somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বান্দরবান এর অদেখা রূপ (পর্ব-১) মেঘের কাছাকাছি

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুখি মানব এর ব্লগ পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার ঈদের ছুটিটা বান্দরবান এ কাটাবোB-)। তাই ঈদের আগ থেকেই দল গোছাতে শুরু করলাম। ৮ জনের টিম রেডি কিন্তু যখন টিকিট কাটতে গেলাম মেজাজ তখন পুরাই বিল্লা হইয়া গেলX(X((। সাতদিন আগে টিকিট কাটতে গিয়া দেখি বান্দরবানের কোন টিকিট নাই। পরে উপায় না পেয়ে চট্টগ্রাম এর টিকিট কাটলাম।

১২ তারিখ রাত ১১.৩০ এ আমাদের যাত্রা শুরু করার কথা। শেষ মূহুর্তে দলের সদস্য সংখ্যা কমে গিয়ে দাড়াল ৬ জনে। মেজাজ টা আবার বিলা হইলX((X((X((। পুরা ৬০০ টাকার কট। এইখানে বলে রাখা ভাল আমরা হলাম ইকোনমি ক্লাসের ট্রাভেলার। পয়সা কম, মজা বেশি এই নীতিতে বিশ্বাসী। পরে অবশ্য আমাদের রাজ (কোয়াটার মাস্টার)সিস্টেম কইরা টিকিট বিক্রি করে দিয়েছিল।;);)

যাই হোক আমাদের যাত্রা শুরু হল। ভোর পাচটায়। আমরা চট্টগ্রামে পোছেই সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে চলে গেলাম বদ্দারহাট বাস কাউন্টারে। এখান থেকে বান্দরবান এর বাস ছাড়ে।বাস এ উঠে দিলাম একটা ঘুম।ঘুম থেকে উঠে দেখলাম বাস খাড়া ঢাল বেয়ে উপরে উঠছে। একটু পরে বাস পৌছল বান্দরবান শহরে। সময় আনুমানিক ৭ টা।
হালকা নাস্তা করে আমরা যখন থানচি যাবার বাস কাউন্টারে গেলাম তখন দেখি দিনের প্রথম বাস ছেড়ে চলে গেছে। পরের বাস সকাল ১০.৩০। আমাদের প্ল্যান থেকে নীলগিড়ি বাদ দিতে হল। কিন্তু পরে বুঝেছিলাম নীরগিড়ির চেয়েও এক্সা্ইটিং কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল।B-)

যখন বাস কাউন্টারে আসল তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা বাস এর ছাদে উঠব (যদিও আমরা সিট এর জন্য টিকেট কেটে রেখেছিলাম)। বাস ছাড়ল। আমার দেখা এ যাবত কালের সকল রাস্তার মধ্যে বানদরবান টু থানচি রাস্তা হচ্ছে বেস্ট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এর জন্য স্যালুট। :)

একে তো খাড়া ঢাল তার উপরে বাস এর ছাদ এ বসা। বেশ উচু থেকে সব কিছু দেখা যাচ্ছিল। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে যদি বুকে সাহস থাকে তবে বাসের ছাদে উঠে থানচি যাওয়া উচিত। বাসের ছাদ থেকে যখন রাস্তার পাশের খাড়া ঢাল এর দিকে তাকাচ্ছিলাম তখন যে অনুভূতি হচ্ছিল তা লিখে প্রকাশ করা যাবে না।

তবে বাসের ছাদে বিপদ ও আছে। গাছের ডাল এর বাড়ি খেয়ে আমাদের প্রায় সকলের নাক, কান অথবা গাল কেটেছে। আস্তে আস্তে বাস যত নীলগিড়ির দিকে যাচ্ছিল ততই মেঘ আমাদের কাছে চলে আসছিল।

একসময় মেঘ এর মধ্য দিয়ে বাস চলতে লাগল। B-)B-)আমরা মেঘ ধরার ব্যার্থ চেষ্টা করতে লাগলাম। মেঘ ধরতে ধরতে বাস এসে থামল নীলগিড়িতে। বাস এর অর্ধেকের বেশী লোক নীলগিড়িতে নামল। বাস নিচে পুরোপুরি খালি। কন্ডাক্টর নিচে নেমে বসার জন্য চিল্লাচিল্লি করতে লাগল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ।আমরা মহা আনন্দে মেঘ ধরায় ব্যাস্ত।B-)B-)B-)

বাস আবার চলতে লাগল। কিছুক্ষন পরে সাইনবোর্ড দেখলাম লেখা বিপদজনক ঢাল। ঢাল টা আসলেই বিপদজনক। প্রায় ৬০ ডিগ্রি এংগেলে বাস যখন ধীরে ধীরে নামছিল তখন আসলেই ভয় লাগছিল। আমি বাসের ছাদে বসে বসে চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে সেনাবাহিনী এই রাস্তা তৈরী করেছে। সেনাবাহিনীকে নিয়ে ব্লগে অনেক কিছু লেখা হয়। কিন্তু তাদের এই কাজ গুলো কখনোই ব্লগে লিখতে দেখিনি।:|

যাই হোক যেতে যেতে এক সময় বাস তার গন্তব্যে এসে পৌছলাম। কিন্তু একি!:|:| বাজার কই এখানে তো দেখি দুটো চায়ের দোকান। দোকান থেকে জানতে পারলাম সামনে নদী, নদী পেরলে থানচি বাজার। আমরা খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পেরোলাম…………………



তারপর ……….:D:D:D:D



আফিস যাবার সময় হয়ে গেছে। বাকি টুকু আগামীকাল।;);
পরের পর্ব বান্দরবান এর অদেখা রূপ (পর্ব-২) বড় পাথর
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×