মাথার মধ্যে বাসা বেঁধেছে একটি পতঙ্গ
তার হুংকারে ভীত-সন্ত্রস্ত নিউরনেরা
স্বাধীনতা হারায়—হয় পঙ্গু স্বপ্নেরা,
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি এই অথর্ব আমি।
দৌর্দন্ড প্রতাপে পায়চারি করে পতঙ্গটি,
তার পাঁচখানা পা ধরে চলে ইন্দ্রিয়ের মিথস্ক্রিয়া
অসাড় এই আঙ্গুলগুলো টাইপ করে চলে
বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয়, ক্রিয়া।
*****
হৃদয়ের কিছু গল্প আছে পতঙ্গের অগোচর,
বালিকার রুজ মাখানো গালের রক্তিম আভা
খরিদ্দারের অপেক্ষায় বিষন্ন সেলসম্যান
কিংবা দলছুট পানকৌড়ির আহাজারি
নিস্তব্ধতা ভেঙে কাকের আওয়াজ,
বারিষ ভেজা বিকেলে জারুলের ঝলক।
*****
আমি কি জানবো এর কিছু?
আমি তো মৃত কিংবা অর্ধমৃত,
কাজ করি, খাই, দাই, ঘুমাই
শ্যাওলা আমার ঘরের দেয়ালে।
কবে কি ঘটে যায়,কবে কি হয়ে যায়,
কবে রটে যায় আমাকে বাদ দিয়ে খবর!
শিউরে ওঠার ফুরসৎটুকুও নাই
আমি তো মৃত কিংবা অর্ধমৃত।