আজকে hotel - থেকে খেয়ে আসার সময় মহাত্মা গান্ধীজির কথা মনে পড়লো । ওনি ব্রিটেনে ব্যারিস্টারি পড়ার সময় প্রত্যেক দিন তাঁর বাসা থেকে প্রায় ৩-৪ কি.মিঃ দূরে পায়ে হেঁটে গিয়ে সকালের নাস্তা, দুপুর আর রাতের খাবার খেয়ে আসতেন । আসতে আসতেই সব পেটের খাবার হজম হইয়া যাইত । একবেলা খেয়ে আরেক বেলা টিফিনে করে নিয়ে আসতেন । গান্ধী জির মা'র নিষেধ ছিল যেন লন্ডনের কোন খাবার তিনি আহার না করেন । আর এই condition-এই তাঁকে তাঁর মা লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন । আর, মা'র যেমন আদেশ, খুঁজে-মুজে তিনি ভারতের একটা হোটেলই কাছাকাছি পেয়েছিলেন । এর আগে london-এ ব্যারিস্টারি পড়ার স্কলারশিপ পেয়ে তিনি এক বছর পর্যন্ত তাঁর মায়ের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন । যে কখন ওনার মা ওনাকে যাওয়ার অনুমতি দিবেন । আর তাঁর মা'কে রাজি করাতে প্রায় তাঁর এক বছর লেগেছিল । তাও আবার এই বিশাল condition.
lol কই মহাত্মা গান্ধীজী আর আমি !!! ওনাকে খাইতে মানা করছেন আর আমারে তো এর পুরাই উলটা ।
মহাত্মা গান্ধীর এই মহাত্মা হয়ে উঠার পিছনে ওনার আন্দোলন, সততা আর আদর্শই ছিল মূল কারণ, ওনার ব্যারিস্টারি পাশ করার চেয়েও ।
আহ!!! মহাত্মা গান্ধীজী ! তিনি তাঁর মার কথা অক্ষরে অক্ষরেই পালন করেছিলেন ।
মহাত্মা means- মহান আত্মার অধিকারী যিনি । আসলেই তিনি ছিলেন মহান আত্মার অধিকারী ।
নইলে কয়জন আছে যে তার মার কথা, আদেশ-নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে মানে? তাদের মার প্রতি দায়িত্ব পূর্ণভাবে পালন করেন ।? বিয়ে করেই তো শেষ । মহাকর্ষ-অভিকর্ষের মতো আকর্ষণ তাদের ভিতরেও চলে আসে । বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রী-ছেলে, মেয়ের প্রতি ভালবাসার divert করে নিয়ে আসে । আর আফসোস এটাকেই সবাই মেনে নেয় ।
যারা নেয় না তারাই হয়তো এমন মহান হন ।