বাংলাদেশে নিয়মিত বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এসে থাকে। তারা আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে, ছবি তোলে। এসব কাজ বিদেশী পর্যটকরা সবসময় করে থাকে। শুধু বিদেশীরাই নয়, আমাদের দেশের লোকজনও এদেশের বা বাইরের কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে ছবি তোলে। কেউ কাউকে কখনো বাঁধা দেয়না, নিষেধও করেনা। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশের ৯৫% মানুষের ধর্ম-কৃষ্টি-কালচার বিশেষ করে পর্দা বা ধর্মীয় কোন পোষাক দেখলেই তাদের উপর নির্যাতন শুরু করার একটা আস্কারা পুলিশ সহ আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে আসছে। আমরা দেখেছি পিরোজপুরে ৩জন ছাত্রীকে শুধুমাত্র বোরকা পরার কারণে ছাত্রলীগের বখাটেদের নির্দেশে পুলিশ গ্রেফতার করে দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়েছে। এরকম ঘটনা বর্তমান সরকার আসার পর থেকে নিয়মিতই করছে।
সাইপ্রাসের একজন মুসলিম বোন বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি গত ০১/১০/২০১০ইং তারিখে আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দেখতে গিয়ে সেখানে কিছু ছবি তুলেছেন। ছবি তুলতে দেখে ওই বিদেশী মুসলিম বোনকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কারণ তিনি বোরকা পড়েছেন এবং ওই অবস্থায় ছবি তুলছেন। এখন প্রশ্ন হলো যদি বোরকা না পড়া কোন দেশী বা বিদেশী মহিলা ছবি তুলতো তাহলে কি পুলিশ গ্রেফতার করতো? তাহলে কি বোরকা বা ধর্মীয় পোষাক পড়ার কারণেই ওই মুসলিম বিদেশী মহিলাকে গ্রেফতার করা হলো? পরে সাইপ্রাসের দূতাবাস যখন পুলিশ সহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তখন দেখা গেল ওই মহিলার কোন অপরাধ নেই, শুধুমাত্র বোরকা পড়া একজন মহিলা ছবি তুলছিল বলেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ নিয়ে যায়।
যদি অন্য কোন ধর্মের কেউ তাদের ধর্মের পোষাক পড়ে ছবি তুলতো তখন পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতো না, এ পর্যন্ত করেনি, যদি অশ্লীল পোষাক পড়ে কেউ ছবি তুলতো তখনও পুলিশ কিছুই করতো না। কিন্তু শুধু দোষ করেছে ইসলাম, ইসলামী কালচার ও পোষাক।
এই হলো আমাদের বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের অবস্থা। আওয়ামী লীগ এই ধরনের ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশে আনতে চাচ্ছে। অন্য ধর্মের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, কিন্তু ৯৫% মুসলমানের দেশে ইসলামের কিছু দেখলেই বাঁধা দেয়া হবে, নির্যাতন করা হবে, গ্রেফতার করা হবে।
দেশের জনগণের সচেতন হওয়ার সময় চলে এসেছে।