.
এই তো সেদিন বাথরুমে চান করতে যাওয়ার সময় বউ বলল, "রান্নাঘরে যাও, ভাতটা বসানো আছে একটু দেখো। ফেন উপচাতে শুরু করলে ওভেন বন্ধ করে দিও।"
আমি রান্নাঘরে গিয়ে একবার ভাতের হাঁড়ি আর একবার ফোন দেখতে থাকলাম। হঠাৎ দেখি ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। কী সর্বনাশ! তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বেরোতে তবে নেটওয়ার্ক এল। কী শান্তি!
.
কিছুক্ষণ পরেই শুনি বউয়ের তুমুল চিৎকার। একটা পোড়া গন্ধও পেলাম। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি যাচ্ছেতাই অবস্থা। ভাতের হাঁড়ি থেকে ফেন পড়ে ভেসে যাচ্ছে। বউ রেগে আগুন চোখে আমার দিকে তাকাল।
আমি বললাম, "আরে এ তো ভালই হল। তোমাকে আর ফেন গালতে হল না।"
তারপরে চলল বউয়ের চেঁচানি। যা বলছিলাম এইরকম সামান্য কারণে বউ গাল দিয়ে ভূত ভাগিয়ে দিল!
.
আর একদিন বউ ওর বউদির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল সেই সময় মিউনিসিপ্যালিটির গাড়ি এল ময়লা নিতে।
বউ বলল, "যাও তো রান্নাঘরে ঝুড়িটা রাখা আছে, নিয়ে ওদের ময়লার গাড়িতে ফেলে দিয়ে এসো।"
আমি ফেলে দিয়ে এলাম। সুইপার জিগ্যেস করল, "আম কলা এইসব ফেলে দিলেন? পচে গেছে নাকি?"
আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। বউ ফেলতে বলেছে, পচাই হবে।
একটু পরে চিৎকার শুরু করে দিল বউ, "তুমি আনাজের খোসা রাখা ঝুড়িটা না ফেলে ফলের ঝুড়িটা ফেলে দিলে? হায় ভগবান!"
আমি বললাম, "এত সামান্য কারণে এমন চেঁচামেচি করছ কেন? ফল কী আর বাজারে পাওয়া যাবে না নাকি?"
জাস্ট এইসব সামান্য সামান্য কারণে বউ ক্ষেপে যায়!
.
একদিন রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর হঠাৎ বউয়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল।
ঘুম ভাঙতে একটা পোড়া পোড়া কেমন যেন গন্ধ পেলাম। তার সঙ্গে বউয়ের চেঁচানি! একটু যে মনটা কনসেন্ট্রেট করে ভাবব সে উপায় নেই। দেখলাম বিছানার গদি পুড়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
একটু ভাবতে মনে পড়ল, একটা সিগারেট ধরিয়ে শুয়েছিলাম। ভেবেছিলাম শেষ করে ঘুমাব। কাল যে কী হয়েছিল, আমার মতো ইনসমনিয়াকের ফুস্ করে ঘুম চলে এল। তাই এই অগ্নিকাণ্ড!
বউ তিড়িংবিড়িং লাফাচ্ছে আর আমাকে গাল পাড়ছে!
আমি এক বালতি জল এনে বিছানায় ঢেলে দিতেই সুন্দর নিভে গেল। সিম্পল ব্যাপার।
আরে বিছানাই তো শুধু পুড়েছে। তাও জল ঢেলে দিতেই নিভে গেল। কত সামান্য একটা ব্যাপার!
ধুস্ বাবা এত লঘু কারণে রেগে গেলে চলে !!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৬