somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালিদের ইয়ারমুখ যুদ্ধ (কিস্তিঃ৬/১ম দিনের যুদ্ধ)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খালিদ তার ঘোড়া নিয়ে জর্জের দিকে এগিয়ে গেলেন, এবং এগুতেই থাকলেন যতক্ষন পর্যন্ত না দুজনের ঘোড়ার গলা পাশাপাশি একে অন্যেরটা ক্রস করল। বাইজান্টাইন আর মুসলিম ফ্রন্ট জুড়ে পিন পতন নিস্তব্ধতা। কিন্তু আসন্ন দ্বন্দযুদ্ধের শুরু আর শেষ নিয়ে দুপক্ষের উন্মুখ দর্শকদের জল্পনা কল্পনায় জল ঢেলে দুজন বরং কথোপকথন শুরু করল।

জর্জ জানতে চাইল, “শুনেছি তোমার ঈশ্বর নাকি স্বর্গ থেকে তোমাদের নবীর জন্য একটা তরবারি পাঠিয়েছিল, আর তিনি নাকি সেটা তোমাকে দিয়ে দিয়েছিলেন?”
জর্জের চোখ থেকে চোখ না সরিয়ে খালিদ সংক্ষিপ্ত জবাব দিল, “নাতো।“
“তাহলে লোকে কেন তোমাকে ‘সাইফুল্লাহ’ ডাকে?” জর্জ কথা চালিয়ে গেল।
খালিদ বলল, “আমার নেতৃত্বে মুতার যুদ্ধে জয়ের সংবাদ শুনে আমাদের মহানবী (সাঃ) নাকি বলেছিলেন যে অবশেষে একজন ‘সাইফুল্লাহ’ যুদ্ধের হাল ধরেছে। সেই থেকেই লোকে আমাকে ‘সাইফুল্লাহ’ ডাকতে শুরু করেছে।“
“আমার জন্য তোমার পরামর্শ কী?” দ্বিধান্বিত জর্জ জানতে চাইলেন।
“কালেমা পড়, আর মুসলমান হয়ে যাও।“
“যদি তা না হতে চাই?”
“তাহলে জিজিয়া কর দিতে রাজি হও, আমরা তোমাকে নিরাপত্তা দেব।“
“তাতেও যদি রাজি না হই?”
“সেক্ষেত্রে তরবারি উঠাও, এসো লড়াই শুরু হোক।“
জর্জ খালিদের প্রস্তাব নিয়ে কিছুক্ষন ভেবে বললেন, “আজকে যে তোমার ধর্মে বিশ্বাস আনবে, তার জন্য কি ব্যবস্থা?”
খালিদ সাথে সাথেই জবাব দিলেন, “ইসলামে সবাই সমান। তোমার জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা নেই। তুমি ইসলাম কবুল করলে আজ আমাদের পাশে সাধারন একজন মুসলিম যোদ্ধা হিসেবেই লড়তে হবে।“
জর্জ বললেন, “তোমাকে বিশ্বাস করছি আর তোমার ধর্মও গ্রহন করলাম।“
এরপর দুই বাহিনীকেই হতবাক করে দিয়ে খালিদ মুসলিম ফ্রন্টের দিকে ঘোড়া ঘুরিয়ে ফিরে আসতে লাগল, জর্জ তাকে অনুসরন করল। জর্জ অবশ্য প্রথম দিনের যুদ্ধেই শহীদ হয়ে ছিলেন।

