somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেপাল ইন্ডিয়া ভ্রমণ !!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে জানলে আরও অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতাম। কিন্তু তা আর করার সুযোগ পাই কোথায়? রাত তখন ১২টা বন্ধু মনির হঠাৎ করে বলল সে যাবে। কিন্তু আমি মনে করলাম আর যাওয়া হবে না। আগে থেকেই সব করা ছিল বাধা পড়াতে আর তেমন উদ্বেগ ছিলনা। যেমন- ট্রেনের টিকেট, ভিসা, ডলার ইনডোজ ও অন্যান্য প্রস্তুতি।

বাসায় মা, বউ সবায় অনেক চিন্তায় পড়ে গেল, বলে কি? কিন্তু যেই কথা সেই কাজ। আমি ঘুরার ব্যাপারে কথা কাজে মিল রাখতে চেষ্টা করি ১০০% (এ ব্যাপারে আমার গুরু টিংকু ট্রাবেলার)। তাহলে চলেন ঘুরে দেখি নেপাল ও ইন্ডিয়া দেখতে কেমন?

মৈত্রী এক্সপ্রেস ৩১০৭ শুক্রবার সকাল ৮টার ট্রেনে চরে বসলাম ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে। একের পর এক স্ট্যাশন যাচ্ছে আমাদের ট্রেন চলছেই তো চলছে। সবার আগে চলছে নো স্টপিজ নো ব্রেক। দেখতে দেখতে যমুনার বুকে ব্রীজ এর উপর চলে এসেছি। ঈশ্বরদী এসে পানি নিল পথে ১০মিনিটের বিরতী আবার চলছে। বাংলাদেশ বর্ডার শেষ করলাম, চলে এলাম দর্শনা। ইমিগ্রেশনের অফিসারের মুখোমুখি কি করতে যাচ্ছেন? কেন? ফর্ম কোথায়? সাথে কি?

বাংলাদেশ ছেড়ে দিল? ওপারে আবার কৈফিয়ত? কেন যাচ্ছেন? ডলার কত? বাংলা টাকা বেশি কেন? কিছু দিয়ে যান? ছাড়তেই চাচ্ছে না। সময় লাগলো অনেকক্ষণ। তারপর মামাদের দেশে এসেছি তো কিছু দিতেই হয়।

ভাবলাম এইতো চলে এসেছি। কিন্তু কই বাংলাদেশের মৈত্রী এক্সপ্রেসকে ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোন দামই দিল না। তারা লোকাল ট্রেনকে ক্রসিং দিচ্ছে কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল/বিদেশী একটি ট্রেনকে অনেক সময় দাড়িয়ে রাখলো। ইন্ডিয়া রেলওয়ের অন্যান্য অনেক লোকাল ট্রেনে আমি চড়েছি। কিন্তু এমন অব্যবস্থাপনা আমি দেখেনি।

যাই হোক পৌছাতে দেরি হওয়ায় আমাদের দারজের্লিং গামী ট্রেনে ঐদিন আমরা যেতে পারিনি। কিন্তু কি আর করা পরদিন বেশি ভাড়ায় প্রদাতিক ট্রেনে এসি করা সীট কেটে যেতে হলো। আমরা খুব কম সময় নিয়ে এসেছি।

রাতে ছিলাম কলকাতায় ও পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত। যা সামনে পেয়েছি তাই খেয়েছি-- ফুসকা, দুধ, মালাই, মিষ্টি, মাটন, সিক কাবাব, চিকেন ফ্রাই, মালটার জুস। খাবার দাবার এতই সস্তা যে সিক কাবাব মাত্র ৮টাকা, দুধ মাত্র ১০টাকায় বড় গ্লাস। সুতরাং অনেক চেষ্টা করেছি ২০০ টাকা তুলতে পারি কিনা। কিন্তু বিল হলো মাত্র ১৭৫টাকা। দেশ থেকে যা নিয়ে এসেছিলাম তা আর ঠিক রাখতে পারিনি।

আগেই বলে রাখি আমি অনেক বার ইন্ডিয়া এসেছি। তাই কলকাতার সব জায়গায় আমার ঘুরা আছে। এবার শুধু মাত্র নেপালের ভিসা লাগানোই আমার মেইন টোর ছিল। কারণ মার্চে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গপুর যাব। ইনশায়াল্লাহ...

সন্ধ্যা গরায়ে রাত ৯.৫৫টায় প্রদাতিক ট্রেন ছেড়ে গেল শিয়ালদহ থেকে নিই জলপাইগুড়ি স্টেশন। আমি ও আমার বন্ধু ফরেন কোটায় ও ইমার্জেন্সীতে সীট বুকিং দেই এবং সীট মিলে গেল। কিন্তু ভাড়া তিনগুন পরল। আমরা সকাল না হতেই পৌছে গেলাম ষ্টেশনে। নামতেই ডাকছে দার্জিলিং, কাকরভিটা, ভুটান।

