৬৫.
লকেট যায় যেখানে আমিও যেতে চাই সেখানে
সেখানে, একদিন সব্বোর্চ ভিতরে, পরতার যাবো
হয়তো ঐ সোনার কারাগর হতে বেরিয়ে 'বিশ্ব' নামক
আরেকটি বিকট বিকল কারাগর-মধ্যে চলে ...
৬৪.
বাংলাদেশের মৃত্যুতে, একদিন আমি যাবো ছিঁড়ে ...
এসছিলাম আমি একটি দেবদাররু-গাছ-মধ্য-করে
সঙ্গে বহন করে এই খেলনা পৃথিবীটা ...!
৬৫.
ইশকুলে আমরা কখনও যাবো-না, যদিও
ইশকুলের পথেই আমাদের পৌছানোর কথা!
৬৬.
যার-পর-কিছু-নেই-আর! এমন হচ্ছে আকাশ ও জীবন,
যেমন তোমার জন্মের পূর্বেও তেমন আছিল-না, কিছুই।
৬৭.
ফুলদানি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা দু একটা ফুলের ডানা,
আর ব্ল্যাকবোর্ড থেকে ছুটে যাওয়া একটি দুটি পাখি ও
কালো কালো মোমবাতিরা, ...এরাই আমার ভালোবাসা
৬৬.
ইদানিং দেশে দেশে বিক্রিটা হচ্ছে বিষন্নতা কমানোর ওষুধ;
যা খেয়ে মানুয়েরা আরো বিষন্ন ও রোবটিক ধরনের মানুষে
পরিণত হচ্ছে, এতে লাভবান-হচ্ছে এইসব ডাইনোসরের মত
ডাক্তাররা, ও অনেকে। তারচেয়ে মন! তুমি নিজেই পারো
আনতে ফিরিয়ে তোমাকে এ-পৃথিবীতে আবার!
৬৬.
বাংলাদেশে আজ অবধি একজন সৎ-ডাক্তারই দেখি
নি আমি, (আর সৎ-মানুষতো দূরের কথা) একজন ডাক্তারের
কথা বলছি, নাম, এইচ. এম. ফিরোজ, সে-করে-কী, যে
কোনো রোগী তার নিকটপ্রাপ্ত হলে, নিশ্চিত ভর্তি। (ভালো-কথা)
পরতার, ওই রোগীর অভিভাবকের সামর্থ্যানুযায়ী ২০/৩০ দিন
পর সেই রোগিকে কিছুu ওষুধপত্র দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয় হয়।
কিছুদিন রোগীটি রোবটের মত যে-যাহা-বলে শুনতে ও করতে
থাকে, কিন্তু সেই গরিব-অসহায় অভিভাবকদের কেনা বিষগুলির
মধ্যে, এমন দু একটা বিষ রয়েছে, ফিরোজ সাহেব ইচ্ছা করেই
যা দিয়েছেন, যেন আবার সেই রোগীকে তার কাছে আসতেই হয়
ফিরে, আর তখন সেই একই রোগীর দ্বিতীয়বারের চিকিৎসাটা সে
এ-বার কিন্তু করেন ঠিকমতোই। তারপর, রোগীটি হয়তো ভালো
হয়ে যান! (যদি তখন পর্যন্ত রোগটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের আয়ত্তের
মধ্যেই থাকেন।) এর জন্য ''মনেজগত'' পত্রিকার সম্পাদক এইচ.
এম. ফিরোজকে ধন্যবাদ! কিন্তু দেশে আরো কসাই আছেন, যারা
শুধু ২ বার নয় রোগীদেরকে বারবার ভর্তি করতে ও আনতে আনতে
...আমাদের ফতুর করে দেন।
৬৬.
সৎ মানুষ এখন দূর্লভ-প্রানীতে পরিণত হয়েছে, পুরো
রাষ্ট্র খুঁজে যদি একটা সৎ-মানুষ মেলে ইদানিং কিংবা
ভবিষৎতের কোনো-কালে : তবে তাকে সভ্যতা! আমার
জামা-কাপুরের সঙ্গেই রেখে দিয়ো, নির্দিষ্ট কোনো জাদুঘরে ...
৬৭.
আর আমাদের আছে কী কোনো দেশ?
আমাদের মন থেকে বিদায় নিয়েছে স্বদেশ!
আকাশখাঁচার বাইরে ...
৬৮.
ভাবো
ভাবো তুমি কী বলিতে পারো!
স্বার্স্থ্যের জন্য স্বর্গ?
৬৯.
কিছুটা ঘরে বন্দি সূর্য; কিছুটা ঘরে উলঙ্গ প্রজাপতি :
পিতা হল শাসক, মাতারা মমি! মাতারা কী মমি?
৭০.
জিরাফের ভোকাল কর্ড চুরি করে-ছিল যে চোর,
তারে পায়ে এখনও ব্যথা, (যদিও মনটা তার করা-সেলাই)
তবুও তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বাকি ডালপালা। ...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