পাশ্চাত্যের খ্রিস্টান ইতিহাসবিদেরা অবশ্য এ ঘটনাকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেয়। অবশ্য তারা পারতপক্ষে ইয়ারমুখ নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে চান না। ইনিয়ে বিনিয়ে তারা বাইজান্টাইন সৈন্য সংখ্যা যতটা পারা যায় কমিয়ে বলতে ভালবাসেন। এতোদিন বলা হত ইয়ারমুখ যুদ্ধে ২৪ থেকে ৪০ হাজার মুসলিম সেনাদের বিরুদ্ধে লড়েছিল ১ থেকে ৪ লাখ বাইজান্টাইন সেনা। ইদানিং উইকিপিডিয়ার দাবী মুসলিম ২৫ থেকে ৪০ হাযার আর বাইজান্টাইন ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ। যাহোক অন্তত একটা ফ্যাক্ট তারা মেনে নিয়েছে যে বাইজান্টাইনরা সংখ্যায় মুসলিমদের থেকে অনেক বেশিই ছিল।

আর জর্জের আগেও ইহুদি আর খ্রীস্টানদের অনেকেই অনেক কারনে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্মে কনভার্ট হতে শুরু করেছিল। যেমন ‘জোনাহ দ্য লাভার’ এর কাহিনী। মুসলিম আর্মি ছয় মাস ধরে দামেস্ক অবরোধ করে রেখেছিল। তখন জনৈক গ্রিক ধনকুবের মার্কাসের পুত্র জোনাহর বিয়ে গেল আটকে কারন এই অবরোধের ভেতর তার হবু শ্বশুর বিয়ের কথা মাথায়ই আনছিলেন না। অগত্যা ফ্রাস্ট্রেটেড জোনাহ দেয়াল টপকে খালিদের কাছে গিয়ে ইসলাম কবুল করে বলে দিল যে ১৮ই সেপ্টেম্বর রাতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শহরের ডিফেন্সিভ ওয়ালে সেন্ট্রির সংখ্যা অনেক কম থাকবে। সুযোগটা লুফে নিয়ে খালিদ সে রাতেই একটা কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালালেন। একই সময়ে আবু উবাইদাও শহরের পশ্চিম প্রান্তে বাইজান্টাইনদের সাথে আলোচনায় বসলেন। আলোচনার মাঝখানে যখন খবর এল যে পূর্ব প্রান্ত দিয়ে মুসলিম সৈন্যরা শহরে ঢুকে গেছে, তখন আবু উবাইদার শর্ত মেনে নিতে বাইজান্টাইনরা আর দ্বিমত করেনি। অবশ্য জোনাহ তার বাগদত্তাকে আর বিয়ে করতে পারেনি এবং সেও ইয়ারমুখ যুদ্ধে বাইজান্টাইনদের সাথে লড়ে শহীদ হয়েছিলেন।

যাহোক, খালিদ আর জর্জ ফিরে আসার পর পরই মুসলিম চ্যাম্পিয়ন ‘মুবারিজুন’ রা একে একে নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে দাড়াতে লাগল আর বাইজান্টাইন অফিসারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে লাগল। এই ওয়ার্ম আপ ডুয়েলের ফলাফল জানার আগে সময় হয়েছে দুই বাহিনীর ডেপ্লয়মেন্ট সম্পর্কে জানার। কেননা ব্যাটেলফিল্ডে দুই বাহিনীর ডেপ্লয়মেন্ট প্যাটার্ন সম্পর্কে ক্লিয়ার আইডিয়া ছাড়া ব্যাটেলের ডেভেলপমেন্ট আর ট্যাক্টিক্যাল মেনুভার পড়ার মজাটাই নস্ট হয়ে যাবে।


ভাহান মুসলিম আর্মির বিরুদ্ধে পুর্ব্দিকে মুখ করে তার বাহিনী দাড় করালেন। ফ্রন্টের দৈর্ঘ দাড়াল প্রায় ১২ মাইল। তিনি যেকোন কারনেই হোক ট্র্যাডিশনাল বাইজান্টাইন ডেপ্লয়মেন্ট প্যাটার্ন ফলো না করে সামনে চারটা আর্মি রেখে ফ্রন্ট সাজালেন, এবং চারটাই পদাতিক আর্মি। সাধারনত বাইজান্টাইন জেনারেলরা যুদ্ধে মাঝখানে পদাতিক রেখে দুই পাশে ক্যভুলরি অশ্বারোহীদের রাখতেন বেটার মবিলিটি আর ফ্ল্যাঙ্কিং মেনুভার পেতে। কিন্তু ভাহান তার ক্যভুলরিকে সমান চার ভাগে ভাগ করে চার পদাতিক আর্মির পেছনে রিজার্ভ হিসেবে রাখলেন।


