somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন বিভ্রাট!

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা বিষয়,হয়ত সেই কারনেই কিনা আমি মোটামুটি প্রায় প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখি। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিল গত মাসখানেক ধরে,আমার স্বপ্ন দেখা পুরোপুরি উধাও। একদিন-দুদিন করে সপ্তাহ যায় আমার আর স্বপ্ন দেখা হয় না,যখন প্রায় দুসপ্তাহ ধরে কোনো স্বপ্ন দেখা হলো না আই বিগান টু ক্লাইম্ব দ্যা ওয়াল। আমি প্রচন্ডভাবে স্বপ্ন দেখতে উন্মুখ হোক সেটা সুখ-দুক্ষ-ভয় কিংবা ওয়ার্থলেস কিছু কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই, এইভাবে মাস কেটে গেল স্বপ্ন ছাড়া। ব্যাপারটা হয়ত কিছুই না কিন্তু আমার কাছে অনেক বড় কিছু মনে হতে লাগলো,যাইহোক অবশেষে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে আমার স্বপ্ন বিষয়ক সেই ড্রাউট কাটে।

প্রথম চারদিন খুবই স্বাভাবিক স্বপ্ন,আমার সবথেকে কাছের কিছু ফ্রেন্ডদের সাথে লাইট ইনফর্মাল কনভো। যদিও চতুর্থ দিন যাকে স্বপ্ন দেখি সে আমার আমার ফ্রেন্ড না বলে ফোর/ফাইভের ক্লাসমেট বলা যায় কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো পরবর্তিতে তারসাথে আমার আর দেখা হয়নি এবং এই স্বপ্নের আগ পর্যন্ত তার কথা কখনো মনেও পরেনি। স্বপ্নে তাকে আমার সমবয়সী হিসেবে দেখলেও তার চেহারাটা একদম অবিকল বাচ্চাকালের মতই থাকে যা অনেকটা এক্সপেক্টেড, কিন্তু হঠাত এতদিন পর তাকে স্বপ্নে দেখার ব্যাপরটা যথেষ্ট থট প্রভোকিং হলেও আমি কোনো সমধান পাইনি।

তার পরেরদিন দেখি বিযার এক স্বপ্ন,যার তিনটা চরিত্রকে আমি জীবনে কখনো দেখিনি। স্বপ্নটা অনেকটা এরকম,এক লোকের সাথে আমার রাস্তায় দেখা হয় এবং উনার সাথে আমার কনভোতে মনে হয় আমরা খুবই পরিচিত। যাইহোক উনি বলেন যে তাজিকিস্তানের(আল্লাহই জানেন এটা কেন আসল,শেষ কবে তাজিকিস্তানের নাম নিয়েছি রিকল করতে পারছি না ) এক মেয়ের প্রেমে পড়েছেন। আমি বললাম সৈকত ভাই ভালো তো,বিয়ে কবে খাবো বলেন। উনি উত্তর দিলেন সময়মত হবে তবে মেয়েটা অসুস্থ,তার হাতে এবং পায়ে কিছু সমস্যা আছে যদিও যত টাকাই লাগুক না কেন তিনি এর চিকিত্সা করাবেন। এই সময় পর্দায় সেই মেয়ের আভির্বাব,তাকে আমি কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না তবে সে বেশ সুন্দরী। এরপর মাঝখানের কিছু দৃশ্য স্কীপ করে দেখি আমরা ডাক্তারের সামনে বসে আছি,যতদুর মনে হয়েছে সি ওয়াজ ইন হার লেইট টুয়েন্টিজ এবং আগের তাজিক ললনা সুন্দরী হলে ইনি তারও কয়েক ডিগ্রী উপরে যদিও তার চেহারা পরিচিত কোনো বাঙ্গালীর সাথে মেলাতে পারছি না(অন অ্যা সেকেন্ড থট,মেবি সি লুকড লাইক....)। ডাক্তার একে একে জিজ্ঞাস করতে লাগলেন রোগী কে,কি সমস্যা কিন্তু এসবই করছেন এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে(এবং স্বপ্নের পুরোটাতেই) অথচ আমি রোগী না বা রোগীর কিছু না জানার পরও। প্রথমদিকে ব্যাপারটা আমার জন্য কিছুটা আনকম্ফোর্টেবল হলেও পরবর্তিতে সেটা কেটে যায়,ডাক্তার এবার চোখ না সরিয়েই বললেন হাত দু-তিন মাসের ভিতরেই ভালো হয়ে যাবে কিন্তু পায়ের জন্য অপারেশান করাতে হবে। এরপর তিনি এক ফিজিওথেরাপিস্টের নাম(নামটা ঠিক মনে পরছে না তবে ওই পরিস্হিতিতে মনে হয়েছে বিগ শট টাইপের কিছু ) নিয়ে বললেন,উনারা দুজন এখন এখানেই রোগী দেখেন। আমি বললাম মার্জ করায় ভালই হয়েছে,দুজনের জন্যই ব্যাপারটা অনেক লাভজনক। এবার তিনি জানালেন,গত সপ্তাহে হ্যান্সি ক্রুনিয়ে উনাদের এখানে কিছু লাইট ট্রিটমেন্ট নিতে এসেছিল। আমার মুখ ফসকে বের হয়ে গেল,মানুষের টাকা পয়সা বেশি হলে এমন আউল-ফাউল জায়গায় খরচ করে। বলার পরই আমার মনে হলো বিরাট ব্লান্ডার হয়ে গেছে, কারণ আমি বলতে চেয়েছিলাম সহজে টাকা আসলে মানুষ কাজে-অকাজে ব্যয় করে কিন্তু যেভাবে আমি বলছি তাতে তিনি অফেন্ডেড হতে পারেন। তিনি অবশ্য হেসেই উত্তর দিলেন,ওরা যদি টাকা উড়াতে রাজি থাকে তাহলে আমাদের নিতে সমস্যা কি। এখানেই এই বিদঘুটে স্বপ্নের সমাপ্তি:-/!

