somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আমরা ব্রেকাপ করছি!"

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সকাল বেলা ক্রীং ক্রীং শব্দে ঘুম ভাঙলো আম্মার ফোনে। আর ফোন ধরার সাথে সাথে বাসের হেল্পারগুলার মতো আম্মা শুরু করলো!

"হ্যা!! কি করো তুমি!! এতোক্ষণ ঘুমাও!! জামাই কি না খেয়ে গেছে?? "হ্যা??"
মায়া লেগে ছেলেটার জন্য! তোমার মতো বউ পাইলো! ছেলেটার... জীবণটাই তছনছ!!"


যেই আম্মা মায়া লাগার কথা বললো! ওমনি মাথায় টঙ্গ করে উঠলো!! কোন পাপের ফসল হিসেবে আমারে ঘুম থেইকা উঠতে হবে আ্যই বাসের হেলপারদের মতো ক্যাঁচ ক্যাঁচ শুইনা! তার ওপর ওই ব্যাটার জন্য আমার আ্যলার্ম ঘড়ির কাজটা কিনা আমার মাকেই কর
তে হবে? এই বিশাল শাস্তির কথা কি আমার আপাদমস্তকের কোথাও লেখা ছিলো??

মেজাজ খারাপ কইরা বললাম, "না! আমরা ব্রেকআপ করছি!!"
আম্মা কিছুক্ষণ থাইকা বলে "ফাইজলামি করো??"?
"আম্মু আমি এখন এক্স বিবাহিত! আমাকে তুমি কিছু হইলেই এখন ধমকায়তে পারো না! আর ফাজিল বলা তো বিবাহিতের রুলসের টার্ম আ্যান্ড রুলসের ভয়ঙ্কর ভায়োলেশন! "
ফোনের ঐপাশে আম্মা যে কতক্ষণ দাত কিড়মিড় করলো! এইখান থেকে পরিস্কার বুঝতে পারতেছিলাম!! দাতগুলা যে আস্ত আছে, আম্মার কথা শুইনাই বুঝছিলাম! আম্মা ওখান থেকে বলতেছিলো, "দ্যাখ, জামাই খুব ভালো মানুষ! ঝগড়া ঝাটি হইতেই পারে। হয়তো তার মাথা গরম ছিলো! তোরা তো আর প্রেম করিস না!"
"প্রেম!!!!! প্রেম করতে দিস্যো তুমি আমারে?? এমন একজনের সাথে বিয়ে দিছো! যারে দেখলে প্রেম তো দূরে থাক! কয়েক কেজি রাগ উৎপন্ন হয়!! আবার বলো ওনারে মানাইতে! আরে প্রেম করলে না! এগুলার আইডিয়া হইতো!! "

বইলা বেশ ভাবের মাথায় ফোন রাখলাম! কিন্তু ঝামেলা যে অন্যখানে! ফোন যে রাখলাম! আম্মা যদি এখন ওনারে ফোন দেয়! ব্রেকআপ ফ্রেকাপ তো কিছু না! ফোন দিয়া বেশ ঢং করে বললাম!
"আপনি আজকে কখনো আসবেন!"
"সন্ধ্যায় । কেন? "
"আপনি বাসায় আইসেন না! আমাদের বাসায় যায়েন! গিয়া বলবেন, বাসার দরজা খুলতেছে না!! যদি আর কিছু জানতে চায়! বলবেন, আসলে ও তো বাচ্চা মানুষ! বুঝে নাই। আমিও একটু রেগে গেছিলাম!"
"কি জন্যে?"
"করতে বলছি করবেন!!!আমি আজকে শপিং করতে যাবো! আর আজকে বাসায় রান্নাও নাই। সো ওখানে গেলে জামাই আদর পাবেন! বুঝা গেছে না কথাটা??!!!"

ওকে বইলা ফোন কাটতেই লাফ দিলাম! আজকে সারাদিন কি কি করা যায়! বিশাল বড় লিস্টি বানাইলাম!

সারাদিন ঘুইরা ফিড়া বাসায় আইসা দেখি, ভদ্রলোক সুন্দর করে টেবিলের উপর দুই পা তুইলা টিভি দেখতেছেন! আবার কোনো প্যাঁচ বাধায় নাইতো!! গিয়া বললাম! গেছিলেন?
"হুম"
"কি বলছে আম্মা?"
"বলছে, এরকম কিছু না! আইসা পরবে! আর একটু আকটু শাসন না করলে এরকম ভাব দেখাবেই, আরেকটু শক্ত হবা! বুঝলা! দরকার হইলে দরজা আটকায় রাখবা!"
"মানে!!!!!!!!!! আপনে কি বলছেন??"
"আমি বলছি, এগুলা ব্যপার না! হইতেই পারে। বাচ্চাদের মন তো, বুঝেন না!"

আ্হ্লাদিত হবো নাকি! রাগবো বুঝতেছি না! উনি আমার প্রশংসা করলো না মহত্ববোধ দেখাইলো তা নিয়া আমার আহ্লাদিত হবার কোনোই মানে নাই।
"আচ্ছা হইছিলোটা কি!!!?"
"আমরা ব্রেকাপ করছি!"
"ও! আচ্ছা! ব্রেকাপ করছো ভালো কথা! তাই নিয়া, খামোখা একটা বাচ্চাকে কষ্ট দেয়ার কি দরকার ছিলো!"
"মানে!!??"
"তুমি ঐ কাজের পিচ্চিটাকে মারছো না??"
"না!!!!"
"তাইলে???"
"কি তাইলে??"
"কোন বাচ্চার কি হাল করছো??"
"বাচ্চা আসলো কই থেইকে?? আম্মা আমার কথা কিছু বলে নাই??"
"হ্যা! আমি বলছি, ও আজকে শপিং করবে"
":O কি!!!!! আজিব তো!! আপনাকে বললাম বলতে যে আমি রাইগা আছি, খুইজা পাইতেছেন না সেটা বলতে!! আর আপনে কিনা!!???"
"মানে? তুমি!,,,,, বাচ্চা?? ও!!! হাঃ হাঃ হাঃ তুমি এই ধামড়ি বয়সে যে নিজেরে বাচ্চা বইলা পরিচয় দিবা! সেইটা আমি কি জানি!! হেঃ হেঃ!!"

ঔফ!! অসহ্য!! আ্যই লোকের সাথে আমার আসলেই ব্রেকাপ দরকার!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×