somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার মন পাগলা রে || আবদুল হালিম বয়াতির গান এবং অন্যান্য

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মন পাগলা রে
আমার দিল পাগলা রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে


আরো অনেক গানের মতো ‘আমার মন পাগলা রে, পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে’ গানটা আমি জীবনে অনেক বেশি গুনগুন করে, এমনকি গলা ফাটিয়েও গেয়েছি। এ গানটা ছোটোবেলায় মানুষের মুখে মুখে শুনেছি। এটা কার গান, কী ধরনের গান, মূল শিল্পী কে, এসব জানা ছিল না; আর ও-বয়সে এসব জানার তেমন তাগিদ বা প্রয়োজনীয়তাও কখনো অনুভূত হয় নি। কয়েক বছর আগে এ গানটা ইউটিউবে খোঁজার চেষ্টা করি। ‘আমার মন পাগলা রে’ নামে কয়েকটা গান উঠে এলেও ওসব গানের সুর ও লিরিক শুনে মনে হলো, আমি যে-গান খুঁজছি, ওগুলো সেই গানটা না। একই শিরোনামের গানের অভাব নেই, তা আমরা সবাই জানি। তো, এ গানটা না পেয়ে আমি ধরেই নিলাম, এ সুর বা শিরোনাম/লিরিকের কোনো গান আদৌ নাই, কখনো ছিল না – ছোটোবেলায় যা শুনেছি, তা হয়ত মানুষের মুখে মুখে গাওয়া দুই-এক লাইনের অখ্যাত গানই ছিল, যা কালের পাতায় ঠাঁই না পেয়ে হারিয়ে গেছে।

আমার বাবাও প্রচুর গান গাইতেন, একা একা, আপন মনে। বাবার কণ্ঠস্বর ছিল খুবই সুরেলা। আরেকটা কথা আমি কোথাও উল্লেখ করেছি কিনা, মনে পড়ে না। ৭০-এর দশকে বাবাকে দেখতাম জয়পাড়া, কোমরগঞ্জ বা শিবরামপুর হাট থেকে কবিতা-গান কিনতো। আপনারা কেউ এই কবিতা-গানের সাথে পরিচিত কিনা জানি না। এক ফর্মা বা আধ-ফর্মা সাইজের খোলা পাতায় কবিতা-গান ছাপানো হতো। আবদুল করিম ও কুটি মনসুর নামের দুজন গীতিকবি ছিলেন বলে আমার মনে পড়ে। বাবা ওগুলো খুব সুন্দর করে গাইতেন। আমি তখনো ভালোভাবে পড়তে পারি না, কিন্তু বাবার এই গীতিকবিতা বানান করে পড়ে পড়ে আমিও গাইতে চেষ্টা করতাম। বাবার সুর ছিল খুবই সুমধুর। ঐ সময়ে শাহজাহানের কবিতা নামে একটা কবিতাগান খুব বিখ্যাত হয়েছিল। শাহজাহান দরিদ্রের ছেলে। বাবা তাকে কষ্ট করে লেখাপড়া শেখায়। সে শিক্ষিত হয়, শহরে যায়, বিয়ে করে শিক্ষিত ও ধনীর মেয়ে। বাবা একদিন সে বাসায় গেলে শাহজাহান তার বাবাকে চিনতে পারে না, অধিকন্তু নানান অপমানে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ ছিল গানের বিষয়বস্তু।
এ গানগুলো পুঁথির সুরে বা ধোয়ার সুরে গাওয়া হয়। ক্লাস ওয়ান বা টু-তে পড়ার সময় আমি একটা কবিতাগানের প্রায় পুরোটাই মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। একটা গানের শুরু ছিল এরকম – ওহে বিশ্বপতি (২) এই মিনতি করি তব ঠাঁই, মুসলমানের আল্লা তুমি হিন্দুদের গোঁসাই। তুমি দয়াময় (২)… আর মনে নেই। শাহজাহানের কবিতাটার কয়েকটা লাইন – বিসমিল্লাতে শুরু করি, কাগজ কলম হাতে ধরি, লিখি কিছু ভাবিয়া খোদায়। এক গ্রামে এক চাষী ছিল, গরীব ছিল অতিশয়। নাম ছিল তার আব্বাসআলী। ও হায় রে… ৭৪ বা ৭৫ সালের দিকে বাবার কণ্ঠে শুনে শুনে, বা নিজেও কিছুটা পড়ে যা মুখস্থ হয়েছিল, তা থেকেই আজ এত বছর পর উপরের কথাগুলো লিখলাম। এ পোস্ট লিখতে লিখতেই এমন একটা ইচ্ছে আমার মনে উঁকি দিচ্ছে – ওরকম একটা কবিতা-গান আমিও লিখবো, ক্ষুদ্র আকারে এবং শেয়ার করবো।

