ছবিসুত্র ঃ অনলাইন
বাংলাদেশের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা নিয়ে বলিউডে ফারাজ নামে একটি চলচিত্র নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমাটি মুক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন হলি আর্টিজান নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।সিনেমাটির নির্মাতারা সেই ঘটনায় নিহত অবিন্তার পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি বলে রুবা আহমেদের অভিযোগ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় যে ২২ জন নিহত হয়েছিলেন, তাদের একজন অবিন্তা। যুক্ত রাষ্ট্রের এমোরি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অবিন্তা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্বদেশী সহপাঠি ফারাজ আইয়াজ হোসেন এবং তাদের ভারতীয় বন্ধু তারিশি জৈনের সঙ্গে ক্যাফেটিতে গিয়েছিলেন। কমান্ডো অভিযানে রেস্তোরাঁটি জঙ্গিমুক্ত করার পর তাদের লাশ পাওয়া যায়।
সিনেমাটিতে ভুল হচ্ছে দাবি করে রুবা আহমেদ বলেন , “যে ঘটনাটি বলা হয়েছে যে আমার মেয়ের জন্য একজন মানুষ (ফারাজ) তার জীবন দিয়েছেন, সেই হিরো … নো, দ্যাটস রং। ইটস অ্যা রং স্টেইটমেন্ট। এটা হতে পারে না। এই মুভিটা রং। আমি তা বিশ্বাস করি না। কারণ তার কোনো প্রমাণ নেই। ওখান থেকে কেউ বেঁচে আসেনি। যারা বেঁচে এসছে, তারা এ বিষয়ে কিচ্ছু জানে না, বলতে পারে না। এ বিষয়ে কোন এভিডেন্সও নাই যে এখানে কেউ হিরো হয়েছে। যদি কেউ হিরো হয়ে থাকে, তাহলে সেই ২২টা মানুষ, যারা চলে গেছে, তারা সবাই হিরো। সুত্র ঃ বিবিসি বাংলা
ফারাজ সিনেমাটি বানানো হয়েছে বাংলাদেশী সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবুর "হলি আর্টিজান: একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান" বইটি থেকে। ওই বইতে ফারাজকে হিরো বানানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লাবু সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ‘‘আসলে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে ফারাজকে হিরো বানানো নিয়ে, আমার বইতেও কিন্তু তাকে হিরো বানানো নিয়ে কোনো তথ্য নেই। দুই বান্ধবীকে জঙ্গিদের কাছে রেখে আসতে চায়নি এটা যে মিথ্যা তা আগেও গণমাধ্যমে এসেছে এবং আমার বইসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমি বহুবার লিখেছি।’’
লাবু আরও বলেন, ‘‘ভেতরে যারা আটকে ছিলেন তাদের সঙ্গে এবং পরে যারা তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলে এর সত্যতা পাইনি। অবিন্তা কবিরের মা যে প্রতিবাদ করেছেন এটি আসলে তার আবেগের বিষয়। তার এই আবেগকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।’
সুত্র ঃ view this link
মুল ব্যপার হচ্ছে ফারাজ প্রথম আলো পত্রিকার মালিক লতিফুর রহমানের নাতি। তাকে হিরো বানিয়েছিল প্রথম আলো। কেন কোন উদ্দেশ্যে তারা এই গল্প ফেদেছিল , তারাই ভাল বলতে পারবে। ২০১৬ সালে এই বিষয়টা নিয়ে জল বেশ ঘোলা হয়েছিল ।
হলি আর্টিসানের ঘটনাটা আমাদের দেশের একটা কাল অধ্যায় । এই অধ্যায় নিয়ে খোচাখোচি করলে সেই সময়ে যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের ভেতরের রক্তক্ষরকে পুনোরায় তাজা করা এবং দেশের ভাবমুর্তিও ক্ষুুন্য হওয়া ছাড়া অন্য কোন প্রাপ্তির সুযোগ দেখছি না। এই ঘটনা সম্পর্কিত দেশে বিদেশে নির্মিত সকল সিনেমাই নিশিদ্ধ করা উচিত। অবিন্তার মা এককভাবে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সফলতা কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