somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মঘাতি হামলা কি ইসলামে হারাম?

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইসলাম শান্তির ধর্ম।
নিরীহ গোছের এক মতাদর্শ।
এমনটাই প্রচারিত হয়।
প্রচার করেন ধর্মীয় নেতারা। উয়াজ মাহফিলে, টিভি লেকচা্রে, মসজিদে ভিত্তিক আলোচনায় , দারস মাহফিল ইত্যাদিতে।
তাহলে সারা পৃথিবীজুড়ে ইসলামের নামে নিরীহ মানুষ হত্যার যে মহোৎসব চলছে , এগুলো কি? এগুলো কি ইসলাম সম্মত নয়?

দাঁড়ান! মতামত দেয়ার আগে আসুন এই লেখাটা একটু পড়ে নেই।

বিপাকে পড়ে , সম্প্রতি দেশের আলেমদের একাংশ দাবী করেছেন টার্গেট কিলিং ও আত্মঘাতি হামলা ইসলামে হারাম। যদিও উনারাই ক’দিন আগেও নাস্তিক হত্যাকে ওয়াজিব বলে প্রকাশ্যে নাস্তিকদের হত্যার ফতোয়া দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠে এই স্ববিরোধীতার অন্তরালে আসল সত্যটা কি? ইসলাম আসলে কি বলে? এই লেখাটিতে মোটেই আলেমদের ‘পজেটিভ উদ্যোগকে’ নেগিটিভ দেখানোর কোন ইচ্ছা নেই।
এদেশের আলেমদের রঙ বদলের যে চরিত্র, নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে তারা কিভাবে ব্যবহার করে সেটাই দেখানো হবে।

যে কোন সাধারণ মুসলমানের মনে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক। কারণ ইসলাম ‘আত্মহত্যাকে’ জঘন্য পাপ বলে অভিহত করেছে। অথচ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য বা কাফেরদের মেরে ফেলতে বুকে বোমা বেঁধে বা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কেন মুজাহিদরা আক্রমন করতে যায়? আত্মহত্যাকারীকে অনন্তকাল দোজগে জ্বলতে হবে- এটা সব মুজাহিদই জানেন, তাহলে আত্মঘাতি হামলায় কেন তারা অংশগ্রহণ করে? প্রায় চব্বিশ বছর আগে (১৯৯৪ সালে) এক শিবির কর্মীর সঙ্গে তর্ক করেছিলাম ইসলামে আত্মঘাতি হামলার কোন বিধান নেই কারণ ইসলাম আত্মহত্যাকে অনুমোদন দেয় না…।
শিবিরের সেই ছেলেটি আমার কথা শুনে মুচকি হেসেছিল। কেন হেসেছিল সেটা জানতেই আসুন মূল আলোচনায় যাই।

যে মুজাহিদ নিজের শরীরে বোমা বেঁধে বিমান উড়িয়ে দিতে যায় বা কোন নাইটক্লাবকে ধ্বংস করতে যায় তার মৃত্যুর সম্ভাবনা একশত ভাগ নিশ্চিত থাকে বলেই একে আত্মঘাতি বোমা হামলা বলা হয়ে থাকে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যারা এইসব অপারেশনে যান তাদেরকে মুজাহিদ ভাইরা ‘শহীদ’ বলেন। এবং এই হামলাকে বলেন 'ইশতিশহাদি' হামলা। এইসব শহীদের মর্যাদা বেহেস্তে সর্বচ্চ স্তরে থাকবে। এবং হাদিস অনুসারে এইসব বোমাবাজদের অভ্যর্থনা জানাতে তাৎক্ষণিক ৭২টি হূর নেমে আসে সাত আসমান থেকে। অথচ কুরআন আত্মহত্যাকারীদের সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন কঠিনতম শাস্তির কথা বলেঃ

“… আর নিজেদেরকে হত্যা করো না (বা একে অন্যকেও নয়), নিশ্চয়ই, আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াবান। আর যে কেউই বাড়াবাড়ি বা জুলুম করতে গিয়ে এতে লিপ্ত হবে, আমরা তাকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করব, আর সেটা আল্লাহর জন্য সহজ” (৪:২৯-৩০)

