাকে ইবাদাত বলেছে। "ফকীহু ওয়াহিদুন আসাদ্দু আলাশ শাইতানি মিন আলফি আবিদ" বলেছে। ইসলামের প্রথম বানী ইকরা। ইসলাম দার্শনিকদের বেসিক প্রিন্সিপ্যালে বেধেঁ স্বায়ত্বশাসন দিয়েছে।
---------------------
উগ্রপুরুষতন্ত্র ভর করা ধর্মীয় আবেগের সিকিউরিটি নিয়ে তথাকথিত স্বঘোষিত ইসলামের ইজারাদাররা ইসলামপন্থী সেজে কুরআন হাদীস নিজেই বানিয়ে ফেলেছে। এরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীকে কুরআন বানায়া ফতোয়া দেয়। এরাই আগে জাহান্নামে যাবে।
--------------------------------
ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে ইসলাম তার বক্তব্য খোলাসা করেনি। ৩ খলীফার অপমৃত্যুকে বিরোধী মহল দ্ধারা ইসলামে ক্ষমতা পরিবর্তনের রুলস না থাকাকে দায়ী করাটা অযৌক্তিক নয়।
---------------------------------
একসময় বলছে গীবতের কথা অন্য দিকে সমালোচনার অতি প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উসুল ঠিক হইনি। বৃহত্তর উদ্দেশ্যে সমালোচনাকে উৎসাহিত করা হয়নি। গীবত না করা যদি অপরাধ গোপন হয় তবে বিচার ব্যবস্থারই দরকার কি? সুতরাং গীবত সমালোচনা বিচার ইত্যাদির ব্যাপারে ব্যালেন্সিং কথা বলার সময় এসেছে। বড় মোহতামীমকেও দেখা গেছে টাকা তসরুপ করছে। এখানে সমালোচনা দরকার , জনমত গঠন দরকার , বাকস্বাধীনতা দরকার। বিচারের মুখোমুখি করার জন্যে সাহস যোগানো দরকার।
----------------------------
ধর্মীয় আবেগে হিফনোটাইজ থাকলে আপনি ন্যায়বিচার এর আলোকে মাসআলা তৈরী এবং আইন বানাতে পারবেননা। ইসলামপন্থী নেতারা চালাকী কইরা সংগঠনের সিলেবাসে বিচার ব্যবস্থার উপরে কোন বই রাখেনি বলেই মনে হয়। ইসলাম ক্ষমতায় যাওয়া মানেই আইন বানানো আার কোর্ট চালানো। ইসলামপন্থীরা সংবিধান বানায়নি। তুমি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। কাল ক্ষমতায় গিয়া কোন কচুটা করবা জাতির জানা উচিত। ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান বানানো না। আগেই সংবিধান বানাও। প্রিভেনশান ইজ বেটার দেন কিউর। মানুষের বানানো আইন শিরক বলেই যাচ্ছে। অথচ দেশ চালাতে হলে অনেক মানুষের বানানো আইন দরকার। কুরআন বিরোধী নয় এম আইন বানানোতে ইসলামে সমস্যা দেখিনা।
-------------------------------------