আমার মন পাগলা রে – এ গান কোথাও নাই মনে করেই আমি শুধু এ প্রথম দু লাইনের উপরই একটা গান গেয়ে ফেলি, যা ২০১৯ সালে ইউটিউবে শেয়ার করেছিলাম। আজকের ভিডিওটা এই লিংকে - প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমার মন পাগলা রে। আপনারা চাইলে আগের গানটা এই ভিডিওতে ক্লিক করে শুনতে পারেন -আমার প্রথম গাওয়া গান - আমার মন পাগলা রে

আমরা আগে বান্দুরা-কলাকোপা-বক্সনগর-কোমরগঞ্জ-রুহিতপুর-মরিচা-ফতুল্লা-সদরঘাট লঞ্চরুটে লঞ্চে যাতায়াত করতাম। ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগতো ওয়ান-ওয়ে যাত্রায়। সৈয়দপুর, মরিচা, রুহিতপুর – এসব জায়গায় লঞ্চ এলে অনেক দরিদ্র পথশিল্পী, পথ জাদুকর, অ্যাক্রোব্যাট লঞ্চে উঠতেন। পথশিল্পীদের কথাটাই এ পোস্টে বলি। তারা মূলত মানুষের কাছে সাহায্য চাইতেন। সাহায্য চাওয়ার আগে লঞ্চের কেবিনে বা ডেকে একটা নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে গান ধরতেন। তাদের গান যে শ্রুতিমধুর ছিল, তা না। কিন্তু মানুষকে গান শুনিয়ে বিনিময়ে কিছু সম্মানি আহরণই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ শিল্পীরা প্রায়শ অন্ধ, কিংবা পঙ্গু, কিংবা অন্য কোনো কঠিন সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। কখনো-বা একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী এবং কন্যা বা পুত্রও থাকতেন দলে। এ কথাটার অবতারণার কারণ এ পোস্টের শেষে গিয়ে বুঝতে পারবেন।

গত কয়েকদিন ধরে আবার সেই ‘আমার মন পাগলা রে’ গানটা খুব গাইছিলাম। তখন হঠাৎ মনে হলো, আরেকবার এই গানটা ইউটিউবে খুঁজে দেখি তো! ‘আমার মন পাগলা রে’ লিখে ইউটিউবে সার্চে দিতেই, আমি বিস্মিত হলাম – একসঙ্গে অনেকগুলো গান উঠে এলো। আমার শিরোনামের সাথে মিল আছে – এমন একটা গানে ক্লিক করলাম – দলিল উদ্দিন বয়াতির গান – আমার মন পাগলা রে। গান বাজছে। ইউরেকা! ইউরেকা! আমি ইহাকে পাইয়াছি। আমি ইহাকে পাইয়াছি। আমি তো এই গানটাকেই খুঁজছিলাম। এবং এটা আপলোড করা হয়েছে ২০১৮ সালে, অথচ এর আগে আমি ২০১৯ সালেও এটা সার্চ করেছিলাম, তখন পাই নি কেন? হয়ত আমি তখন ইংরেজিতে লিখে সার্চ দেয়াতে পাই নি। বা, আমার সার্চ ইঞ্জিনেরও সমস্যা হয়ত ছিল।

গানটা খুব সুন্দর গেয়েছেন দলিল উদ্দিন বয়াতি। যদ্দূর মনে পড়ে- ছোটোবেলায় দলিল উদ্দিন বয়াতি আমাদের এলাকায় গান গাইতেন, এবং তার গান আমিও শুনে থাকবো। আমাদের বিখ্যাত বয়াতি ছিলেন পরশ আলী বয়াতি, যার কথা এর আগে এ পোস্টে লিখেছি। খালেক দেওয়ান, আনোয়ার বয়াতি, ননি ঠাকুর, প্রমুখ বয়াতির গান শুনেছি প্রচুর। গ্রামাঞ্চলে সেই সময়ে যাত্রাপালা, মেলা, ওরস, ইত্যাদির মতো বয়াতিগান, জারিগান বা পালাগানও ছিল বিনোদনের অনেক বড়ো অংশ। এ গানগুলো আবার বিভিন্ন ওরস বা মেলার সাথে সম্পৃক্ত ছিল – যে বাড়িতে ওরস বা মেলা হচ্ছে, ঐ বাড়িতে এ বয়াতি গানও হচ্ছে। অথবা, গান হচ্ছে বলেই মেলা হচ্ছে।

