আমাদের মহান স্বাধীনতার কিছু ইতিহাস আছে যা অনেকে ভূলে যেতে চায়। যা অনেকের জন্য বিব্রতকরও বটে। সে ধরনের একটি তথ্য কিছুদিন আগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা প্রকাশ করেছেন। সেই সংবাদটি সৈয়দ আবুল মকসুদের কলামের একটি অংশ সহ পোষ্ট করা হলো।
শুধু ইসলামপন্থী নয়, স্বাধীনতাবিরোধী বামপন্থীদেরও বিচার দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং স্বাধীনতার পর অনেক বামপন্থী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। তারা অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকেও হত্যা করেছে। সে জন্য শুধু ইসলামপন্থী যুদ্ধাপরাধী নয়, স্বাধীনতাবিরোধী বামপন্থীদেরও বিচার করতে হবে।’
সংগঠনের আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভায় অংশ নেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দ মোজহারুল হক বাকী, মোঃ আব্দুর রউফ, এম এ রশিদ, আবুল কাশেম, শেখ শহিদুল ইসলাম, খালেদ মোহাম্মদ আলী, আ স ম ফিরোজ, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ছাত্রলীগের মূল্যবোধে আজ অবক্ষয় ধরেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই এ অবক্ষয় ধরানো হচ্ছে। তারা আজ টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। সে জন্য এ সংগঠনকে অপমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
খালেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, শুধু ইসলামি বা ডানপন্থী দল নয়, সাম্যবাদী দল ও কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন বামপন্থী দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি। তারা অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকেও হত্যা করে, আমাকেও একাধিকবার হত্যা করতে চেয়েছিল। সে জন্য শুধু ইসলামপন্থী নয়, বামপন্থী স্বাধীনতাবিরোধীদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
সূত্রঃ Click This Link
স্বাধীনতার অপ্রকাশিত বা ভূলে যাওয়া একটি ইতিহাস ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মাধ্যমে জানা গেল। নতুন প্রজন্ম এটা না জানলেও ১৯৭১ সাল যারা দেখেছে তারা সবাই জানেন অনেক তথাকথিত প্রগতিশীল স্বাধীনতার সরাসরি বিরোধীতা করেছেন। ১৩ নভেম্বর ২০০৭ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয়ের মাধ্যমে বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ খুব প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য দিয়েছেন। তার ভাষায়, “"এখনকার পত্রিকা পড়লে মনে হবে, শুধু মুসলিম লীগ, জামায়াত বা নেজামে ইসলামীর লোকেরাই পাকিস্থানের দালাল ছিল। বস্তুত সব শ্রেণী ও গোষ্ঠীর মধ্যেই পাকিস্থানের সহযোগী ছিল। আবদুল হক তাঁর কমিউনিষ্ট পার্টির নামের সঙ্গে বাংলাদেশ হওয়ার পরও ‘পূর্ব পাকিস্থানই’ রেখে দেন। অত্যন্ত ‘প্রগতিশীল’ বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পাকিস্থানিদের সহযোগীতা করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত না হলে, আর বছরখানেক টিক্কা খাঁরা বাংলাদেশ দখল করে রাখতে পারলে অনেক শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিকে আজ মানুষ ভিন্ন পরিচয়ে জানত”।" সেই ‘শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিরা’ কারা? কবির চৌধুরী পুরো ৯ মাস টিক্কা খান সহ পাকিস্থান সরকারের অধীনে চাকুরি করার পরও অপরাধী নয়, বরং ঘাদানিকের সভাপতি! কেন আজ তারা অপরাধী নয়? তারা কি আজ আওয়ামী লীগ করে বলে? বা আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে?