somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভবষ্যিৎবাদ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভবিষ্যৎবাদ

জোনাকিপ্রধান এক নতুন দিনের সঙ্গে ব্রাউন সুগার
মৃত্যুর প্রশংসাপত্রের সঙ্গে কিছু ধানক্ষেত তোমারও বুকে
একটি হরণ ভরা মুখের সঙ্গে আয়ুর সমান একটা মাঠ।
রাষ্টপতি কাজ করছেন না কোনও রাখাইনদের সঙ্গে
ত্রিংশ শতাব্দীর একটি হাবভাবের সঙ্গে জবাই হবার আগে ও পরেÑ আমি মাঠ,
ফুলের দেশে
আর সোনার মেয়ের সঙ্গে চলে গেছে সোনার জল্লাদ

আশ্বিনের একটি খোলা মাঠের সঙ্গে আগুন হয়ে গেছে উড়ে ডানাভরা স্বপ্নেরা
আঁধারের গন্ধভরা একটি বিছানার সঙ্গে ঢালচরে যাবার পথের সমস্ত খাল
শিশুর যৌন আবেদনের সঙ্গে আমি স্বপ্ন দেখি সাত আসমান
বাঙলাদেশের এক অবিশ্বস্ত বাঘিনীর সঙ্গে ভালোবাসি সেই মুহূর্ত যখন তুমি ভাঙো
তালা,
বীরের মাথায় গেঁথে যাওয়া একটি ফাল্গুনের সঙ্গে জটিল শাড়ির পোঁচে খোওয়া
যাওয়া একটি মাথা
আর নিরাকার এই গানের সঙ্গে একটি দুটি নিরাপদ বাইসন!
দেশপ্রেমহীন একটি ঝিরঝিরে মেঘপ্রাণীর সঙ্গে বীরের ফিরে আসা
আসন্ন একটি পিতৃহত্যার সঙ্গে চোখ বন্ধ করা এক নক্ষত্রদর্শক
ডানাখচিত একটি বাছুরের সঙ্গে সদ্যোজাত একটি কল্পনার সত্যতা
সর্ব্বোচ্চ একটি মেঘের কেশরের সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় একটি কুমারীশাবক
চিতাঘেষা একটি বনবালিকার সঙ্গে রাস্তা থেকে কিনে আনা মরণপাখা;
স্বপ্নে পাওয়া একটি শিরচ্ছেদের সঙ্গে ভাঙো শুধু টিভি, প্রত্যেক ঘর থেকে বেরিয়ে
মাটিকে জড়িয়ে ধরো আর প্রজাপতির নিতম্বদেশটি!
মনের একটি বিকৃত গোলাপের সঙ্গে আমি চাই ও চিনুক আমাদের ডুকরানো
উপাসনার লাল হরিৎ ঝিনুক

আমার জলজীবন-পশুজীবন-উদ্ভিদজীবনের স্মিৃতর সঙ্গে ‘আমি তোমাকে খুন
করবো’Ñ এমন একটি উপলব্ধি
আর সাপের হাই লেগে ঝরে পরা শস্য বসতের সঙ্গে ঘেউ ঘেউ করা স্বপ্নের কুকুর
দ্রুত একটি গন্ধরাজের সঙ্গে ‘ও গ্রাম শহর থেকে তুমি ফিরবে কবে’?
দেশপ্রিয় চির সন্ত্রাসীদের জোটের সঙ্গে রক্ত দিয়ে আমি মুছে যেতে আসি
শিশুদের মৃত মুখগুলি!
চাঁদের আলোর সঙ্গে চক্চক্ করছিল ট্রাক থেকে ইট ফেলার শব্দ পৃথিবীতে
মফস্বলের আলোয় দুপুরের রাস্তায় তোমার সঙ্গে দেখা-হওয়া-সংক্রান্ত এক ঘন
চালকুমড়োর সঙ্গে মাটিতলে অস্ত যাওয়া কুকুরের মতো চেহারার মা-মগ্ন এই
আমি;
সদ্যঃপ্রসূত একটি হরিণের বার্ধক্যের সঙ্গে আমার সন্দেহ, মাঠের গন্ধে
অসহনীয় একটি দোপাটির সঙ্গে মাথাভর্তি আয়না; আয়নার কোলে শুয়ে আছি
স্বপ্নের শেষ তারার সঙ্গে জবাবহীন এক মাঠ, বিমানে উড়ে যাওয়া সেই অর্ন্তবাস
নিজ মনের যাবৎ আততায়ীর সঙ্গে অতিকায় স্বপ্নে নামে রাতে... স্বপ্ন ও স্বপ্নের
ভবিষ্যৎবাদ
বাহির হওয়া বৃষ্টির সঙ্গে চূর্ণ চূর্ণ স্তনের স্রোত : স্তনের মুখভাঙা আরো চ্যাপ্টা
বিশদ
বঙ্গোপসাগরের মতো এক গাভীর গভীর ডাকের সঙ্গে সঙ্গমরত কুমারীরা বি¯তৃত
হত লবঙ্গদানার ভিতর