আমি সবার আগে খুঁজলাম – এ গানের গীতিকার, সুরকার কে। কোথাও উল্লেখ পাচ্ছি না। শুধু এ গানের এক জায়গায় আছে – দীন হালিম বলে। এ ‘হালিম’ থেকেই আমি ক্লু পেয়ে যাই- এটা নিশ্চয়ই হালিম বয়াতির গান হবে। হালিম বয়াতির নাম আগে শুনেছি কিনা আমার মনে পড়লো না। উইকিপিডিয়াতে যা পেলাম, তা খুবই আশাপ্রদ। তিনি একজন বিখ্যাত সঙ্গীত সাধক বটে। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায় :

“আবদুল হালিম বয়াতি (জন্ম ৩০ অক্টোবর ১৯২৯) একজন বাংলাদেশি লোকসঙ্গীতশিল্পী। তিনি বিচার ধারার গান ও আধ্যাত্মিক সুফিগানের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি বাংলাদেশে প্রথম লোকবাদ্যযন্ত্র সারিন্দা প্রবর্তন করেন। তিনি পাঁচ থেকে ছয় হাজার গানের রচয়িতা। লোকসঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।

আবদুল হালিম বয়াতি ১৯২৯ সালের ৩০ অক্টোবর (১৩৩৬ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক) মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বড়দোয়ালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল জব্বার মোড়ল এবং মাতা বড় বিবি। সাত বছর বয়স থেকে তিনি গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৫৭ সালে বেতারে সরাসরি অনুষ্ঠানে লোকবাদ্যযন্ত্র সারিন্দা বাজান। পরবর্তীতে এটি পূর্ব বাংলায় জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র হিসেবে পরিচিতি পায়।

সম্মাননা

• কবি জাসিমউদ্দিন গবেষক স্বর্ণপদক
• বাংলা একাডেমি ফেলো (২০০১)”


২০০৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে এই মুক্তিযোদ্ধা সাধক বাউল শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।

আমি শুরুতেই দলিল উদ্দিন বয়াতির গাওয়া গানটা শুনি। খুব ভালো লাগে আমার কাছে। একটানা কয়েকবার শুনলাম, আর লিরিক লিখে ফেললাম। এরপর আরেকজনের গান শুনলাম। তিনিও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হারমোনিয়াম ও দোহারিদের নিয়ে বেশ ভালো গেয়েছেন – আবুল সরকার। তবে, দলিল উদ্দিন বয়াতির সুর থেকে তার গাওয়া সুর ভিন্ন, এবং লিরিকের থিম ঠিক থাকলেও অনেক আলাদা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

আরেকটা ভিডিও পেলাম – অন্ধ ফজলু বয়াতির গান। শুরুতে বয়াতি কিছু ইন্ট্রুডাকশন দিচ্ছেন, দর্শকগণকে লাইক, শেয়ার দিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। অর্থাৎ, এ গানটি ইউটিউবের জন্যই নির্মিত। শিল্পীকে একটু শিক্ষিতও মনে হলো। গান শুরু করলেন তিনি। তার সুর খারাপ না। শিল্পীর সাথে একটা ছোটো মেয়ে, একজন ঢোলক, আর একজন স্ত্রীলোক আছেন (ধারণা করছি, তিনি শিল্পীর স্ত্রী, এবং সম্ভবত তিনিও অন্ধ, তাকে খুব অল্পই দেখানো হচ্ছে ভিডিওতে)। স্ত্রীলোকের দুই হাতে দুইটা বাদ্যযন্ত্র আছে, যার নাম জানি না। ইউটিউবে আপনারা দেখতে পাবেন। মেয়েটার গলাও খারাপ না। শিল্পীর গানে সে দোহার ধরে গাইছে (দোহার অর্থ হলো, মূল শিল্পী গাইবেন, আর দোহারি শিল্পীরা অন্তরার কিছু অংশ পুনরাবৃত্তি করবেন)। কিন্তু, এ গানটা শুনে আমার খুব কষ্ট লাগলো। আমি গানের পেছনে অনেক শ্রম ও সময় দিচ্ছি। আমার পুরোটাই আত্মবিনোদন, এতে অর্থলাভের কোনো উদ্দেশ্য নেই, যদিও ‘পরিচিতি’ বা ‘খ্যাতি’র লোভের কথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এ শিল্পী পরিবার যে গান গাইছেন, তাদের কি শুধু আত্মতৃপ্তিই এখানে প্রধান? তাদের গানের সুরে সুরে, আমার কাছে মনে হতে লাগলো, তাদের জীবনের দুঃখগুলো ঝরে পড়ছে, বা বাতাসে বাতাসে চারদিকে ভেসে যাচ্ছে। অন্ধ ফজলু বয়াতি এবং সাথের স্ত্রীলোকটি হয়ত এ পৃথিবীর রূপ লাবণ্য দেখেন নি কিছুই, হয়ত তাদের সংসারটিও দারিদ্র্যের কষাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত-রক্তাক্ত- ফলে, এই ইউটিউবে তার গান শেয়ারিং আমার মতো আত্মবিনোদনই নয়, হয়ত বা এতে তার নিজের কোনো আনন্দই নেই, শুধু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে চ্যানেল মানিটাইজ করে কিছু অর্থ উপার্জন করাই মূল উদ্দেশ্য তার। যদিও এটা আদৌ দোষের না, শিল্পীদের উপার্জনের এটা আজকাল বড়ো একটা মাধ্যম কিন্তু, মানিটাইজ করা সম্ভব না হলে ফজলু বয়াতি হয়ত ইউটিউবে গান গাইতেনই না, আমিও কখনো তার দেখাই পেতাম না। অন্ধ ফজলু বয়াতির গান শুনতে শুনতে আমার লঞ্চজীবনে শোনা পথশিল্পীদের কথা মনে পড়লো, আর বুক থেকে কিছু নিশ্বাস বেরোলো। হায় রে জীবন – মানুষের জীবনে কতই না দুঃখ থাকে।