গতকালের স্বপ্নে আমার মনে হয়েছে আই ওয়াজ অন ক্লাউড নাইন,লিটব়্যালি আমার তখনকার(এবং পরবর্তিতে যখন স্বপ্নের কথা মনে হয়ছে) ফিলিংসটা এমনই ছিল। শুরুটা হয় এমন,আমি একটা মসজিদের সামনে দাড়িয়ে আছি এবং হঠাত দেখি চারপাশে শুধু পানি। বাসায় যেতে হবে তাই আমি পানিতে সাতার কাটতে শুধু করি,যতই আমি বাসার কাছাকাছি আসতে থাকি পানি কমতে থাকে এবং যখন গেটের সামনে চলে আসি তখন আমার নিচে মাটির অস্তিত্ব টের পাই। আমি উঠে সামনে তাকিয়ে দেখি একটা ডাস্টবিন যেটা হয়ত কিছুক্ষণ আগেও পানির নিচে ছিল,ওটার ভিতরে ফ্লোরে কালো দাগ দেখি সেটা রক্ত না অন্যকিছুর বুঝতে পারিনি। এটা দেখে আমি বাসায় গিয়ে শাওয়ার নেই এবং কিছুক্ষণ পরে ওই অবস্থাতেই ভেজা কাপড়েই আবার বাইরে আসি। এবার দেখি পানি নামতে শুরু করেছে,দ্রুত পানি নামছে আর আমিও ওটা দেখার জন্য পিছন পিছন ছুটছি। কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাত আমি অদ্ভুত সুন্দর সুর মূর্ছনা শুনতে পাই(স্বপ্নের পুরোটাতেই এটা থাকে),আমার জীবনে এত মেলোডিয়াস কিছু শুনেছি বলে মনে হয় না। আমার সমস্ত শরীর ট্রান্সফিক্সড হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর অজান্তেই আমি স্পেলবাউন্ড হয়ে পিছন ফিরে তাকাই। দেখি কিছুদূরে দুটো বাসার মাঝখানের দুই/তিন ফুটের মত যে ফাকা জায়গা আছে সেখানে তিনটা মেয়ে দাড়িয়ে,দুজন আমার দিকে পিছন ফিরে আর যে ঠিক মাঝখানে সে আমার দিকে মুখোমুখি। সে হাসছে এবং হঠাত আমাকে দেখতে পেয়ে হাসিটা আস্তে আস্তে থামিয়ে দিয়ে অনেকটা অপেক্ষা,প্রত্যাশা ও মুগ্ধতার ভঙ্গি নিয়ে তাকায়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো তার চেহারা আমি স্পষ্ঠভাবে দেখতে পারছি না অথচ ঠিকই তার গালের ডেন্ট আমার চোখে ধরা পরেছে এবং আমার তখনকার ও এখনকার অনুভতি,আনডাউট্ডেলি সি ইজ দ্যা মোস্ট বিউটিফুল ওয়ান আই হ্যাভ এভার সেট মাই আইজ অন। আমি সামনে আগাই এবং কিছুদুর যেতেই দেখি তাদের সামনে হঠাত উপর থেকে পানির ধারা নেমে আসে,ফলে আমি ক্ষনিকের জন্য তাদের হারাই। আবার যখন পানির ভিতর দিয়ে দেখতে পাই তখন দেখি শুধুমাত্র মাঝখানে একটা মানুষ্য আকৃতির অবয়ব আর সেখান থেকে আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। আমি আবার সেটাকে লক্ষ্য করে হাটতে শুরু করি এবং এখানেই স্বপ্নের সমাপ্তি:((!

স্বপ্নের কথা মনে হওয়ার পর থেকেই সেই সুর মূর্ছনা মাথায় যেন ভর করেছে(মূলত এই কারণেই এই আজাইরা ব্লগ লেখা) এবং সেই কারনে পরিচিত মোটামুটি প্রায় সব গান শুনলাম,শুধুমাত্র ইরফান এর এই মাস্টারপীসটাই মনে হলো কিছুটা কাছাকাছি যায়:|!

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৫৪
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×