মাঠশালিক,
ওলো সই- তবে শোনো বনের রাজ্যের পদাবলি;
গুলিতে নিভে গেলো মোমবাতিরা বহুরূপি।
ফিতায়-ফিতায় আকাশের সৌরবিড়াল মাতাল,
পালালো দূরবহু...। বাঘিনী তার আগুন লাগা চিৎকার
ছিঁড়ে শঙ্খ বাজায়। সন্ধ্যা নামে... জংলী বনের দীঘিতে।
জলে এতো কী হিম পৃথিবীর, এ জলে স্নান সেরে জেনেছি
আউশ ধান এতো কী ঘ্রাণময়...
আর থেকে থেকে তোমার স্তনের ওজস্বী চোখ
তার রূপকথা নিয়ে ভেসে ওঠে সম্পূর্ণ জলে।
কবিতাসন্ধ্যা আজ আমার একক
বনের জরুয়াতে দৌঁড়ায় মাঠের ছেলেবেলা। মহীরুহু
বীজ হাতে চাষীরা ফিরতি পথে আবিস্কার করে,
গাছে একটি দু'টি শিঙ ঝুলে আছে। তোমার। আমার।
মহাপৃথিবীর। আজও লাশ ওভাবে। রূপকে শুয়ে।
আয়না দেখি একটি সম্পূর্ণ। আয়নাটা ভেজা। বনের
সিংহদরজামুখ ঘেঁষে : পেশাদারী ভঙ্গিতে বসা।
ঐ তো আমি। না। অন্য কেউ। আরেকখানা।
মাটির ভাঁড়েতে অথই নীলিমা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