চারটা আর্মি নিয়ে যখন ফ্রন্ট গঠন করা হয় তখন ডান আর বামের আর্মিকে বলে রাইট আর লেফট উইং, এবং মাঝের দুই আর্মিকে বলে সেন্টার। আবার সেন্টারের ডানের আর্মিকে বলে রাইট সেন্টার আর বামেরটা লেফট সেন্টার। বাইজান্টাইন লেফট উইং এর দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল কানাত্বির আর রাইট উইং এ জেনারেল গ্রেগরি, লেফট সেন্টারে জেনারেল দাইরজান আর রাইট সেন্টারে ভাহান নিজে। অবশ্য ভাহান যেহেতু অভার অল কমান্ডে ছিলেন তাই গোটা সেন্টারই দাইরজান একাই সামলাচ্ছিলেন। প্রিন্স জাবালাহ তার ঘোড়া আর উটের বাহিনী নিয়ে ছিলেন চার বাহিনীর সামনে স্ক্রীন আর স্কার্মিশার হিসেবে।


বাইজান্টাইন ক্যভুলরি কমান্ডারদের নাম জানা যায়নি। তবে তাদের হেভি আর লাইট দুই ধরনের ক্যভুলরিই ছিল। ভারী ক্যভুলরিতে যোদ্ধা আর ঘোড়া দুটোই বর্ম দিয়ে এমনভাবে মোড়ানো থাকত যে ঘায়েল করা দুস্কর। অবশ্য বর্মের ওজনের কারনে এদের স্পিডও অপেক্ষাকৃত কম ছিল, কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে এদের ইফেক্ট ছিল ডেভাস্টেটিং। সেই তুলনায় লাইট ক্যভুলরি ছিল অনেক ফাস্ট আর তারা ঘোড়ার পিঠে থেকেই তীর চালাতে এক্সপার্ট ছিল।

ফ্রন্টের ইনফেন্ট্রি ডিভিশন গুলোর প্রথম তিন চার সারি পদাতিক সৈন্যরা দাঁড়াত, তার পেছনে তিন চার সারি তীরন্দাজেরা, তার পেছনে আরো তিন সারি ভারী পদাতিক সৈন্য। বাইজান্টাইন এই পদতিক এই ইউনিটগুলো অবস্থা ভেদে চমৎকারসব ফর্মেশনে লড়তে পারত। অর্গানাইজড ফ্যাশনে দুই পাশে সরে গিয়ে পেছন থেকে ক্যভুলরিকে ফ্রন্টে আসার রাস্তা করে দিতে পারত, ক্লোজ ফর্মেশনে তীর ঠেকাতে পারত আবার শত্রুর ক্যভুলরি এটাকও রিপালস করে দিতে পারত।


তীরন্দাজেরা একসাথে দুই এঙ্গেলে তীর ছুড়ত। একদল লো এঙ্গেলে এনিমির হাঁটু বরাবর আর তাদের পেছনে আরেকদল একই সময়ে হাই এঙ্গেলে মাথা বরাবর। ওয়েল ট্রেইন্ড না হলে এমন একযোগে আসা তীরের বিরুদ্ধে একটা মাত্র শিল্ড বা ঢাল দিয়ে দুই এঙ্গেলের তীর ঠেকান এনিমির জন্য বেশ কঠিনই হত।

