ভিখারিকে টাকা দিতে নিষেধ করেছে চায়নার চিংকুইং মিউনিসিপালিটি কতর্ৃপক্ষ। ভিখারিদের ভিক্ষায় নিরূৎসাহিত করার পরামর্শও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিছু কিছু ভিখারি চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি আয় করেন। স্থানীয় এক হাজার ভিখারির মধ্যে জরিপ চালিয়েছিল চিংকুইং স্যালভেশন সটেশন। ভিখারিদের সহায়তার জন্য এ সটেশন প্রতিষ্ঠা করে চায়নার স্থানীয় সরকার। দেখা গেছে, সটেশনের জরিপে অংশ নেয়া 80 শতাংশ ভিখারিই ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে চিংকুইংয়ের প্রধান স্কোয়ার, বাণিজ্যিক এলাকাসহ অবকাশযাপন কেন্দ্রগুলোতেই পেশাজীবী ভিখারিদের বেশি দেখা যায়। কিছু কিছু ভিখারি চাকরিজীবীদের চেয়েও বেশি আয় করে বলে আবিষকৃত হয় ওই জরিপে। এদের মধ্যে ডজনখানেক ভিখারির মাসিক আয় সাড়ে 12শ' ডলারের বেশি। ভিখারিদের 80 শতাংশই আবার ভিক্ষার পাশাপাশি স্যালভেশন সটেশনে সহায়তা নিতে পছন্দ করেন। বেশিরভাগ ভিখারির পরিবারই দরিদ্র নয়। তারা ভিক্ষাকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। কারণ এ পেশার আয় অপেক্ষাকৃত বেশি। কখনো কখনো দেখা গেছে পুরো পরিবারই ভিক্ষায় নেমে পড়ে। যে ভিখারির কপাল ভালো সে দিনে 37-50 ডলারও আয় করে ফেলতে পারে। এ আয় চিংকুইংয়ের সাধারণ একজন চাকরিজীবীর দৈনিক আয়ের চেয়ে ছয় গুণ বেশি। কিছু ভিখারির জীবনযাত্রার মান চাকরিজীবীর চেয়েও ভালো। তবু তারা ভিক্ষা করা ছাড়বে না।
নিন্দিত পেশা ভিক্ষুকদের নিয়ে আমাদের সরকারের তেমন মাথা ব্যথা নাই। আর এনজিওবাজরা বিদেশ যেয়ে যেভাবে বাংলাদেশের অপমানজনক কথা বলে, ভিত্তিহীন ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে ডলার ভিক্ষায় লিপ্ত রয়েছে তাতে বাংলাদেশকে ভিক্ষুক দূণর্ামের হাত থেকে ঠেকানো বেশ দূরূহ।
চায়না সম্পর্কিত তথ্যটি যেখানে পেয়েছিঃ !@!7516
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০