এপার ওপার শব্দের শক্তি ভাবতে ইচ্ছে হয়
এই হাতের আয়ুরেখায় মানিপ্ল্যান্টের লতার মিল পাই
কলমীর দীঘি দেখি; দুধ মুড়িতে কানা কানি করে, লগি ঠেলে বয়ে নিয়ে যায় দুবলো কোসা নৌকা
আমি দেখি কাগজের প্লেন মেঘেদের রেখা ধরে যেতেই থাকে দুরন্ত উচ্ছ্বাসে
আমি ভাবতে পারি নাগরিক পালক, আকন্দের কষ ঘুড়ির সুতোয় মাঞ্জা দেয়,
মেরিট লিস্ট নেমে আসে সন্ধ্যায়, পড়ুয়া ঘুড়ি হাতে ছয়তলা বেয়ে নামে
আমি ভাবতে পারি হামিং বার্ড নেত্রীরা সমবেত হয় হাইড্র্যাঞ্জিয়া ফুলের ছায়ার, হিরন্ময় সমুদ্রের গান শোনো; আমিও শুনি। শহরে সমুদ্র মিসম্যাচ।
হিরন্ময়ী হাতের বালায় খোদাই করা ফুটনোট - দা এন্ড
চার পাপড়ির ফুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে নাবিকের জন্য অপেক্ষায় থাকা হাওয়াই দ্বীপের রাজকন্যার চোখ গড়িয়ে পড়ে জল পড়ে, আমি দেখি
আমি দেখি বদলে যাওয়া ফিজা বিস্তীর্ণ আগাম বরিষন, বাতাসের আলিঙ্গনকে উপেক্ষা করে যাত্রীদের নিয়ে পরিয়ায়ী পাখির মতন বড় জাহাজ উড়ে গেল
এবং ঘাটে ঘাটে পা মেজে কাদা ধুয়ে নেয়, কখনো রাতের নৈশব্দে চিড়ি বেজে উঠতো যে বাঁশরী, আজ বৃষ্টির রাতে কেন যেন আর বাজলো না
আমি দেখি পালক পরা জংলী আগুনের চারপাশে নেচে যায় উদ্দাম কয়লার ফুলকি তুলে
জীবনে ঢাক বাজিয়ে বাজিয়ে
আমি ক্রমাগত দেখলাম ফ্লাশ জ্বলে আর মেয়েরা বাবার কাঁধে কাঁদে।
দু;স্বপ্নে কান্না আর ভবিষ্যত পাশাপাশি তাকে। জানালায় তাকিয়ে দেখলাম এক ঝাঁক রূপালী ইঁদুর কার্বন কয়লার মত বাঁশিওয়ালার পিছনে ছুটে যায়।
বেগুনি ধুম্রজালে কেমিস্ট্রির ছাত্র ল্যাবনোট মুখস্ত করে ঘুমিয়ে পড়ে।
যেমন বাড়ি ফিরে দোকানের মহাজন চ্যাপ্টা বালিশে নাক ডাকে।
দেখতে পাই পুকুরে নুয়ে থাকা বকুল গাছ থেকে একটা ফুল এই মাত্র নেমে এলো জলে
সিঁড়ি ঘুরছে, লোক চলছে, পথ কাঁপছে, ইট আর সুরকি অনিচ্ছায় বৈবাহিক সিমেন্টে মিশে গেল ..
তারপর আমি দেখলাম বাড়ি পুরনো হয়ে যায়, অসুস্থ এক বুড়ো যে সেগুন গাছে বসে থাকে, শুধুমাত্র একটা নতুন বেড়াল স্নেহ দিয়ে শরীর ঘষে দেয়।
দেখতে দেখতে পার্কের বেঞ্চ খালি হয়ে যায়।
দেখে দেখে আমি ভেবে যাই কি তবে সেই দুটি মন? দুই ঘড়ির কাঁটা? কেউ বড় কেউ ছোট হৃদয়েরা মিশে যাবে পরষ্পরের বুকে, ছায়ারা পরষ্পর স্পর্শ করলেও, নিজেরা দূরে দূরে থাকে। হয়তো এভাবেই নিজেরা অধিকারের মরিচায়
নিজেদের বৃদ্ধি আটকে দেয় না
--
ড্রাফট ১.০
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২