বাংলাদেশ থেকে মনে হচ্ছে করোনা মোটামোটি বিদায় নিয়েছে।দেশীয় পত্রিকায় দেখি যে কোভিড আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশ কমে এসেছে। পরিচিতজনদের মাঝেও আর করোনায় আক্রান্ত হবার খবর শুনি না।ফেসবুকে ঢুকলে দেখি যে পুর্বের ব্যস্ত জীবনধারায় ফিরে গেছে মানুষ। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে হার্ড ইমুইনিটি অর্জন হয়ে গেছে। কোভিড সংক্রমনের শুরু থেকেই আমাদের দেশে সরকারি তরফ থেকে কোভিড কন্ট্রোলে তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হাসপাতালগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। ভ্যক্সিনেশন রেটও খুবই কম। এখন পর্যন্ত ২০% মানূষও ভ্যক্সিন পায়নি। এরপরেও আমাদের দেশে কোভিড নিয়ন্ত্রনে আসাটা বেশ বিস্ময়করই বলা চলে।
সিঙ্গাপুরে কোভিড সংক্রমনের শুরু থেকেই এখানাকার সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রনে সকল প্রকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়েছিল ।অত্যন্ত কঠোর লকডাইন, স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন এবং কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরে কোভিডকে অত্যন্ত সফলতার সাথে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল। বর্তমানে ৮৫% এর উপড় জনগন ভ্যক্সিনেটেড হওয়ায় এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আর এর পরপরই কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে । প্রতিদিন দুই/তিন হাজারের উপড়ে মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকার পরও কোভিডে আক্রান্ত দৈনিক ৭/৮ জন মানুষের মৃত্য হচ্ছে। সরকারী তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে মৃতদের বেশিরভাগ আনভক্সিনেটেড বা সিনিয়র সিটিজেন। তবে এখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন কোভিড রোগীর ভীড় উপচে পড়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টে আছে প্রচুর মানুষ।
সিঙ্গাপুর সরকার বলছে যে ভ্যক্সিনেশনের পরবর্তী পর্যায়ে হার্ড ইমুইনিটি অর্জন করতে হলে এই প্রসেস এর মধ্য দিয়ে সকল দেশকেই যেতে হবে। অনন্তকালতো আর লকডাইন দেয়া সম্ভব নয়। আমার মনে কিছু প্রশ্ন উঠেছে ভ্যক্সিন এবং মাস্ক নিয়ে। সিঙ্গাপুরে ফাইজার ও মডের্নার ভ্যক্সিন দেয়া হয়েছে জনগনকে। এছাড়া এখানকার মানুষ শতভাগ মাস্ক পড়ে বাসার বাইরে। মাস্ক না পড়লে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। বিশ্বের সেরা ভ্যাকসিন নিয়ে এবং মাস্ক পড়েও কেন এত মানূষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন এই বিষয়টাই বুঝতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে আমাদের দেশে যে বীর বাঙ্গালী মাস্ক না পড়ে ঘুরে বেড়ায় তাতে এমন আর কি ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩২