৬৩.
মানবসমাজ বংশগতিসূত্রে প্রচন্ড অভিনয়প্রবণ, তার মধ্যে (আমরা
নিজেরাই দিনের অধিকাংশসময় অবচেতনভাবেই অভিনয় করে কাটাই,
একে অপরের সংঙ্গে।) তবে সবচাইতে সফল ও দক্ষ অভিনেতানেত্রী
হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর সিনেমার সব নায়কেরা আর রাজনীতিবিদগণ ...
৬৪.
কুকুর হয়েছি বলেই কী একটুও ঘুমতে পারবো-না সারারাত তোমাকে
চিন্তায় চিন্তায় কূজনে-ভরা?
৬৫.
ভোর হয়েছে বলেই কী আমি যাবো শুতে চকলেটরঙা শাড়ি খুলে
গরুর গন্ধমাধা এই টেবিল ফেলে আর
তুমি যাবে এক হাম্বা-তারকার দেশে?
৬৬..
যদি আমি আর না-হাঁটি কোনোদিন পৃথিবীর এই কালো পথে পথে
তোমার-ই হাত ধরে কোনো এক চকলেটীয় রাতে নেঁচে নেঁচে কিছুক্ষণ।
আর স্বপ্ন-লাগিয়ে-গায়ে, হাতে-নিয়ে-দেশযুগল। চালিয়ে পা, দ্রুত এই
বীর মাঠে মাঠে জীবনের। নতুবা আমি যাবো সেখানে যেখানে দয়ারা
আসে, আর তারারা ফোটে সকল ...
৬৭.
উঁড়তে না-পারা সৃষ্টি করেছে
উঁড়া; যেমন সাউন্ডট্রাক সৃষ্টি করল
নির্জনতা।
৬৮..
বাহির থেকে এসছি আমি বাহিরেই যাবো চলে
নিশি-ডাকে-পাওয়া ওই মানুষগুলির মতো বিপন্ন!
বিশ্বভারনত বিকট এই বৃষ্টির বিটগুলি শুধু গুনে গুনে
৬৯.
অতীত-ছাড়া-একজন মানুষ আমি
অতীত-ছাড়া একজন মানুষ
যদিও দেয়ালের অপরপার্শ্ব হতে সর্বদা শুরু হয় আমার জগত।
৭০.
একদিন আমি ছিঁড়ে যাবো ...
আমি এসেছিলাম এই পৃথিবীতে একটি দেবদারু গাছের মধ্যে করে
সঙ্গে বহন করে একটি খেলনা পৃথিবী।
৭১.
ভবিষ্যতের দৌড়, বহু দূর ...
৭২.
যদি তুমি না-আসো ফিরে আমার কপালে শনি আছে।
৭৩.
আজ আমি আমার নিজের মাথায় লাথি মারলাম একটা; আর
কোথায় পালালো স্বপ্নের শেষ তারা? তারচেয়ে তোমার পা
দুখানি জিভে করে স্থাপিত কাদি বসে আমি আজ আকাশবিনা।
৭৪.
আমার মুখ দেখতে একটি সস্তা হোটেলের মতো বলেই কী তোমাদের সঙ্গে
গোল হয়ে বসতে পারবো-না, কোনোদিন আর?
৭৫.
কসমেটিক্সসের জন্য খুন করা হচ্ছে আমাদেরকে, বিছানাতে।
জুতার মধ্য হতে বেরিয়ে আসলো আমারই স্বদেশের মুখ- এ দৃশ্য দেখতে
৬৩.
চটতে চটতে এক নীল-লাল-ফুলকি গেল উঁড়ে, দূরবহু। কবর খোড়ার
গৌরবে আর নিশ্চয়ই একদিন এ শহরের সমস্ত নেশাখোর মেয়েরা অংশ নিবে
গণোভ্যুত্থানে।
64..
পুরোটা বাংলাতে ঢালা হয়ে গেছে পেট্রল, এখন শুধু বাকি জ্বালাতে একটি কাঠি
65.
হে আমাদের ঈশ্বরের প্রতিপালক!
হে আমাদের জগতসমূহের মহান ঈশ্বরের মহা প্রতিপালক!
সকালের সূর্যের মতো যে আমাদের এই নিজেদের সৃষ্টি। (পৃথিবীকে
নিক্ষেপ করেছে, আমার বুকের ভিতরে।) অসীমের বাহিরে যে সীমার
অবস্থান, ওইখান হতে ভাবছি, আমি। ঈশ্বরের গল্প পড়ে বুঝা যায়, তার কত-না মানসিক-রোগ আছিল, এখনও আছে। (যে কল্পিত লোকটা নাকি বিভৎস সব রকম জিনিস রেখেছে নরকে, আমাদেরকে পোড়াতে, কী ভয়ংকর তার সব চিন্তা! আমি ভাবতিও পারছি-না!অদ্ভুদ সব আবোল-তাবোল চিন্তা। কর্ম-আর -ঘোষনা ...
61.
-'আচ্ছা, বলতো পৃথিবীর কেন্দ্র কোনটি, কেথায় তা?
উত্তরে, শিক্ষক বললো,_ 'আমেরিকা'। কিন্তু ছাত্র ঠিকই বলল-
'না, পৃথিবীর কেন্দ্র হচ্ছে, এই এখন তুমি দাঁড়িয়ে আছ যেখানে, সেইখানটা।
62.
বিশ্বজুরে এখন চলছে বৃদ্ধদের শাসন; এ-টাকে
বদলাতে-হবে, না-হলে আমরা সবাই
একদিন একসাথে নেমে যাবো ভূতলে ...
আর মুছে যাবে পৃথিবী থেকে 'আমাদের সেরা গানগুলি'।
63.
ভোর হয়েছে বলেই কী আমি যাবো শুতে চকলেটরঙা শাড়ি খুলে
গরুর গন্ধমাধা এই টেবিল ছেড়ে আর
তুমি যাবে এক হাম্বা-তারকার দেশে?
64.
যদি আমি আর না-হাঁটি কোনোদিন পৃথিবীর এই কালো পথে পথে
তোমার-ই হাত ধরে চকলেটরঙা রাতে নেঁচে নেঁচে কিছুক্ষণ। আর
স্বপ্ন লাগিয়ে গায়ে, হাতে নিয়ে দেশযুগল। একটি চালিয়ে পা, দ্রুত
এই বীর মাঠে জীবনের। নতুবা আমি যাবো সেখানে যেখানে দয়ারা আসে, আর তারারা ফোটে সকল ...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




