আর্থার অ্যাশ- প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসাবে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। জন্ম ১৯৪৩ সালে ভার্জিনিয়ায়। ১৯৬৮ সালে ইউ এস ওপেন, ১৯৭০ সালে অস্ট্রেলিয়া ওপেন আর ১৯৭৫ এ উইম্বলডন জিতেছিলেন, এরপর ১৯৮০ তে অবসরে যান। ১৯৮৩ সালে তিনি হৃৎরোগে আক্রান্ত হন, সার্জারীর পর তাকে রক্ত দেওয়া হয়। ধারনা করা হয় এ সময় রক্তের মাধ্যমেই তার দেহে এইচ আই ভি ভাইরাস প্রবেশ করে। ১৯৮৮ সালে তার শরীরে এইডস ধরা পরে আর ১৯৯৩ সালে মারা যান। জীবনের শেষ দিন গুলোতে তিনি অসংখ্য চিঠি পেতেন ভক্তদের কাছ থেকে। কেউ সান্তনা দিয়ে চিঠি লিখতো, কেউ দিত উৎসাহ। অনেকেই লিখতো- “তোমারই কেন এই রোগ হল- ঈশ্বরের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছো কখনো?” “তোমাকেই কেন ঈশ্বর নির্বাচিত করলেন?”
“কেন তুমি?”
তখন আর্থার উত্তর দিতেন-
প্রিয় বন্ধু! এই পৃথিবীতে ৫ কোটি শিশু টেনিস খেলা শুরু করে; ৫০ লক্ষ মানুষ টেনিস খেলা শিখে; ৫০ হাজার মানুষ টেনিস কোর্টে আসতে পারে; গ্র্যান্ড স্ল্যামে ৫ হাজার মানুষ অংশ নেয়, ৫০ জন উইম্বলডনে যেতে পারে, ৪ জন সেমিফাইনালে উঠে, আর মাত্র ২ জন পারে ফাইনালে খেলতে। আর আমি যখন উইম্বলডনের ফাইনালে জয়ী হয়ে কাপটি ধরে ছিলাম, তখনতো আমি ঈশ্বর কে জিজ্ঞেস করিনি- “হে ঈশ্বর! আমিই কেন? এতগুলো মানুষের মাঝে আমাকেই কেন বাছাই করলে?”
তাই আমার এই দূর্দশার দিনে আজকে ঈশ্বরকে প্রশ্ন করবো না- “কেন আমিই?”
বিপদের দিনে ঈশ্বরের কাছে অভিযোগ না করে আমাদের উচিত ধর্য্য ধারন করে তাঁর উপর ভরসা করা।