ছবি দেখুন। আমাদের যে ছবিটা দেখানোর জন্য এই নামাজের আয়োজন করা হয়েছে আমরা শুধু সেই ছবিটাই দেখেছি এবং অনেকে দ্বিদ্ধানিত আছি এই ভেবে যে হয়ত আসলেই শুকনা জায়গা ছিলোনা বা নামাজ শুরু হওয়ার পর জোয়ারের পানি এসেছে?
যারা একে ছবির রাজনীতি করবেন না বলে এখন ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছেন তারা এখন জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে উচ্চকিত এবং কেউ কেউ এইটাকে জায়েজ করার জন্য বলছেন, ঐ নামাজে আওয়ামীলীগ-যুবলীগও ছিলো।
সহজ কথা সহজভাবে বুঝেন, ইসলামের ইতিহাসে হাটু পানিতে নামাজ পড়ার কোনো ঘটনা নাই। আর যে জিনিস ইসলামে নাই সে জিনিস আপনি হঠাৎ করে করতে পারেন না। খেয়াল করে দেখবেন, সরকারও হঠাৎ করে মসজিদের নামাজ নিয়ন্ত্রন করতে পারে নাই, বিভিন্ন ইসলামি দেশ এবং দেশের বিভিন্ন ইসলামি স্কলারের মতামত নিয়ে তবেই মসজিদে জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
ঐদিনের অন্য ছবিতে দেখুন, বাধ/রাস্তায় অজস্র মানুষ দাড়ানোর পরেও পাশ দিয়ে অনেক পরিমান জায়গা খালি আছে, এই খালি জায়গা কি পানিতে দাড়ানোর চাইতে উত্তম নয়? ইমাম কি এই উচু শুকনো রাস্তা/বাধে দাড়াতে পারতেন না? খবরেই জানা যায়, জোয়ারের পানি হাটু পর্যন্ত আসার পর নামাজ শুরু হয়েছে।
যা ভুল তা ভুল। একটা মিথ্যা ঢাকতে যেমন অনেক মিথ্যা বলতে হয় তেমনি এখটা ভুলকে ঠিক বলে চালাতে গেলে অনেক ভুল/মনগড়া ভুল তথ্য দিয়ে সেই ভুলকে সঠিক বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। ভুলকে ভুল হিসাবে মেনে নিয়ে শুধরানোই হলো মানবিক এবং ইসলামিক, আদম (আ: ) ভুল করেছেন আমরাও ভুল করবো, আল্লাহ ভুল মাফ করার জন্যই মহান। একমাত্র ইবলিশ ভুলকে ভুল হিসাবে স্বীকার না করে সে ধীকৃত।
আমরা চাই দেশের সমস্ত উপকুলবাসীর, নদী তিরবর্তী বাসির বাসস্থান, ফসলি জমির নিরাপদ ব্যাবস্থা করা হউক। সকল দুর্নীতি অব্যাবস্থাপনার অবসান হউক, সেই সাথে ধর্ম নিয়ে যারা মানুষকে মিস গাইড করে তাদেরও শাস্তি হউক। এই দেশ, এই দেশের প্রতিটা অংশ আমার। এই দেশের চোর বা ধার্মিক আমারই আত্মীয় পরিজন এদের কাউকে ছোট করা পক্ষান্তরে নিজেরই অসম্মানের কারন। সবাই ভালো থাকুক, ভন্ডামি দুর হউক।
সবশেষ কথা, জামায়াতের নেতা নামাজ পড়িয়েছে জন্য তা ঠিক হয় নাই আর আওয়ামীলীগ/যুবলীগ প্রথম সাড়িতে নামাজ পড়ছে জন্য ঠিক আছে এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে শুধরান আগে। নতুন ব্যাবস্থাপনায় মাসায়ালা ছাড়া নামাজ জামায়াত নেতা পড়ালেও বেদাআত, আওয়ামীলীগ/যুবলীগ/বিএনপি নেতা পড়ালেও বেদাআত। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন, লোক দেখানো ঈবাদত পরিহার করুন। ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতিকে না বলুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৩