কুরআনের এই আয়াতটি দেখিয়ে হুজি, জে এম বি, আইএস, আল কায়দা, আন্সারুল্লাহ, ও তালেবানদের আত্মঘাতি হামলাগুলোকে ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে হতেই পারে। আমাদের হুজুররা বলতেই পারেন কিংবা বলছেন এরা বিপথে চলে গেছে। এরা ভ্রান্ত একদল খারেজি কিংবা আখেরি জামানার মিসগাইডেড ব্রেইন উয়াশড তরুণ একদল। কিন্তু এরা শুধু তরুণই নয়। এদের সাথে আছেন বিশ্ববিখ্যাত কোরান হাদিসের সব স্কলাররা। তারা এদেরকে পথ নির্দেশনা দিচ্ছেন। উদ্ভুদ্ধ করছেন ভয়াভহ এসব মরণঘাতি আক্রমনে।

আমাদের জেনে রাখা ভালোঃ এরা বোকা না। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ডিগ্রিধারী অসংখ্য শিক্ষার্থী অহরহ শামিল হচ্ছেন আত্মঘাতীদের এইসব মিছিলে। একেক জন ইসলামের সৈনিক; ইসলামকে জেনে বুঝেই তার জন্য মরতে যায়।

আপনি-আমি কিংবা আমাদের পরিচিত হুজুরদের বক্তব্য ‘ইসলামে এসব নেই’ বলে নিজেদের ধর্মের মুখ বাঁচাতে পারবো সাময়িক সময়ের জন্য, কিন্তু একজ সুইসাইড বোমারুকেও থামাতে পারবো না।
কারণ সে জানে- আত্মঘাতি বোমা হামলা ইসলামে ‘আত্মহত্যা’ নয়, বরং এই শহীদী মৃত্যুকে ইসলাম প্রশংসা করেছে! আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আইএস, জেএমবি আল ক্বায়েদা হুজি ইত্যাদি জিহাদী দলগুলো সুইসাইড বোম্বিং করতে কুরআনের এই আয়াতটি ব্যবহার করে বলে জানতে পেরেছি তাদের বইপুস্তক পড়ে। কুরআন বলছেঃ

“আর মানুষের মধ্যে এমন আছে যে নিজেকে বিক্রয় করে দেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির খোঁজে, আর আল্লাহ নিশ্চয়ই নিজের বান্দাদের ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপে অনুগ্রহশীল”(২:২০৭)

বিখ্যাত মুফাসসির ইবনে কাছির তাঁর তাফসিরে এই্ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ

“সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামাদের মত এই যে, এই আয়াতটি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী প্রতিটি মুজাহিদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে … ‘আর যখন হিশাম ইবনু আমির শত্রুদলের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়লেন, কিছু লোক এ ব্যাপারে আপত্তি করল। তখন উমার বিন খাত্তাব এবং আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।” (তাফসীর ইবনে কাছির, সুরা বাকারা, পৃষ্ঠা-৫৮০)।

হিশাম ইবনু আমির নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও শুধুমাত্র দ্রুত বেহস্ত লাভের আশায় নিজের জীবন দান করেন। আত্মহত্যা ইসলামে নিষেধ জেনে অন্যান্য সাহাবী এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করলে উমর ও আবু হুরায়রাহ’র মত ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলেন সুইসাইডাল এই আক্রমন দ্বীনের জন্য অবশ্যই হালাল এবং উচিৎ।

বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ, মুসলিম শরীফে এইরকম আত্মঘাতি হামলার দলিল আছে যা জিহাদীরা ব্যবহার করেনঃ

সহীহ সনদে আবূ বাকর বিন মুসা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি আবূ হুরায়রাকে শত্রুর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, ''জান্নাতের দরজা তরবারির ছায়াতলে!''
তখন একজন শক্ত সমর্থ লোক উঠে দাঁড়াল এবং বলল,
''হে আবূ মূসা ! আপনি আল্লাহর রসূল (সঃ)- কে এই কথা বলতে শুনেছেন?'' তিনি বললেন,
: ‘হ্যাঁ !’
তখন লোকটি নিজের সাথীদের কাছে ফিরে গিয়ে বলল,
: ''তোমাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে সালাম'' তারপর নিজের তরবারির খাপটি ভেঙ্গে ফেলল এবং শত্রুর দিকে খোলা তরবারি নিয়ে এগিয়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকল”

