হাজার হাজার মুসলিম উগ্রপন্থীরা এতদিন যা করতে পারে নাই, এখন আমাদের নাস্তিক প্রগতিশীলেরা ঘরে বসেই তা করে ফেলছে!
কি করছে?
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরী করছে!!!
গতরাতে কক্সবাজারে ভয়াবহ কান্ড ঘটে গেছে, প্রথম আলো থেকে পড়ুন,
-----------------------
কক্সবাজারের রামু উপজেলা সদরে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ক্ষুব্ধ জনতা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের পুরোনো ১২টি বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগিয়েছে। দুটি বিহারসহ বড়ুয়াপাড়ায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ৩০টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন আজ রোববার সকাল থেকে রামু সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
বর্তমানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে টহল দিচ্ছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামুর বড়ুয়াপাড়ার উত্তমকুমার বড়ুয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন এক ছবি দেখা গেছে, যা ইসলাম ধর্মের জন্য অবমাননাকর বলে অভিযোগ ওঠে
এ অভিযোগে গতকাল শনিবার রাত ১০টায় শত শত মানুষ উপজেলা পরিষদের পাশে চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামু পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজার শহর থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ও র্যাবও মাঠে নামে। এ সময় রামু থানার পুলিশ উত্তমকুমার বড়ুয়া ও তাঁর মাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যায়।
Click This Link
-----------------------------------------
ঘটনা এই!!!
এমনটা যে হবে তা জানা কথা! একমাত্র এসব কাজে জড়িত বেয়াদবগুলো ছাড়া অন্যসবাই একবাক্যে স্বীকার করে যে, ধর্ম নিয়ে স্যাট্যায়ারের নামে খাস বাংলার ভ্যাংগানো খুবই হীন অপরাধ। শৈশবেই পরিবার ও স্কুল কলেজে আমাদের এসব শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে কারো অনুভুতি নিয়ে ঠাট্টা না করতে। আমি জোর দিয়ে বলছি, আমাদের প্রগতিশীলেরা মোটা মোটা পুস্তক পড়ে সেসব ফান্ডামেন্টাল শিক্ষা ভুলে যেয়ে আজ সমাজে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করেছে।
চোরের মত ঘরে বসে বসে অন্যের অনুভুতি নিয়ে মশকারা মারানো এসব ইতরসম মানুষগুলো সোজা কথা শুনার মানুষ না। এদের হাজার অনুরোধেও এরা লাইনে আসে নাই।
এখন এদের জন্যই ব্লগস্ফিয়ারে সেল্স সেন্সরশিপ দরকার।
বাকস্বাধীনতা আমি কম বুঝি না, কিন্তু এসব হিন্দি চুলের বাক স্বাধীনতার চেয়ে লাখো গুন গুরুত্বপূর্ণ আমার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। গুরুত্বপূর্ণ আমার দেশের নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তা।
সময় হাতে নেই, এটাই সম্ভবত ফাইনাল মোমেন্ট, এখনই যদি ভারত ও বাংলাদেশের বাংলাভাষী প্রগতিশীল অসভ্যদের ব্লগের নিজস্ব আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন না করা হয় তবে ভবিষ্যতে সরকারী হস্তক্ষেপ কোনভাবেই থামানো যাবে না।
ফেসবুকের কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই তাই ওদের বিষয়ে সরকারই ব্যাবস্থা নিলে নিবে নইলে না, কিন্তু আশা করি ব্লগ থেকে সরকারী হস্তক্ষেপের আগেই গঠনমুলক ব্যাবস্থা নেয়া হবে যার ফলে ভবিষ্যতে ব্লগে সরকারী হস্তক্ষেপ হলে যেন আস্তিক-নাস্তিক-বিএনপি-আওয়ামী লীগ নির্বিশেষে সবাই ব্লগের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে পথে নামে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