ক্ষিপ্র গতির এক কাদার পাহাড়ের সঙ্গে এবার দেশবরেণ্য চির স্মরণীয় এক উন্মাদ
আর আমার তারকাচিহ্নহীন একটি এঁটো সূর্যের সঙ্গে তুমি করছো বাজারের মতো
ব্যবহার
মৃত্যুর একটি থাপ্পড়ের সঙ্গে আমাদের পিছিয়ে যাওয়া রোমান্স
চোখে চোখে রাখা একটি পিঁপড়ের সঙ্গে ডানাকাটা একটি মহাশূন্য
কোনোদিন আগুনের সঙ্গে আকাশস্থ গোলাপবনে যেতে যেতে আমাদের
ভালোলাগে পুনরাগত এই মৃত্যু আমার!
অপয়া অপদস্থ একটি বাড়ির সঙ্গে একটি সর্ষেভরা জমজমাট গানের সকাল
অতি দ্রুততম একটি দুপুরের সঙ্গে ডেকে উঠতো নগরীর একশোতম বন
বরঞ্চ আমাদের হাপুর-হুপুর ডুব পারার নর্দমার সঙ্গে পৃথিবীও ¯নানে নামে জলে...
কতিপয় কালো কালো চালপোকার সঙ্গে দাউ দাউ করে উঠে অকৃতজ্ঞরা
মানবীর প্রতি আস্থা হারানো একটি বাঘের সঙ্গে প্রচন্ড ভাবের সুরে, মাঠের
মরশুমে...
জিভ বের করা অভিভাবক প্রণীত এই ধোঁকার সঙ্গে সর্বত্র হারানো পৃথিবীর মহানবীরা,
আমার কিছু অনিন্দ্য নিন্দার সঙ্গে ডোরাকাটা চোখ হেঁটে গেল উজানে উজানে...
তৃতীয় কোনো শক্তির সঙ্গে ধানক্ষেতে অসুস্থ শুয়ে ফসলের পোকার মিহি স্বরে মিশে
চমকে উঠা একটি ভূতের সঙ্গে বাজেটের ডিম ভেঙে বেরিয়ে আসা একটি ঘোড়া;
আর আমার অনুপস্থিতির সঙ্গে এই যে ঝুড়িভরা মাঠ, চাঁদ ও পাখিদৃশ্য খুলে
দিলাম কোটি বছরের ফ্রেম ভেঙে
মেঘমুক্ত একটি হাসপাতালের সঙ্গে হা করে আছে যূথবদ্ধ প্রাণের কসাই;
মুখের ভিতর নেওয়া একগুচ্ছ খিটমিটে ডালপালার সঙ্গে আমার দিকে তেড়ে
আসা আ মরি পরীর নেশা,
রাতের স্বপ্নবিহীন একটি নদীর সঙ্গে সূর্যোদয়ের আগে কিংবা পরে আমরা
নিজেরাই
নিজেদের মাংস খাইÑ করে ঝাল ফ্রাই!

গ্রেনেড নিক্ষেপকারী একটি আকাশের সঙ্গে আমি স্বপ্ন দেখি একটি অপহরণ;
তারপর প্রত্যাবর্তন!
তারপর কি প্রত্যাবর্তন ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×