এছাড়া স্বয়ং নবীজি জান্নাতের লোভ দেখিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে অনুসারীদের ঝাপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করতেন। মুসলিম শরীফে এসেছেঃ
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “মুশরিকরা (আমাদের দিকে) এগিয়ে আসল, আর রসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ : “উঠ এবং জান্নাতে প্রবেশ কর, যার প্রস্থ আসমান ও জমিনের সমান ।”
উমাইর বিন আল-হুমাম আল- আনসারী (রাঃ) বললেনঃ
: হে রসূলুল্লাহ (সঃ) ! জান্নাত কি আসমান ও জমিনের সমান?”
তিনি বললেনঃ
:“হ্যাঁ”
উমাইর বললেনঃ
: “ভাল, ভাল!”
রসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
:“ কিসে তোমাকে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করতে উদ্বুদ্ধ করল? (অর্থাৎ 'ভাল, ভাল'! )”
তিনি (উমাইর) বললেন,
:“হে রাসূলুল্লাহ (সঃ)। অন্য কিছু নয় বরং এই ইচ্ছা যে, আমি যেন তার (জান্নাতের) অধিবাসীদের একজন হতে পারি ।”
তিনি (রসূলুল্লাহ (সঃ)) বললেনঃ
:“তুমি (নিশ্চয়ই) তাদের একজন ।”
এরপর উমাইর (রাঃ) নিজের থলি হতে কিছু খেজুর বের করে খেতে লাগলেন । তারপর বললেন,
:“যদি এই সবগুলি খেজুর খাওয়া পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকি তবে তা হবে একটি দীর্ঘ জীবন ।”
(বর্ণনাকারী বলেন):
:“সে তার সাথে যত খেজুর ছিল সব ফেলে দিল এবং শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিহত হয়ে গেল” (বুখারীঃ ৪০৪৬, মুসলিমঃ ১৮৯৯)।

আরো একটি হাদিসে পাওয়া যায় যেটি জিহাদীরা দলিল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে-
মুয়া’জ ইবন ‘আফরা (রাঃ) আল্লাহর রাসূলকে (সঃ) জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ
: “কি করলে আল্লাহ তার বান্দাদের ব্যাপারে হাসেন ?”
তিনি বললেন,
: “বান্দার নিজেকে বর্ম ব্যতিতই শত্রুদলের মধ্যে নিমগ্ন করা ।”
মুয়া’জ তখন নিজের বর্ম খুলে ফেললেন এবং নিহত হওয়া পর্যন্ত শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন”

এটা একজন মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার সবচেয়ে বড় প্রণোদনা। এটা পরিষ্কার আত্মহত্যা! লোহার বর্ম খুলে যুদ্ধ করতে যাওয়া মানে তীর আর বল্লমের ঘায়ে প্রাণ হারানোর শতভাগ নিশ্চয়তা। নবী বলছেন, এইরকম জীবনের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করলেই আল্লাহ খুশি হোন!

কুরআন বলেঃ
'' মুমিনদের জীবন-সম্পদ আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন।'' (সুরা তওবা-১১১)

এবং যারা এসব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের পরিণত কি হবে সেটা বলছেন অন্যত্রঃ

“কিন্তু যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, নিশ্চিতভাবেই, তার জন্য আছে কঠিন এক জীবন, আর তাকে পুনরুত্থান দিবসে উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়” (২০:১২৪)

মারামারি-কাটাকাটি, অন্যের পাকা ধানে মই দিতে সবাই রাজি নয়। জিহাদে সবাই আগ্রহী ছিল না বলে কোরআনে আল্লাহ বলেনঃ

'' তোমাদেরকে যুদ্ধ করার হুকুম দেয়া হয়েছে এবং অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। হতে পারে তোমরা এমন কিছুকে অপছন্দ কর যা আসলে তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার এমনও হতে পারে কোন জিনিসকে তোমরা পছন্দ করো অথচ, তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ সবকিছু জানেন, কিন্তু তোমরা জানো না।'' (সুরা বাকারা: ২১৬)

অসংখ্য হাদিস ও তাফসিরে বর্ণনা আছে রসূলের বর্ণনা শুনে তৎক্ষণাৎ সাহাবীরা নিজের জীবন জিহাদের ময়দানে বিলিয়ে দিয়েছেন বেহেস্তে যাবার জন্য। এবং শহীদের মৃত্যু কষ্টও হবে অন্যদের চেয়ে অতি সামান্য, পিঁপড়ার কামড়ের চেয়ে অধিক নয়!

