somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সাইকেল র‍্যালীর আত্মকাহিনী...

২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বছর পাঁচেক আগে মনে হয় শেষবারের মত সাইকেল চালিয়েছিলাম। জঞ্জালের এই শহরে সাইকেল চালানো তো দূরে থাক সাইকেলের দিকে বিশেষভাবে তাকানোরই সুযোগ হয় নি। সেজন্যেই বোধহয় সাইকেল র্যাসলীর কথা শুনে বা আয়োজনের ধারনা বেশ উত্তেজনা আর চিন্তা এনে দিয়েছিল মাথায়, তার উপর যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই র্যা লীর আয়োজন সেই উদ্দেশ্যটিও বেশ মহৎ, সবমিলিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এসাব) আয়োজিত “স্বাধীনতার শপথে জেগে উঠুক তারুন্য, জেগে উঠুক স্বপ্ন...” শীর্ষক সাইকেল র্যাালিটি একজন আয়োজকের চেয়ে একজন অংশগ্রহনকারী হিসেবে আমার মধ্যে বেশ উত্তেজনা, স্বপ্ন আর বিশাল দায়িত্ব-চিন্তার এক অনন্য অনুভূতির সঞ্চার করে ইভেন্ট ঘোষনার পরক্ষণ হতেই।
স্বাধীনতা দিবসে কি করা যায়, কি করলে প্রথাগত পালন থেকে বেরিয়ে মানুষ স্বাধীনতা শব্দটিকে নিয়ে আলাদা করে ভাববে এরকম একটা চিন্তা থেকেই মূলত এইরকম একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। প্রথমে ঠিক করা হল ৫২’ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এক বিপ্লবের স্মরনগাঁথা হিসেবে শহীদ মিনার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সাইকেল র্যা্লীর আয়োজন হোক। পথে মানুষকে হয়ত জানানো যাবে উদ্দেশ্য। পরে দূরত্বের কথা চিন্তা করে রায়ের বাজার বদ্ধভূমি থেকে শুরু করার কথা থাকলে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগের কথা বিবেচনা করে শহীদ মিনার থেকেই শুরু করার পরিকল্পনা ধার্য্য করা হল।
এইরকম একটি সংকটপূর্ন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালানোটা বিপদজনক বলে অভিজ্ঞ “ভ্রমণ বাংলাদেশ” এর সাহায্য চাওয়া হল। তাঁরা তাদের যাথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা দিলেন যদিও শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদের সিলেট ভ্রমণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়াতে আর সময় দিতে পারেন নি। যাই হোক, আমাদের আয়োজকদের ইচ্ছা ছিল একটু বড় পরিসরেই র্যামলিটি করার, সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়।
প্রথমেই খরচের কথা চিন্তা করে একজন পৃষ্ঠপোষকের চিন্তা মাথায় আসে, কয়েকজন কর্পোরেটের কাছে যাওয়া হল, খুলে বলা হল পরিকল্পনা তারপর তাদের সিএসআর থেকে কিছু অর্থ পৃষ্ঠপোষকতারূপে দেয়া যায় নাকি সে অনুরোধ করা হল। কিন্তু, কর্পোরেট বাবুরা যতই লাল সবুজের জামা পড়ে সভা-সমাবেশে বড় বড় কথা বলে, নিজেদেরকে যতটা সুপিরিয়র দেখানো ভাব করেন আসলে তাদের স্বরূপ ধরা পড়ে এইসব অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা চাইলে। যদিও বাংলাদেশের মাটিতে ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার সময় সিএসআর এর শর্ত মেনেই ব্যবসার অনুমতি পায় তারপরেও এইসব পৃষ্ঠপোষকতার বেলায় তাদের নগ্ন রূপ বরাবরের মতই প্রস্ফুটিত হল, এক কথা “মিডিয়া না থাকলে এক টাকাও না” ঘুরেফিরে সিএসআর দিয়ে মার্কেটিং এর অশ্লীল চিন্তাভাবনা, তাছাড়া এসব আবেগকে পূঁজি করে জোরালো মার্কেটিং এর ধান্ধা। আর মিডিয়ার কাছে গেলে “ এইসব অনুষ্ঠান আমরা কভার করি না” তাও এমন এক সংবাদপত্র থেকে এমন বচন পাওয়া গেল যারা নাকি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের সংবাদপত্রে সবচেয়ে বেশি মর্মস্পর্শী খবর ছাপে, অথচ এই অনুষ্ঠান তাদের কাছে কোন মূল্যই বহন করে না। মজার বিষয় ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার একজন বললেন “আমাদের তো ঐদিন(২৬ মার্চ) কোন রিপোর্টার খালি না, তাই এইটা কভার করতে পারব না” প্রশ্নটা মনের ভেতর আপনা থেকেই এল “আপনাদের রিপোর্টাররা তাহলে ঐ দিন কি কাজ করে?এই ধরনের উদ্যোগকে প্রচার না করতে পারলে আপনাদের কিসের এত ব্যস্ততা?”