বাইজান্টাইন এই ডেপ্ল্যমেন্টের বিপরীতে খালিদ তার আর্মিকে ৪টা ডিভিশনে ভাগ করে প্রত্যেকটা বাইজান্টাইন আর্মির মুখোমুখি একটা করে ডিভিশন দাড় করালেন। মুসলিম আর্মির লেফট উইং এ জেনারল গ্রেগরির বিপরীতে থাকলেন জেনারেল ইয়াজিদ, লেফট সেন্টারে আবু উবায়দা, রাইট সেন্টারে সুরাবিল, আর সবচে ভালনারেবল রাইট উইং এ জেনারেল কানাত্বিরের বিরুদ্ধে থাকলেন জেনারেল আমর বিন আস।

খালিদ তার ক্যভুলরি ফোর্সকে চার ভাগ করলেন। তারপর দুই উইং এ দুইটা ইউনিট আর গোটা সেন্টারের জন্য একটা ইউনিট কায়েস, মায়সারা আর আমিরের হাতে তুলে দিলেন। আবশিষ্ট একটা ইউনিট রাখলেন রিজার্ভ হিসেবে নিজের আন্ডারে, জাররার থাকলেন এই মোবাইল গার্ডের উপ অধিনায়ক হিসেবে।


মুসলিমরা তখন পর্যন্ত মূলত ‘তাবিয়া’ ফর্মেশনে ডিফেন্সিভ ব্যাটেল লড়ত, আর ‘ক্বার ওয়া ফার’ ট্যাক্টিক্সে আক্রমন করত। তাবিয়া ফর্মেশনে সৈন্যরা রোমান ‘টেস্টুডো’ ফর্মেশনের মতই ঘন হয়ে দাঁড়াত যেন ফ্রন্টে আক্রমনকারী শত্রু ভাংগন ধরাতে না পারে। ইয়ারমুখ যুদ্ধের প্রথম চারদিন এই ফর্মেশনেই মুসলিমরা একের পর এক বাইজান্টাইন এটাক রিপালস করে দিয়েছিল। আর ‘ক্বার ওয়া ফার’ মানে ‘হিট এন্ড রান’ কৌশল। এই পদ্ধতিতে মুসলিমরা ছোট ছোট দলে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে শত্রুর ওপর হামলে পড়ে শত্রু শক কাটিয়ে উঠার আগেই আবার দ্রুত ডিজেনগেজড হয়ে দূরে সরে আসা। এভাবে একের পর এক এটাক করে শত্রুকে দুর্বল করে নিয়ে ফাইনালি ক্যভুলারি চার্জ করে শত্রুকে ধ্বংস করা হত।

দুই পক্ষই সারা ফ্রন্টেজ জুড়ে মুখোমুখি দাড়াল। অবশ্য মুসলিমরা বাইজান্টাইনদের ১৫ থেকে ৩০ ফাইল গভীর ফ্রন্টের সমান ফ্রন্ট অটুট রাখতে গিয়ে সাকুল্যে তিন সারি পর্যন্ত সৈন্য দাড় করাতে পারল। মুসলিমদের পেছনে আজরা পাহাড়ের সারি একটা বিশাল মরাল ফ্যাক্টর হিসেবে থাকল, কারন কোন কারনে পিছু হটতে হলে এই পাহাড়ের সারিতে ঢুকে যাওয়া যাবে। কিন্তু বাইজান্টাইনদের পেছনে গভীর ওয়াদি উর রাক্বাদ থাকায় তাদের পিছু হটার পথ বন্ধ। অবশ্য বাইজান্টাইনরা পিছু হঠার কথা ভাবছেও না, কিন্তু ওয়াদি উর রাক্বাদ কে ‘এনভিল’ ধরে একটা ‘হ্যামার এন্ড এনভিল’ মুভ খালিদের মাথায় শুরু থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

যাহোক, মুসলিম মুবারিজুনদের ডাকে সারা দিয়ে একের পর এক বাইজান্টাইন অফিসার আর চ্যাম্পিয়নরা নো ম্যানস ল্যান্ডে এগিয়ে এল আর মুবারিজুনদের হাতে মারা পরতে লাগল। দুপুর পর্যন্ত চলা এইসব ডুয়েলে আব্দুর রহমান বিন আবি বকর একাই পাঁচজন বাইজান্টাইন অফিসার কতল করে দিনের শ্রেষ্ঠ মুবারিজুন হয়ে গেলেন।

