somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও গাছ-খেকো-দের আবির্ভাব !!!

০৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবুজের সারি সারি দেয়াল, আলো-ছায়ায় ঘেরা এই ক্যম্পাস, প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায়. ক্যম্পাস-এর গেট দিয়ে ঢুকলেই মনে হয় "মায়ের কোলে উঠলাম". আমার মত অজস্র ছাত্র-ছাত্রীর প্রিয় জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়. ২০০৮ সালের কথা, তখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র. ডেইরি গেট দিয়ে ঢুকার পথে দেখলাম কয়েকটা গাছে cross চিহ্ন দেয়া. কিছুক্ষণ-এর মধ্যে জেনে গেলাম cross চিহ্ন দেয়া গাছগুলো কেটে ফেলা হবে !!!
ব্যস, সেই রাত থেকে শুরু হয়ে গেল গাছ কাটার প্রতিবাদ. হলে হলে চলল ব্যান্যার, ফেস্টুন লেখার যুদ্ধ. সকাল হতেনা হতেই register ভবনের সামনে জড়ো হলো সবাই. দেখতেনা দেখতেই বিশাল এক মানব বন্ধন তৈরী হয়ে গেল. সাংবাদিকরা এলো, বিভিন্নি টিভি চান্যেল-এর লোক এলো, আমাদের মনে সাহস বাড়লো, গাছগুলোকে আমরা মনে হয় রক্ষা করতে পারব. অবশেষে আমরা বিজীয় হলাম, সেই যাত্রায় গাছগুলা বেচে গেল.
অনেকদিন পার হয়ে গেল. অনেক কিছু ঘটে গেল, নতুন VC এলো. সবাই গাছ কাটার কথা ভুলে গেল. ২০১০ সালের summer vacation শেষ করে আমরা যখন হলে ফিরলাম, অবাক হয়ে তাকিয়ে রই ক্ষত-বিক্ষত প্রিয় ক্যম্পাস-এর দিকে. গাছ খেকো প্রশাসন নির্বিচারে গাছ কেটেছে. summer vacation-এ ক্যম্পাস প্রায় ১ মাস বন্ধ থাকে. ছাত্র ছাত্রী-রা সবাই তখন বাসায় যায়. এই ফাকে আমাদের সম্মানীয় কিছু শিক্ষকগণ এই কার্য-সমাধা করেছে !!! [গাছ বিক্রি করে ভালই "অর্থ উপার্জন" করেছেন ওই অর্থ পিপাসু শিক্ষকরা. এইসব শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা কি শিক্ষা লাভ করব? ]
আসছে June মাস, আমাদের ক্যম্পাসে আবার summer vacation -এর বন্ধ হবে. এইবার কি হবে ? আবারও কি গাছ-খেকো-দের আবির্ভাব হবে? অবশিষ্ট যা গাছ আছে তা কি আবার গাছ খেকো-দের খাবার হবে?
অনেক কষ্ট হয় যখন কেটে ফেলা গাছের গুড়ি গুলো দেখি. নিজেকে তখন অপরাধীর মত মনে হয়. আমরা পারিনি গাছগুলো রক্ষা করতে.
অনেক শিক্ষক আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন গাছ কাটার. লাভ হয়নি. মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষকের কাছে আমরা জিম্ম্মি !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×