কয়েকদিন ধরে হোমপেজে অনেকের চোখে পড়ে থাকবে যে, একটি বাংলা নাটকে "হিমুর" চরিত্রে অভিনয় করেছে মোশাররফ করিম। মোশারফ করিম একজন শক্তিমান অভিনেতা কোন সন্দেহ নেই। তবে কিছু কিছু চরিত্র আছে যা অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা ফুটিয়ে তুলতে অক্ষম। হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাসের দুই জনপ্রিয় ও নন্দিত চরিত্র 'হিমু ও মিসির' আলীকে বাস্তবে পরিপূর্ণ ভাবে ফুটিয়ে তুলা সম্ভব বলে মনেও হয়না।এই চরিত্র গুলোকে শুধু উপন্যাসে মানায়। কেউ সেসব চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে পারফেকশন আসবে বলে মনে হয়না।
দেশ টিভিতে হিমুকে নিয়ে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল। নাটকটির নাম - আমি হিমু হতে চাই। নাটকে হিমু উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চরিত্র থাকলেও, ('বাদল, বড় চাচা, বড় আপা' ইত্যাদি") কোথায় যেনো অসম্পূর্ণ। হিমু পড়তে আমার কখনো এক/দুই রাতের বেশী সময় লাগেনি।।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে কখন 'হিমু আসবে' অপেক্ষায় থাকতাম। আমি আসলে উপন্যাস পড়ি না। শুধু হিমু ও মিসির আলী পড়তাম।
মোশারফ করিমকে হিমু সাঁজে একটুও মানায়নি মনে হলো। এমনকি হিমু নামক যে চরিত্রটি আমাদের নস্টালজিক করে, মনের মধ্যে হিমু স্টাইলে জীবন অতিবাহিত করার জন্য আবেগাক্রান্ত করতো সে হিমুর সাথে, হিমুকে নিয়ে নির্মিত নাটকের হিমু চরিত্রটি অনেক অনেক অমিল। অনেকে চেষ্টা করার পরও হুমায়ুন আহমেদ এর মতো লিখতে পারেন নি। কিছু কিছু সাহিত্যিক ২য় বার জন্ম নিবেন না। হিমু ও মিসির আলীর মতো চরিত্র গুলো কেউ জন্ম দিতে পারবেন না।
আর এসব অসাধারণ অতুলনীয় অকল্পনীয় চরিত্রে কেউ অভিনয় করতে গেলে তা ভুল হবে। কিছু কিছু চরিত্র শুধু হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাসেই মানায়। অন্য কেউ লিখতে গেলে, সৃষ্টি করতে গেলে, সে চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে তা যে কিছুই হয়না যারা নাটকটি দেখেছেন তাদের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে এটা সত্য কেউ যদি হুবহু হিমুর মতো অভিনয় করতে পারে অবশ্যই আমি খুব উপভোগ করবো।