আবদুল হালিম বয়াতির গান

কামিনী কাঞ্চনের পাগল আছে সর্ব ঠাঁই, মরি হায় রে
আমার খোদার পাগল কয় জন আছে
ও আমার আল্লাহর পাগল কয় জন আছে
খুঁজলে না আর পাই রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে
আমার মন পাগলা রে
আমার দিল পাগলা রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে

ওরে জয়নব শোকে এজিদ রে পাগল, বন্ধ করলো পানি
দুই ইমামের শোকে পাগল ফাতেমা জননী গো ফাতেমা জননী
স্বামীর শোকে হইল পাগল বিবি সখিনায়, মরি হায় রে
উম্মতের লাগিয়া পাগল দ্বীনের মোস্তফায় রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে

ওরে খোদার পাগল ছিল রে একজন, দাউদ পয়গম্বর
এক সিজদায় ১৮ বেটা শহিদ হইল তার রে, শহিদ হইল তার
মন পরীক্ষা করতে খোদা ইব্রাহিমকে বলে, মরি হায় রে
পিতা হইয়া ধরলো ছুরি আপন বেটার গলে রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে

ওরে মনসুরে কয় নিজে খোদা, হইয়া গেল পাশ
কাজী বলে পাগলা বেটায় করলো সর্বনাশ রে, করলো সর্বনাশ
আশিকি মাশিকি পাগল নয় রে কভু জুদা, মরি হায় রে
দীন হালিম বলে মজনু পাগল, লাভ করিল খোদা রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগা রে

আমার মন পাগলা রে
আমার দিল পাগলা রে
পাগল হইয়াছ রে মন কার লাইগাে

আমার একান্ত ভালোলাগা থেকে এ গানটা গেয়েছি। আমি মূলত দোহারের কৃতী সন্তান হাসান মতিউর রহমানের সঙ্গীতে গীত দলিল উদ্দিন বয়াতির লিরিক এবং সুর অনুসরণ করেছি; তবে অন্যান্য বয়াতি গানের সুস্পষ্ট প্রভাব যেমন আমার গায়কীতে রয়েছে, আমার স্বকীয় সুরও এতে রয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে; অর্থাৎ, আমি গানটি গাইবার সময় সুরকারের সুর থেকে সামান্য ভেরিয়েশন এনেছি, যেমন ভেরিয়েশন দেখা যাচ্ছে অন্যান্য বয়াতিদের গায়কীতেও।

মিউজিক কম্পোজিশন, মিউজিক ভিডিও নির্মাণ ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব

গানের ইউটিউব লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমার মন পাগলা রে

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন :



শুরুতে এ পোস্টেই প্রায় ১৪ মিনিট দীর্ঘ অন্য একটি ভার্সন আপলোড করেছিলাম। সেটি শুনতে চাইলে প্লিজ এ লিংকে ক্লিক করুন - আমার মন পাগলা রে

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন :



দলিল উদ্দিন বয়াতির গান - আমার মন পাগলা রে

অন্ধ ফজলু বয়াতির গান - আমার মন পাগলা রে

আবুল সরকার জুনিয়র - আমার মন পাগলা রে

আমার প্রথম গাওয়া গান - আমার মন পাগলা রে

পরশ আলী বয়াতির গান - আমার মানব জনম বৃথা গেল রে বাজান – আমার গাওয়া।

পরশ আলী বয়াতির গান - আমার মানব জনম বৃথা গেল রে বাজান-২ আমার গাওয়া

পরশ আলী বয়াতীর 'আমার মানব জনম বৃথা গেল রে বাজান'-এর উপর এই ব্লগে আমার পোস্ট - আমার মানব জনম বৃথা গেল রে বাজান - পরশ আলী বয়াতীর গান থেকে একটা রেন্ডিশন এবং আমার কয়েকটা মৌলিক গান

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×