এই মাত্র একটা খুন করেছি । একটাই আঘত করেছিলাম । হয়তো এতোটা জোরে আঘাত করার দরকার ছিলোনা তবে মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে পরের আঘাত করিনি । কি দরকার বাপু ! একটা দেহ দুবার কি আর খুন হয়? আবশ্য কাপুরুষ মরার আগে অনেক বার মরে বলেই মৃত্যুতে তার এতো ভয় থাকে । একে আবশ্য কাপুরুষ বলা যাবে না । সে জানতো আমি তাকে খুন করেত পারি, থেতলে দিতে পারি তার মাথা, পিষে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারি তার দেহতরী, তবুও এসে ছিলো অনাহূতের মতো । আবশ্য সামান্য প্রয়োজনে ই এসেছিলো ছিলো আমার কাছে । আমি চাইলেই তাকে তৃপ্ত করে বিদায় করতে পারতাম তবুও মেরেছি ।
এই রে, হাতের তালুতে রক্ত লেগে আছে ।সাদা টিশার্টের হাতাতেও রক্তের সামাস্য দাগ দেখে মেজাজ টা খিচরে উঠলো । দিবো নাকি আরেক টা ? ডেড বডিটার দিকে আরেক বার তাকালাম । না মরেনিতো হতোচ্ছাড়া , বাম দিকের পাটা মনে হয় একটু একটু নড়ছে । খুব কি ব্যাথা হচ্ছে ? এখন অবশ্য কিছু করার নাই যে আঘাত করেছি মৃত্য কেবল সময়ের ব্যাপার । আরেক বার মারলে তার প্রতি দয়া করা ই হবে । মৃত্যু যন্ত্রনা কমানোর দয়া । আমি এতো দয়ার সাগর নই তার চাইতে বেসিনে যেয়ে রক্ত ধুয়ে আসা যাক । দেহের বাহিরে রক্ত বড় নোংরা জিনিস । সত্য বলছি আমার একদম-ই দুঃখ হচ্ছে না তার জন্য । এই মৃত্যুতে কারো কিছু যায়আসে কিনা কে জানে । প্রতি দিন হাজার মানুষ খুন হয় যদি সে জন্য মানুষের কিছু যায় আসতো তবে প্রতি দিন কেন একই ভাবে আমরা নিজেরাই নিজেদের এভাবে ক্ষুন করতে পারতাম । পিটিয়ে গুলিকরে ধর্ষন করতে করতে এমন কি হাজার জানা আজানা নতুন নতুন ভাবে । এভাবে প্রতিদিন ই এক দল মানুষ মরছে। সব-ই ঈশ্বরের ইচ্ছা । তিনি চাচ্ছেন বলেই মৃত্যু হয় । আমিতো বরং তার কাজে সামান্য সাহায্য করলাম মাত্র । কে জানে, হয়তো আমি এজন্য ঈশ্বরের পুরস্কার ও পেতে পারি । আমারা সেই রহমানুর রাহীমের নাম নিয়ে ভালবাসা শুরু না করলেও খুনের আগে ঠিকই নারায় তাকবীর বলি । খুনের আগে তার নাম নিলে তিনি খুশি ই হন । আমারা পশু পাখি জবাই, কোরবানি, এমন কি মানুষ জবাই প্রতিটা কাজেই নারায় তাকবীর বলে শুরু করি ।
ভালো কথা মনে হলো, আমি কি এই খুন টা করার আগে নারাই তাকবীর বলেছিলাম ... নাহ .. ।সমস্যা নাই পরের "মশাটা" মারার আগে নারায় তাকবীর বলে ই মারবো ।আজ ঘরে ভালই মশা আছে ।