somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম ভ্রমণ ঢাকা টু কক্সবাজার-২ (সাফারী পার্ক)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার চাচা টিকিট ক্রয় করে সবাইকে গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে বলেন। আর বলে দিল সবাই যেন এক সঙ্গে পথ চলি কেননা অচেনা জায়গা অচেনা রাস্তা হারিয়ে গেলে খুজে পাওয়া মুসকিল হবে। যাতে কেউ পথ হারিয়ে না যাই, কিন্ত কে শুনে কার কথা ভীতরে ডুকে যে যার মত এদিক সেদিক যেতে লাগলো। কিন্তু আমি পরলাম মহা জামেলাতে কারণ আমার কাছে ক্যামেরা আমাকে একবার এই দিক এ ডাকে আবার ঐ দিক এ ডাকে ছবি তুলার জন্য। আমি যে মন দিয় সময় টাকে উপভোগ করব তার আর ফুসরত নেই। পার্কে ডাকতেই কিচু জন্তুর ডামি করে বানিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই ঐ খানে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পার্ক এর ভিতর বাস আছে জন প্রতি ২০০ টাকা টিকিট বিনিময় তারা ঘুরিয়ে দেখায় পা‍র্ক সেই সময়ের কথা বলছি। এখন কত টাকা টিকিট আমার জানা নাই।


তবু কিছু ক্ষণ হাটা হাটি করার পর ছবি তোলা বন্ধ করে পার্ক এর ভীতর দিয়ে একটা সোজা রাস্তা চলে গেছে বনের গভীরে।



সেই রাস্তা ধরে হাটতে লাগলাম প্রথম অজগর এর খাঁচা চোখে পড়ল হাতের বা পাশে। অজগর টা কেমন মরার মত পড়ে আছে। দেখে মনে হয় যেন কোন মরা সাপ পরে আছে। সোজা রাস্তায় এগিয়ে গেলে বানর এর খাঁচা, মৌয়ুরের খাঁচা। খাচাঁ গুলু ভাঙ্গা বানর গুলি এদিক সেদিক মানুষ এর পিছন পিছন হাটছে মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে হাত এ কিছু থাকলে ছৌমেরে নিয়ে পালাচ্ছে। আমার সামনে একটা ছাটো বাচ্ছার মাথার টুপি নিয়ে গেছে বানর। বাচ্ছাটা কান্না করছে আর বানরটা গাছ এর ডাল এ জুলে আছে। অনকটা দূর আসার পর একটা খোলা জায়গাতে এসে আমি দারিয়ে গেলাম, এই বার কোন দিকটায় যাব বুঝতে পারতেছিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আমাদের সাথের কিছু লোক দেখা যায়। একটু অপেক্ষা করার পর তারা আমার কাছে আসল। আমি বলাম কোন দিক টায় আগে যাবেন সবাই বলে আমরা আগে বাঘ দেখব, কেউ বলে হরিণ দেখবে। ঠিক হল বাঘ এর কাছে আগে যাবো।
ফাকা জায়গাতে দাড়ালে দূরে দেখা যায় হরিণ গুলু পানিতে দারিয়ে আছে। কাছে গেলে দৌরে পালিয়ে যায়।



আমরা বাঘের সামনে দারিয়ে দেখলাম মাঘ গুলো রোদ এ মরার মতো পড়ে আছে।


কোন খাবার দেওয়া নেই। লোক জন বিভিন্ন খাবার ছুরে মারে কেউ কেউ আবার বাঘকে ঢিল ও ছুরে। আম বাঘের খাচাঁ পাশে একটা ঘরের মতো আছে সেখান থেকে পার্কের সুন্দর ভিউ দেখা যায়।


চমৎকার লাগলো আমার কাছে। বাঘ দেখা শেষ করে আমরা আবার আগের খেলা জায়গাতে আসলাম যেখান থেকে বিভিন্ন দিকে রাস্তা চলে গেছে। আমরা যেখানে দাড়িয়ে আছি ঠিক উল্টা দিকে একটা ডােবার মতো আছে বনের পশু পাখি আহার করে পানি পান করে।


দারিয়ে আছি পাশে একটা বিশাল বন গরু ঘাস খাচ্ছে।
এখান থেকে ৩দিকে পথ চলে গেছে একটা বাঘের খাচাঁর দিকে। অন্য রাস্তাটি বনের গভীরের চলে গেছে। আর একটা কুমির এর আবাস্থল এর দিকে। আমরা কুমির দেখতে রওনা হইলাম।
গিয়ে দেখি কুমির দেখার জন্য যে কাঠের তৈরী ব্রিজ বানানো হয়েছে তা ভেঙ্গে নাজেহাল অবস্থা। তার উপর উঠার আর অবস্থা নেই।



কুমির দেখলা কিন্তু অনেক দূরে শুয়ে আছে। ওর কাছে যাওয়া যাবে না চার দিকে পানি। তাই সময়টা এখানে নষ্ট নাকরে আস পাশ্ব ঘুরে দেখা ভালো তাই সবাই আবার হাটতে শুরু করলাম হাটতে হাটতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে। পর্কে বসার জন্য পেলাম প্রাকৃতিক এক চেয়ার তার মানে একটা মরা গাছ শুকিয়ে পড়ে আছে তার উপর অনে ক্ষণ বসে বিশ্রাম করলাম। আবার উঠে হাটা শুরু করলাম হাটতে হাটতে বনের গভীরে চলে আছে। ভীতরে তেমন কোন নির্দেশনা দেওয়া নেই। তাই আর গভীরে যাওয়া ঠিক হবেনা। অনেক ঘুরা ঘুরি হয়েছে। এইবার আবার ফিরে যতে হবে গন্তব্যে। পার্কে ঘুরতে ঘুরে কখনযে দুপুর গড়িয়ে হয়ে গেছে খেয়াল করা হয়নি। হাতে যে সময় ছিলো শেষ এখন ফিরতে হবে অনেক লেট হয়ে গছে। অনে ঘুরেছি অনেক কিছু দেখেছি তবু মন যেন ভরেনি আমরার মনে হয়েছে আমি বনের খুব সামান্য অংশ দেখেতে পারিনি। কি আর করা বন থেকে এখনযে বের হইতেই হবে। কেনো না আমাদের এখান থেকে কক্সবাজার যেতে হবে। আমরা কক্সবাজার গিয়ে রাত থাকবো হোটেল বুকিং করা আছে। তাই আর কালক্ষেপন না করে তারাতারি হেটে বন থেকে মেইট গেটের সামনে চলে আসলাম। এসে দেখি অন্যরা ও চলে আসছে। এর মাঝে আমাদের দুপুরেরর খাবার রেডি করের ফেলেছে বার্বুচি। রান্না হয়েছে মুরগির রোষ্ট, পোলাও, সালাত, সবাই পেট পুরে খেয়ে বাস ও উঠে বসলাম। পরের গন্তব্য বিশ্বের বৃহত্তম দীর্ঘ সুমদ্র সৈকত কক্সবাজার।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×