তারা মনে করেছিল, এক চলেশ রিছিল' কে হত্যা করলে গারো অধিষ্ঠিত এলাকা মধুপরে ত্রাসের শাসন কায়েম করা যাবে। ভূমি, বন দখল সহজ হবে।
তারা ভুল করেছিল, তারা ভুল করছে। গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠী আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সচেতন, ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংগঠিত। হুমকি-দামকি,হামলা-মামলা, গুম-খুন করে এতদিনে একচুল আমাদের মনবল ভাঙ্গতে পারে নাই, পারবে না।
যতদিন মধুপরে শাল বৃক্ষ সিনা টান করে দাঁড়াইয়া থাকবে, পাখি গান করিবে, ততদিন গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীও মধুপুরে থাকবে-পাখির সাথে সুর মিলাই সেরেচিং-রেরে গাইবে।
শহীদ চলেশ রিছিলের আত্নত্যাগ বৃথা যেতে পারেনা, বৃথা যেতে দিবো না।
মধুপুরের অবিসংবাদিত নেতা শহীদ চলেশ রিছিলের ১১তম হত্যা দিবসে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও রক্তিম অভিবাদন। চলেশ বেচেঁ থাকবে, আমরা বাঁচাই রাখবো।