যাইহোক, এইরকম একটা সময়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রায় ৪/৫ দিন আগে যারা যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল এবং আয়োজকদের মনে একটাই প্রশ্ন এত অনিশ্চয়তার মধ্যে যাওয়াটা উচিত হবে কিনা? কিন্তু আয়োজকদের একজন হয়ে, কেন জানি মনে হচ্ছিল এইরকম একটা উদ্যোগ সামান্য কিছু টাকার জন্য থেমে গেলে আসলে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে যে চেতনার স্ফূরণ ঘটেছিল সেটিকে আসলে দাফন করা হবে। কিন্তু, তারপরেও অনেক কথা থেকে যায়, হাইওয়েতে এরকম একটি ব্যতিক্রমধর্মী র্যািলীর নিরাপত্তা কি? এসবের পাশাপাশি আরো অনেক প্রশ্ন ছিল। এমনকি স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতেও সেসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তারপরেও সব অনিশ্চয়তার যে পরাজয় ঘটেছিল সেটাই আসলে আমার মাঝে দারুন একটা চেতনার জন্ম দিয়েছিল। গতকাল আমি সত্যিকার অর্থে দৃঢ় চেতনা আর প্রতিজ্ঞার মর্মটা বুঝেছি। বহু মনিষীর বলে যাওয়া কথা শুনেছি “দৃঢ় প্রতজ্ঞ হও, সাফল্য মিলবে” কিন্তু এই কথাগুলো আসলে কখনো উপলব্ধি করার সুযোগ হয়নি আমার জীবনে, গতকাল এই উপলব্ধিটা এল। শুধুমাত্র এই ঘটনার জন্যেই নিজেকে এই ইভেন্টের সাথে যুক্তভেবে গর্ব বোধ করছি।

সাইকেল র্যা্লীটি ২৬ মার্চ সকাল ৭ টায় শুরু করার কথা থাকলেও সব কিছু গুছিয়ে যাত্রা শুরু করতে করতে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে যায়। সবশেষে যাত্রা শুরু হয়েছে এই আনন্দেই নিউ মার্কেটের সামনে এসে ছোটখাট একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম আর একটি সাইকেলের সাথে।বেশ কিছু বছর পর সাইকেল চালাচ্ছি, কিছুটা সংশয় তখনো কাজ করছিল যে সত্যিই কি এতটা পথ আমি পাড়ি দিতে পারব কিনা, এর উপর আবার আমার এজমার সমস্যা আছে। সব কিছু মিলিয়ে সাইকেল র্যাালীটি যখন সত্যিকার অর্থে শুরু হল তখন আর কোন সংশয় ছিল না। কল্যানপুরের দিকে আসার পর ৪/৫ জন শুভাকাংখী ফোন দিয়ে বললেন যেন স্মৃতিসৌধের দিকে না যাই ওখানে মারামারি হচ্ছে, কিন্তু এত অনিশ্চয়তা আর সংশয় কাটিয়ে যে মানুষ এক অসাধারন চেতনা আর ঘোর নিয়ে সাইকেল র্যা লী নিয়ে এগুচ্ছে সে আসলে তখন এই কথাগুলোকে কোন মূল্যই দিতে ইচ্ছুক ছিল না।

যাত্রাপথে আসলেই অনেক কষ্ট হচ্ছিল সাইকেল চালাতে, একে রোদের ভীষণ তেজ তারউপর রাস্তার কিছু জায়গায় উঁচু-নিচু আর হাইওয়ে বাসগুলোর বেপরোয়া চালনা। যাই হোক সব কিছু নিয়ে যাত্রাপথে বেশ কিছু জায়গায় সবাই থেকে চা-পানি খেয়ে প্রায় তিন ঘন্টা পর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছালাম। এর মধ্যে আল্লাহর অশেষ রহমতে কারো সাইকেলে কোন প্রকার সমস্যা হয় নাই। যাত্রা পথে আমাদের সাইকেল র্যা লীর উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছিল তা আসলে জানা নাই তবে আমরা যখন ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গেলাম তখনকার উপলব্ধির আর অনুভূতির সাথে আগের কোন অনুভূতির মিল ছিল না। দৃঢ় এক চেতনার যেন একটা দেখা পেলাম সেখানে সবার মাঝে। কেউ কেউ স্মৃতিসৌধের দিকে ফিরে আপনা থেকেই স্যালুট দিচ্ছিল। এ দৃশ্য দেখে বুঝতে আর বাকি ছিল না যে আমাদের র্যা লী কতটা সফল।