এভাবে চলতে থাকলে যুদ্ধ শুরুর আগেই প্রচুর অফিসার মারা পড়বে আর সৈন্যদের মোরালের ওপরও নেগিটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে বুঝে ভাহান আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু প্রথম দিনেই তিনি ডিসাইসিভ কোন এঙ্গেজমেন্টে যেতে চাইলেন না। তিনি চাইলেন মুসলিম ফ্রন্টের স্ট্রেন্থ টেস্ট করতে আর নিজের সৈন্যদের ব্যাটেল ফুটিং এ আনতে।

বাইজান্টাইন চার আর্মিরই তাদের ত্রিশ ফাইলের প্রথম দশ ফাইল করে আক্রমনে পাঠালেন। বাইজান্টাইনরা মুসলিম তীরন্দাজদের রেঞ্জে আসতেই মুসলিম তীরন্দাজরা তীর নিক্ষেপ শুরু করল। কিন্তু তাতে বাইজান্টাইনরা দমল না। এরপর শুরু হল প্রতিপক্ষ পদাতিক সৈন্যদের ভেতর সম্মুখযুদ্ধ। সন্ধ্যে অবধি যুদ্ধ চলল, ভাহান তার পদাতিকদের রিইনফোর্স করলেন না। অতএব দিনশেষে মুসলিমরা তাদের ফ্রন্ট অটুট রাখতে সমর্থ হল, আর বাইজান্টাইনরা হতাহতদের নিয়ে নিজেদের আগের অবস্থানে ফিরে গেল।

রাতে ভাহান তার ওয়ার কাউন্সিলরদের নিয়ে পরদিনের যুদ্ধ পরিকল্পনায় বসলেন। ভাহান চাইলেন পরদিন ভোরের আলো ফুটবার আগেই মুসলিমরা যখন ফজরের নামাজে ব্যস্ত থাকবে ঠিক তখনি ‘ডন এটাক’ করতে। মূল পরিকল্পনা হল জেনারেল দাইরজান তার সেন্টার ফোর্স দিয়ে আবু উবায়দা আর সুরাবিলের বাহিনীকে সেন্টারেই এনগেজড রাখবেন, আর জেনারেল গ্রেগরি আর কানাত্বির তাদের দুই উইং দিয়ে কনকারেন্টলি মেইন এটাক লঞ্চ করবেন; মেইন এফর্ট হবে মুসলিম রাইট উইং এর আমর বিন আসের বাহিনীকে হটিয়ে দেয়া অথবা সুরাবিলের রাইট সেন্টারের দিকে পুশ করে ক্যভুলারি চার্জ করে যুদ্ধ শেষ করার।

পরদিন ইয়ারমুখ যুদ্ধের ২য় দিন সকালেই ফজরের নামাজ পড়ার সময়ই মুসলিমরা দামামার শব্দ শুনতে পেল। আউট পোস্টের দূতেরা ঘোড়া ছুটিয়ে এসে জানাল বাইজান্টাইনরা সারা ফ্রন্ট জুড়ে এক যোগে ফ্রন্টালি আক্রমন করতে এগিয়ে আসছে।
(ক্রমশ...)

কিস্তিঃ১
http://www.somewhereinblog.net/blog/delHkhan/30109019

কিস্তিঃ২
http://www.somewhereinblog.net/blog/delHkhan/30109091

কিস্তিঃ৩
http://www.somewhereinblog.net/blog/delHkhan/preview/30110683

কিস্তিঃ৪
http://www.somewhereinblog.net/blog/delHkhan/30112811

কিস্তিঃ৫
http://www.somewhereinblog.net/blog/delHkhan/30113521
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×