"আজকের হুংকার" কাগজ থিকা কুট্টি ভাই আর বয়রা কালুরে পাঠানো হইছে লিখক হওনের প্রশিক্ষণ নেওনের লাইগা । সেইখানে তারা, দাঁড়ি, কমা , সেমি কোলন আর উল্টা কমার তাৎপর্য শিখছে ।
শিখছে কাব্যিক ঢং, নান্দনিক ভড়ং ও শৈল্পিক বাস্প প্রকাশের সাতাইশ রকমের তরিকা । তারপরে ফাইনাল টেস্ট আইছে ।
কোর্স টিচারের দয়ার শরীর, ঘটে খুবই শানানো একখান বেরেন । হে বুঝছে এই সব বিবাগীর পুতগো সহজ কুনো কিছূ দিতে হইবো নাইলে প্রবলেম । তাই কী সে ইয়াজুদ্দিন নাগরীর লগে পরামর্শ কইরা একখান কন্টেস্ট ডাকছে ।
এই প্রতিযোগিতা সবার জন্যই উন্মুক্ত । দুনিয়ার সবচেয়ে পিচ্চি উপন্যাস লিখতে হইবো প্রতিযোগীদের-আর কিছু না!
কুট্টি ভাই প্রায় চল্লিশ মিনিট কানের ফুটায় কলম দিয়া খুঁচানোর পরে আসল আইডিয়া পাইছে! খুব সাবধানে আস্তে আস্তে লিখছে,
" অনেক আশা, অনেক খোয়াব আছে মনে মনে, লেকিন সবার আগে একটা চিরস্থায়ী সহযাত্রী চাই (যারে নিয়া সেন্ট মার্টিন বা জুরাইন যাওন যায়) । ক্যাহনেকো আপনে সাথ এক দু বাত!"
আজিব কান্ড! কুট্টি ভাই রানার্স আপ হইয়া গেছে এই কয় লাইনের জন্য! আর চ্যাম্পিয়ন কেডায় হইছে?
বয়রা কালু! আবার জিগায়!
কালু লিখছিল, 'আমি উকিল, আমি ঘরেই থাকি, কিন্তু কুকিল ডাকে বাইরে! পোঁয়াই!! তাই আমি জিগাই হোয়াই ?!?'
(কালু অবশ্য উকিল না, মোক্তারের নাতি । কিন্তু এইডারে কয় পোয়েটিক লাইসেন্স!)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৫৫