স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর “রাজাকারদের প্রজন্মকে কখনো সামাজিক সত্ত্বা হতে না দেয়া আর জীবীত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নিশ্চিত” করার প্রতিজ্ঞা করে ফেরার পথ ধরলাম সবাই। ফেরার পথে পা যেন আর চলছিল না, সবাই মিলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ দুপুরের খাবার খেলাম। আমাদের সাথে যারা ছিল তাদের পরিচিত ভাই/বন্ধুদের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। তাদের প্রতি হয়ত গতকাল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়নি তবে তাদের এই আতিথেয়তা অনেকদিন মনে থাকবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটাও বেশ আশাজাগানিয়া ছিল। লাল সবুজ পরিধেয় পরে সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছিল, কেউ গান গাচ্ছিল দল বেধে, কেউ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছিল। এই দৃশ্যগুলো একটা গাছের ছায়ায় বসে দেখে একটা বোধই হচ্ছিল – এই দেশ যেই চেতনা থেকে জন্ম নিয়েছিল সে দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। সবাই চেস্টা করে এই দিবসগুলোকে নিজেদের মত করে নিজেদের চেতনাকে প্রস্ফুটি করতে। সবাই কিছু না কিছুর আয়োজন করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই চেতনাগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য , এই আয়োজন আর এই চেতনা সমৃদ্ধ উতসবগুলো দেখে সত্যি খুব ভাল লাগে, মনে হয় আমাদের কোন ভয় নেই, রাজাকারদের জারজগুলো যতই চেস্টা করুক তারা এই দেশের মাটিতে আসলে আর কখনো স্থান পাবে না। এই চিন্তাগুলো গতকাল একটা প্রশান্তির পরশ বুলিয়েছিল মনে, আর অনেক পরিশ্রমের পর মনোরোম প্রাকৃতিক পরিবেশে এই ভাবনাগুলো ভাবতে পারাটাও অনেক আনন্দের ছিল।

যাই হোক, বাসায় ফিরতে হবে, এই তাগিদ থেকে ফেরার পথ ধরলাম। সাইকেল চালিয়ে বেশ খানিকটা পথ এলাম। সাভার বাজারে আসার পর একটা পিক আপে করে সবাই গাবতলী পর্যন্ত এলাম। এই অংশটুকুও বেশ দারুন ছিল, এত পরিশ্রমের পরেও কারো মাঝে এতটুক ক্লান্তির ছাপ দেখিনি, বরন উল্লসিত ধ্বনি বারবারই তারুন্যের শক্তির প্রমান দিচ্ছিল। তারপর আবার সাইকেলে করে যার যার গন্তব্যে পথ ধরলাম। সবমিলিয়ে জীবনের প্রথমবারের মত ৫৪ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা হল আর সেই সাথে এক অমুছনীয় আবেগ আর উপলব্ধি নিয়ে বাড়ি ফিরলাম যা সারা জীবনের জন্য এক সঞ্চয় হয়ে থাকবে।
সাইকেল র্যােলীর মূল উদ্দেশ্য ছিল “ রাজাকারদের কখনো সামাজিক সত্ত্বা হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া আর জীবিত মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের জন্য যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করা”। এই সাইকেল র্যা লীতে হয়ত নিতান্তই হাতে গোনা কয়েকজন অংশ নিয়েছেন (অনেকে হয়ত এমনিই গিয়েছেন, সাইকেল হয়ত দেয়া সম্ভব হয়নি অনেককে), হয়ত আমরা অনেক জানিয়ে র্যাইলীটি করতে পারি নি, তবে অতি স্বল্প সময়ে আমাদের সামর্থে আমরা যতটুকু করতে পেরেছি তা আসলে আমাদের জন্য এক পরম পাওয়া। যারাই গিয়েছি বা যারাই এই উপলব্ধির অংশীদার হতে পেরেছি আমি জানি তারা প্রত্যেকে নিজেদের জীবনের এর এক প্রতিফলন ঘটাবেন। শুধু এইটুকু হলেই আমাদের র্যা্লীটি অতিমাত্রায় সফল হবে।

কিছু ছবি -


যাত্রা শুরু হবার আগে...


আসিফ মুভি পাগলা যাত্রা শুরু হবার আগে অনেক লম্বা ছিল...


হাত তুলে আনন্দ প্রকাশ...


চলছে গাড়ি...স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে...


শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের উদ্দেশ্যে মূল বেদীর দিকে পদযাত্রা...


শ্রদ্ধা, প্রতিজ্ঞা আর শপথ এই স্মৃতিসৌধকে ঘিরে...



শ্রদ্ধা নিবেদন...


ফেরার পথে...

সবার জন্য শুভকামনা...
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×