আমার চাচা টিকিট ক্রয় করে সবাইকে গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে বলেন। আর বলে দিল সবাই যেন এক সঙ্গে পথ চলি কেননা অচেনা জায়গা অচেনা রাস্তা হারিয়ে গেলে খুজে পাওয়া মুসকিল হবে। যাতে কেউ পথ হারিয়ে না যাই, কিন্ত কে শুনে কার কথা ভীতরে ডুকে যে যার মত এদিক সেদিক যেতে লাগলো। কিন্তু আমি পরলাম মহা জামেলাতে কারণ আমার কাছে ক্যামেরা আমাকে একবার এই দিক এ ডাকে আবার ঐ দিক এ ডাকে ছবি তুলার জন্য। আমি যে মন দিয় সময় টাকে উপভোগ করব তার আর ফুসরত নেই। পার্কে ডাকতেই কিচু জন্তুর ডামি করে বানিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই ঐ খানে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পার্ক এর ভিতর বাস আছে জন প্রতি ২০০ টাকা টিকিট বিনিময় তারা ঘুরিয়ে দেখায় পার্ক সেই সময়ের কথা বলছি। এখন কত টাকা টিকিট আমার জানা নাই।
তবু কিছু ক্ষণ হাটা হাটি করার পর ছবি তোলা বন্ধ করে পার্ক এর ভীতর দিয়ে একটা সোজা রাস্তা চলে গেছে বনের গভীরে।
সেই রাস্তা ধরে হাটতে লাগলাম প্রথম অজগর এর খাঁচা চোখে পড়ল হাতের বা পাশে। অজগর টা কেমন মরার মত পড়ে আছে। দেখে মনে হয় যেন কোন মরা সাপ পরে আছে। সোজা রাস্তায় এগিয়ে গেলে বানর এর খাঁচা, মৌয়ুরের খাঁচা। খাচাঁ গুলু ভাঙ্গা বানর গুলি এদিক সেদিক মানুষ এর পিছন পিছন হাটছে মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে হাত এ কিছু থাকলে ছৌমেরে নিয়ে পালাচ্ছে। আমার সামনে একটা ছাটো বাচ্ছার মাথার টুপি নিয়ে গেছে বানর। বাচ্ছাটা কান্না করছে আর বানরটা গাছ এর ডাল এ জুলে আছে। অনকটা দূর আসার পর একটা খোলা জায়গাতে এসে আমি দারিয়ে গেলাম, এই বার কোন দিকটায় যাব বুঝতে পারতেছিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আমাদের সাথের কিছু লোক দেখা যায়। একটু অপেক্ষা করার পর তারা আমার কাছে আসল। আমি বলাম কোন দিক টায় আগে যাবেন সবাই বলে আমরা আগে বাঘ দেখব, কেউ বলে হরিণ দেখবে। ঠিক হল বাঘ এর কাছে আগে যাবো।
ফাকা জায়গাতে দাড়ালে দূরে দেখা যায় হরিণ গুলু পানিতে দারিয়ে আছে। কাছে গেলে দৌরে পালিয়ে যায়।
আমরা বাঘের সামনে দারিয়ে দেখলাম মাঘ গুলো রোদ এ মরার মতো পড়ে আছে।
কোন খাবার দেওয়া নেই। লোক জন বিভিন্ন খাবার ছুরে মারে কেউ কেউ আবার বাঘকে ঢিল ও ছুরে। আম বাঘের খাচাঁ পাশে একটা ঘরের মতো আছে সেখান থেকে পার্কের সুন্দর ভিউ দেখা যায়।
চমৎকার লাগলো আমার কাছে। বাঘ দেখা শেষ করে আমরা আবার আগের খেলা জায়গাতে আসলাম যেখান থেকে বিভিন্ন দিকে রাস্তা চলে গেছে। আমরা যেখানে দাড়িয়ে আছি ঠিক উল্টা দিকে একটা ডােবার মতো আছে বনের পশু পাখি আহার করে পানি পান করে।
দারিয়ে আছি পাশে একটা বিশাল বন গরু ঘাস খাচ্ছে।
এখান থেকে ৩দিকে পথ চলে গেছে একটা বাঘের খাচাঁর দিকে। অন্য রাস্তাটি বনের গভীরের চলে গেছে। আর একটা কুমির এর আবাস্থল এর দিকে। আমরা কুমির দেখতে রওনা হইলাম।
গিয়ে দেখি কুমির দেখার জন্য যে কাঠের তৈরী ব্রিজ বানানো হয়েছে তা ভেঙ্গে নাজেহাল অবস্থা। তার উপর উঠার আর অবস্থা নেই।
কুমির দেখলা কিন্তু অনেক দূরে শুয়ে আছে। ওর কাছে যাওয়া যাবে না চার দিকে পানি। তাই সময়টা এখানে নষ্ট নাকরে আস পাশ্ব ঘুরে দেখা ভালো তাই সবাই আবার হাটতে শুরু করলাম হাটতে হাটতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে। পর্কে বসার জন্য পেলাম প্রাকৃতিক এক চেয়ার তার মানে একটা মরা গাছ শুকিয়ে পড়ে আছে তার উপর অনে ক্ষণ বসে বিশ্রাম করলাম। আবার উঠে হাটা শুরু করলাম হাটতে হাটতে বনের গভীরে চলে আছে। ভীতরে তেমন কোন নির্দেশনা দেওয়া নেই। তাই আর গভীরে যাওয়া ঠিক হবেনা। অনেক ঘুরা ঘুরি হয়েছে। এইবার আবার ফিরে যতে হবে গন্তব্যে। পার্কে ঘুরতে ঘুরে কখনযে দুপুর গড়িয়ে হয়ে গেছে খেয়াল করা হয়নি। হাতে যে সময় ছিলো শেষ এখন ফিরতে হবে অনেক লেট হয়ে গছে। অনে ঘুরেছি অনেক কিছু দেখেছি তবু মন যেন ভরেনি আমরার মনে হয়েছে আমি বনের খুব সামান্য অংশ দেখেতে পারিনি। কি আর করা বন থেকে এখনযে বের হইতেই হবে। কেনো না আমাদের এখান থেকে কক্সবাজার যেতে হবে। আমরা কক্সবাজার গিয়ে রাত থাকবো হোটেল বুকিং করা আছে। তাই আর কালক্ষেপন না করে তারাতারি হেটে বন থেকে মেইট গেটের সামনে চলে আসলাম। এসে দেখি অন্যরা ও চলে আসছে। এর মাঝে আমাদের দুপুরেরর খাবার রেডি করের ফেলেছে বার্বুচি। রান্না হয়েছে মুরগির রোষ্ট, পোলাও, সালাত, সবাই পেট পুরে খেয়ে বাস ও উঠে বসলাম। পরের গন্তব্য বিশ্বের বৃহত্তম দীর্ঘ সুমদ্র সৈকত কক্সবাজার।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