তোমরাই যদি বিচারক হও, যদি মৃত্যুদন্ডের শাস্তি কার্যকর তোমরাই কর, তবে কি আল্লাহর প্রতি, তাঁর বিচারের প্রতি তোমদের আস্থা নাই!
আল্লাহর চাইতে বড় বিচারক হয়ে গেলে কি করে? যে তোমাদের মগজ ধোলাই করলো সে কেনো লুকিয়ে কাপুরুষের মতন? এটা কোন ধরনের জিহাদের ডাক নিজে যুদ্ধের ময়দানে নাই অথচ তোমাদের পাঠিয়ে দিলো? সে বা তারা নিজেরা বিনা বিচারে বেহেস্তে যেতে চায় না, হুর পরী চায় না?
জেনে রাখো সে বা তারা আর কেউ না। দাঙ্গা, ফাসাদ, দ্বিধা, ফিতনা, বিদ্বেস এবং বিভাজন সৃষ্টিকারী মোনাফেক। যাদের ব্যাপারে আমাদের নবী সাবধান করে দিয়েছেন।
ধর্মের নামে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করে আমার ধর্মকে কলঙ্কিত কোরো না। ধর্মীও চরমপন্থি হওয়া ভালো, কিন্তু ধর্মান্ধ হওয়া কারোই কাম্য না। আল্লাহও চান না ধর্মান্ধ হয়ে অথবা অল্প জেনে, বুঝে আল্লাহর প্রতি তুমি নিজেকে সমর্পণ কর। ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে পরিপূর্ণ সমর্পণ কখনই সম্ভব না। তবে ফিতনা, ফাসাদ, দাঙ্গা, হাঙ্গামা খুব সম্ভব। কোরান বলে ফিতনা, ফাসাদ, গোলযোগ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, বিদ্বেস, বিভাজন ইত্যাদি সৃষ্টি কারা হত্যা করার চাইতেও ঘৃণিত অপরাধ। পূর্ণ সমর্পণ তখনি সম্ভব যখন তুমি নিজেই সত্যতা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে।
তোমরা কি জানো আক্রান্ত না হলে কাওকে আক্রমন না করার প্রতি সরাসরি নির্দেশ আছে পবিত্র কোরআনে?
আল বাকারাহ- ১ঃ১৯০
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ বাড়াবাড়িকারিদের পছন্দ করেন না।
আস্থা রাখ মহান আল্লাহর উপর। যিনি সব কিছু দেখেন, জানেন। যেটা যেভাবে আছে সেটা সেভাবেই উনি চান। আমরা মানুষ কোনো ভাবেই আল্লাহর নির্ধারিত নিয়তি পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখি না।