আমার জানা ছিল সব জায়গায় দালাল আছে, তাই লোকাল জিপ খুজতেই পেয়ে গেলাম। বলছে মাত্র ১২০ টাকা কাকরভিটা যাবেন নাকি, গেলে চলেন। আমরা এইতো সুযোগ বলে উঠে গেলাম। সারারাত জার্নি করার পরও একটুও ক্লান্ত লাগছে না। আমি ও বন্ধু মনির ক্যামেরায় ক্লিক দিচ্ছি ও টপ টপ ন্যাচারাল ছবি তুলে নিলাম। ১ঘন্টার মধ্যেই পৌছে গেলাম কাকরভিটা ব্রীজের ওপারে।
হায় নেপাল চলে এলাম, কিন্তু আমাদের পাসপোর্ট আছেতো। বলাতে আমাদের আবার ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশনে নিয়ে এলো। কিন্তু এসেই দেখি বিরম্বনা। আপনি যেতে পারবেন না। কারণ আপনার এ রোড দিয়ে ভিসা লাগানো নেই। যাক আবার ডোনেশন বুঝতে পেরেছেন। হাটতে হাটতে নেপাল এলাম। দেখছি অবাধে সব কিছু নিয়ে নেপাল নিয়ে আসা যায়। তত একটা বাধা ধরা নেই। ওখানে সব ইন্ডিয়ান জিনিসই চলে। কিন্তু দু:খের বিষয় স্বাধীন দেশ হয়েও নেপালিরা ইন্ডিয়ার অধিনস্ত। টাকার মান একেবারে কম। ইন্ডিয়ান ১০০০ টাকা নেপালি ১৬০০টাকা। আপনি সব মজা নিতে পারবেন।
নারী থেকে শুরু করে মদ, পানি, ড্রিঙ্ক, সুস্বাধু চা, নেপালি খাবার মম, চাউমিন, দেখা না দেখা দৃশ্য, চামড়ার বেল্ট, জেকেট, শীতের ড্রেস, মেয়েরাই সব কিছু করে। যেমন -- দোকান পরিচালনা, আপনার সাথে লেনদেন। সব কিছুই মেয়েরা করে থাকে। মেয়েরা দেখতে অনেকটা চায়নাদের মতো। কিন্তু দেখতে সুন্দর। আপনি ওদের সাথে হিন্দীতে কথা বলতে পারবেন। তবে সাবধান অভিজ্ঞতা না থাকলে যেকোন সময় যেকোন ফাদে পরে যেতে পারেন। তাই কথা বলার সময় খুব বেশি আন্তরিকতা দেখাবেন না।

ওখানে ঢাকা হোটেল নামে একটি প্রসিদ্ধ হোটেল আছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেখানে থেকে যেতে পারেন। ওখান থেকে কাঠমন্ডু মাত্র ১১০০ রুপি ভাড়া। খুব সহজে অল্প সময়ে চলে যেতে পারবেন। নেপাল অনেক সুন্দর দেখার মত। এর প্রসিদ্ধ স্পটগুলো হলো।
ক্স পাটান দরবার স্কয়ার
ক্স ভীমসনে মন্দরি
ক্স মাঙ্গা হতিি
ক্স বশ্বিনাথ মন্দরি, কৃষ্ণ মন্দরি, জগন্নারায়ণ মন্দরি
ক্স রাজা যোগনোরন্দ্রে মাল্লার র্মূতি
ক্স হরি শঙ্কর মন্দরি
ক্স তলেজেু ঘণ্টা
ক্স কৃষ্ণা মন্দরি
ক্স রাজপ্রাসাদ (রয়লে প্যালসে)
ক্স পাটান জাদুঘর
ক্স মাল চৌক, সুন্দরী চৌক
ক্স সোনালি মন্দরি (কুয়া বহাল), কুম্বশ্বের মন্দরি, উমা মহশ্বের মন্দরি, বশ্বির্কমা মন্দরি, বাহা বাহ,ি মীননাথ মন্দরি, রাতো মাচন্দ্রেনাথ মন্দরি, মহাবুদ্ধ মন্দরি, উকু বহাল (রুদ্র র্বণ মহাবহিার), লগন স্তম্ভ
ক্স চড়িয়িাখানা, পশ্চমিা মন্দরি ইত্যাদ।ি
ক্স হনুমান ধোকা (দরবার স্কোয়ার)
ক্স বৌদ্ধনাথ স্তুপ
ক্স পশুপতনিাথ মন্দরি
ক্স বুধনীলকণ্ঠ
রাজধানী শহররে বাইররে র্দশনীয় স্থান সমূহঃ
ক্স পোখরা
ক্স লুম্বনিী
ক্স মাউন্ট এভারস্টে
সবশষেে যটেি না দখেলইে না তা হল মাউন্ট এভারস্টে র্পবত। যাকে ঘরিইে নপোলরে র্পযটন শল্পি এতটা সমৃদ্ধি লাভ করছে।ে


অনেক ঘুরে আর দেখলাম আমার সোনার বাংলাদেশের এমন দেশটি কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। তাই দেশে ফিরার পালা চলে আসলো। আবার শিয়ালদহ ষ্টেশনে সকালের ট্রেনে চলে এলাম। অনেক শান্তি লাগছে মনে হচ্ছে আমার দেশের কাছাকাছি বাড়ীতে চলে এলাম। যাইহোক পরদিন সকাল ৭.৩০টায় মৈত্রী এক্সেপ্রেসে করে আবার ঢাকায় চলে এলাম। জার্নিটা আসলেই অনেক আরাম পেলাম যাতায়াত করে। কারণ জার্নির মূল হলো খাবার দাবার ও জার্নি। যদি জার্নি ভালো হয় তবে সুদুর চীন যাওয়াও কোন ব্যাপার না। আপনি যদি যেতে চান তাহলে কোন দালাল না ধরে একা একা/ বন্ধুরা মিলে চলে যান। খরচ অনেক কম। যেমন কক্সবাজার যেতে খরচ হবে তার চেয়ে ৩০% খরচ কম লাগবে। আপনি নেপাল ইন্ডিয়া ঘুরে আসতে পারবেন। তবে অবশ্যই জার্নি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।করলাম আর যাওয়া হবে না। আগে থেকেই সব করা ছিল বাধা পড়াতে আর তেমন উদ্বেগ ছিলনা। যেমন- ট্রেনের টিকেট, ভিসা, ডলার ইনডোজ ও অন্যান্য প্রস্তুতি। any futher information
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×