জোকস কমন পড়লে ও পড়তে পারে......................।
৮১।টিভি নিলো না কেন?
ফাহিম সাহেবের ঘরের সবকিছু চুরি হয়ে গেছে। এমনকি ফ্রিজ-খাট-ডাইনিং টেবিল সব চোরেরা তুলে নিয়ে গেছে। তাই শুনে তো থানার ওসি নিজেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন ফাহিম সাহেবের বাসায়। এসে দেখেন, ফাহিম সাহেব একটা সোফায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন, আর ঠিক তার সামনেই তার টিভিটা রাখা। দেখে তো ওসি সাহেবের আক্কেল গুড়ুম! এ কেমন ধরনের চোর রে বাবা! বাসার তাবৎ জিনিস নিয়ে গেলো, খালি টিভিটাই নিলো না। টিভিটা নষ্ট নাকি? আর নষ্ট হলেই সেই চোর বুঝবেই বা কী করে? তো ওসি ফাহিম সাহেবকে আর জিজ্ঞেস না করলে পারলেন না, ‘ব্যাপার কি বলুন তো? চোর ব্যাটা আর সবই নিলো, কেবল টিভিটাই নিলো না? টিভিটার কোন রহস্য আছে নাকি?’
শুনে বিরস মুখে ফাহিম সাহেব বললেন, ‘টিভি নিবে কি করে? যখন চোর ব্যাটা চুরি করছিলো, তখন তো আমি নিজেই টিভি দেখছিলাম!’
৮২।স্কুলের ভালো নাম!
একদিন নাবিল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ পাড়ার এক বুড়ো চাচা তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো, খোকা, তোমাকে তো প্রতিদিনই দেখি এই রাস্তা দিয়েই যাওয়া-আসা করো, কিন্তু তোমার নামটা কোনোদিন জানা হয়নি। তা তোমার নামটা কি?
- জ্বি, শাকিল।
- আহা, ডাক নাম নয়, ওই স্কুলের ভালো নাম আরকি।
- ও, স্কুলের নাম! যাত্রাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৮৩।দাঁত তুলতে কিসের ভয়!
তানভীরের খুব দাঁতে ব্যথা। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললেন, দাঁত তুলতে হবে। শুনে তো ভয়েই তানভীরের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগাড়। ও আবার এইসব অপারেশন খুব ভয় পায়। সব শুনে ডাক্তার বললেন, তাহলে আপনি এই ওষুধটা খেয়ে নিন, দেখবেন দাঁত তুলতে একদম ব্যথা পাবেন না। আর সাহসও যাবে বেড়ে।
শুনে তানভীরও খুব করে ওষুধটা খেয়ে নিলো। এবার ডাক্তার জিজ্ঞেস করলো, কি, এখন সাহস পাচ্ছেন তো?
- পাচ্ছি না মানে! এবার দেখি, কার এমন বুকের পাটা যে আমার দাঁত তুলতে আসে!