ইসলাম বিরোধীরা ইসলামকে সভ্যতার জন্যে কেন থ্রেড বলছে তা নিয়ে গবেষনা হয়নি। যেমন ধরুন ফতেমা আপা ... সে সিভিল থেকে পড়ে অন্য ডিসিপ্লিনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সমাজ যদি মনে করে ইসলাম ওরে পাইছে বলে সে এই বিষয়ে কন্ট্রিবিউট করতে চাচ্ছেনা। ।শাহীন ভাই রসায়ন পড়ে অর্থনীতি গবেষনা করছেন। ডিপ্লোমা করেছেন। সফলতার ধার প্রান্তেও। রসায়ন সমাজ যদি মনে করে এরে ইসলাম পাইয়া সে রসায়নের আপগ্রেডেশান থেকে দুরে সরে গেছে। সেলিম রেজা ... বিবিএ পইড়া বিবিএ রিলেটেড কোন গবেষক হইবে তা নিয়া জাতি আশংকায় আছে। আর এই পাজি লোকমান কম্পিউটার সায়েন্স পইড়া ফেইসবুকে পোস্ট মারে। এখন কম্পিউটার প্রকৌশলী সমাজ যদি মনে করে ইসলাম এর প্রতি আবেগের কারনে আইটি রিলেটেড ডেভেলপমেন্টে লোকমান কে পাওয়া গেলনা।
-------------জাকের নায়েক মহোদয় ইসলামের ক্ষতিটা করেছেন আরো বড়। ডাক্তারী পাশ কইরা ধর্মতত্ত্ব নিয়া আছে। নিজের ফিল্ডে বিশাল একটা মশা। এখন ডাক্তার সমাজ যদি মনে করে ইসলাম জাকির নায়েককে পাওয়ার কারনে তাদের এই অবস্থা। যেখানে ইহুদীরা ধর্মীয় কারনে বিজ্ঞানী হচ্ছে সেখানে ফাতেমা আপা টিচার শাহীন ভাই অথনীতিবিদ আর সেলিম রেজা রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার। লোকমান আজাইরা পোস্ট দাতা।----------- ডাক্তার জাকির নায়েক ধর্মতত্ত্ব এর গবেষক। আহ ...কি সুখ ইসলামের। !!!!!! -----সুতরাং এই কারনে ইসলামপন্থীরা সভ্যতার ডেভেলাপমেন্টের শত্রু। বাট ইসলাম নয়। ইসলাম বলেছে ****"ওয়া ইলাল ইবিলি খাইফা খুলিখাত। ওয়া ইলাসসামায়ি খাইফা রুফিয়াত"।*****
-----সভ্যতার ডেভেলপমেন্টকে ইবাদাত হিসেবে নিতে হবে। ইসলাম নিয়ে এত পড়া শুনার কি আছে বুঝলাম না। কালিমাটা ঠিকমত পইড়া নামাজ রোযা হজ্জ তায়াম্মুম অজু তাহারাত হালাল হারাম ফরজ ওয়াজিব এক বছর পড়লেই তো হইয়া যায়। ইসলাম নিয়া এত পড়ার কি আছে সেইটাই বুঝিনা। তবে স্পেশাল ফিল্ডে অনেকদিন পইড়া ও কাজ কইরা স্পেশালিস্ট হতে হবে।
--------------------------
যাকাত আর মীরাসী সম্পত্তি বুঝেননা? স্পেশালিস্ট এর কাছে যান। বিচার বুঝেনননা? স্পেশালিস্ট এর কাছে যান। সাহিত্য বুঝেননা? স্পেশালিস্ট এর কাছে যান। সংস্কৃতি বুঝেননা? স্পেশালিস্ট এর কাছে যান। রাজনীতি বুঝেননা ? স্পেশালিস্ট এর কাছে যান।


একজনে সব মাস্টারী করতে হবে কেন? অল নোয়িং ম্যান মাস্টার অব নান। ইসলামপন্থীরা সব জানে আবার কোনটাতেই ঠিকমত বড় বেয়াদব হতে পারেনাই। সুতরাং চাই সৃজনশীল বড় বেয়াদব। আদব কায়দা জানাওয়ালা লোক দিয়া আধুনিক সভ্যতার নেতৃত্ব দেয়া যাবেনা।ডমিনেট করা যাবেনা। এখনো মুসলিম সমাজ পুরাই একটা প্রতিক্রিয়াশীল জনগোষ্ঠী। যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড । মুর্খতা। তাই মুসলিম সমাজ নয় ইসলামী সমাজ চাই।

বিরক্ত করা সহ্য করার জন্যে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফিজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×