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
''শাহাদাত অর্জনকারী ব্যক্তি মৃত্যুর কোন কষ্ট অনুভব করে না, তবে তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি পিঁপড়ের কামড়ে যতটুকু কষ্ট অনুভব করে শুধুমাত্র ততটুকুই অনুভব করে।'' (তিরমিযীঃ ১৬৬৮, মিশকাতঃ ৩৮৩৬)

এছাড়া ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেনঃ
“চার মাজহাবের আলেমরা ঘোষণা করেছেন যে মুশরিকদের দলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া জায়েজ যদিও এটাই সম্ভাব্য হয় যে তারা তাকে মেরে ফেলবে, যদি এতে মুসলিমদের উপকার থাকে।”

এটুকুই আজ। তবে,
এতটুকু পড়ে এতক্ষণে আপনাদের উপলব্ধি কি হয়েছে অনুমান করতে পারছি।
অনেকেই এখন বলতে শুরু করতে পারেন, ইসলামের উদার ও লিবারেল বানীগুলোর প্রচার দরকার যাতে কেউ বিপথগামী না হয়।

অথচ যারা এসব বলেন তারা কি কোনদিন বলেছেন কুরআন ও হাদিসের এই দলিলগুলো নিষিদ্ধ করা হোক?! যাতে আর কেউ আত্মঘাতি না হয়।

কেমন করে কুরআন ও হাদিসে এইসব সন্ত্রাসবাদকে জিইয়ে রেখে উদার বাণীগুলো প্রতিষ্ঠা করবেন?
একজন তরুণ যে আল্লাহ ও রসূলের উপর অন্ধভাবে বিশ্বাসী সে কি চাইবে না আল্লাহর রাস্তায় এভাবে জীবন বিলিয়ে দিয়ে জান্নাত লাভ করতে?
লাখো তরুণ আজ হুজি, জে এম বি, আনসারুল্লাহ, আইসিস, আল ক্বায়েদা সদস্য হচ্ছে ইসলামের প্রতি তাদের আনুগ্যত্যের দরুণ। তারা ইসলামকে জানতে গিয়ে দেখছে কুরআন ও হাদিস তাদেরকে মরতে বলছে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও এবং তা আল্লাহর কাছে অতিপ্রিয়!

এইসব তরুণদের কিভাবে ফেরাবেন হাজার হাজার সহি দলিলকে সামনে রেখে বর্তমান?!

উপরের যে হাদিসগুলো ও কুরআনের তাফসির আমরা পাঠ করলাম, সেগুলো পড়েই একজন আলেম তার শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। একজন ‘ফরিদ উদ্দিন মাসউদ’ ও এইসব পড়েই শোলাকিয়া'র ঈদ জামাতের ইমামতির যোগ্যতা লাভ করেন।

আসলে প্রয়োজন, কুরআন ও হাদিসের এইসব আয়াত ও দলিলগুলোর বিলুপ্তি। সম্পূর্ণ বিলুপ্তি।

এবং সেটা যতো দ্রুত করা সম্ভব হবে ততোই আমাদের জন্য মঙ্গল। এবং এটা করা গেলেই সমাজ, জাতী এবং গোঠা পৃথিবির জন্য বয়ে আনবে কল্যান। আজকের নবজাতকের জন্য সুন্দর আগামী উপহার দেবার শুরু হোক এখান থেকেই। আসুন উপড়ে ফেলি মৌলবাদ এবং চরমপন্তার শিকড়!

আর এটা করা সম্ভব হবে , ‘শিবির লাইব্রেরি’ কিংবা ‘তিতুমির মিডিয়া’ যে দৃষ্টিভঙ্গিতে এসবকে তুলে ধরে, আমরা সেই একই দলিলকে যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরি ভিন্ন সুরে অন্য তালে।
তাহলেই সম্ভব জিহাদ থেকে একজন তরুণকে দূরে রাখা। আমাদের বিশ্লেষণই তাকে ভিন্নভাবে ভাবতে শেখাবে।

অহেতুত ‘উদার ইসলামের’ পিছনে ছোটা হবে ছায়ার পিছনে ছোটার মতই পন্ডশ্রম…।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:২৪
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×