১.
'স্বপ্ন' হচ্ছে ভয়ানক সুন্দর এক দ্বিতীয় পৃথিবীর নাম…
যেখানে দুঃখ অস্তিত্তহীন...।
নভেম্বর ২৬।
২.
সব গুছিয়ে নাও,
বৃত্ত ভেঙে চলো যাই…
তাকিয়ে থাকি,
এতোটা অকপটে বলে পেললে...
অবাক হই!
মগ্নতার আরো গহীনে নেমে যাই আমি...
ঘুম ভেঙে যায়...।
নীরবতা,
কেউ নেই,
ব্যবধান এতই গভির যে শব্দ বেরয় না,দীর্ঘশ্বাস...
নভেম্বর ৩০।
৩.
সেই কবেকার কথা,
দূরে বসে চেয়ে থাকা,
দুঃখ গুলো চেপে রাখা,
অযথাই হেসে থাকা,
ভুল পথে ভুলে হাঁটা...
একদিন কিছুক্ষণ,
জীবনের স্বাদ খোজা...
নভেম্বর ১৮।
৪.
সেই লোকটা,
তার বুকটায়,
ব্যথা উপচায়…
অগ্নিদগ্ধ,
সব স্তব্দ,
অবরুদ্ধ...
আগুনে পুড়েছে,
সব ক্ষয়েছে,
চোখ বুঝেছে,
যমদূত হেসেছে...
নভেম্বর ১১।
৫.
দুঃখ গুলোও সতন্ত্র।যেমন সতন্ত্র দেহ,চিন্তা,অনুভূতি…।
তবে মানুষের কি অদ্ভুত ক্ষমতা দেখো সে সুখ গুলো কে চারপাশে চড়িয়ে দিতে পারে।পড়ে থাকে দুঃখ কয়েক টুকরো...
নভেম্বর ০৪।
৬.
ব্যক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না,কেবল 'সে'-ই ভেতর থেকে নিজেকে জানতে পারে...।
তবে কে কতটুকু নিজেকে জানলো,সেটাই 'প্রশ্ন'?
অক্টোবর ৩০।
৭.
তাপমাত্রার তিব্রতায়,
বন্ধ করে রাখা চোখের পাতা ভিজে ভিজে উঠে...।
পাশে বসা মেয়েটির,
তাকিয়ে থাকা চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ে ঠোঁটে...।
অক্টোবর ১৯।
৮.
অষ্টাদশী তরুণ ধোঁয়া উড়ায়,
আজন্ম অন্ধ লোকটি করুণা কুড়ায়।
রিকশার প্যডেলে সংসারের টান,
বাসের ভিড়ে শিক্ষিত চাকরের ওষ্ঠাগতপ্রাণ...।
অক্টোবর ০৪।
৯.
ব্যবধান এইটুকুই--
বর্ণ আর অর্থের…
সপ্ন আর বিত্তের…
স্বার্থ আর চিত্তে...
সেপ্টেম্বর ২৬।
১০.
প্রথমে-বাঁচতে শিখো…
বুঝতে শিখো-তোমাকে কেনো বাঁচতে হবে...
সেপ্টেম্বর ১৮।
১১.
কংক্রিটের শহরে আজ অন্ধকার নামতে ভয় পায়...
সেপ্টেম্বর ১৮।
১২.
অনুভূতিতে লুকিয়ে কানামাছি,
বিষাদের অভয়ারণ্যে অশ্রু,
হঠাৎ করে হেসে ফেলা ছেলেটাও বুঝতে শেখে- সে বেঁচে নেই,তার কেউ নেই…
এই পথে সে একা।
সেপ্টেম্বর ১৪।
১৩.
কবিতা লেখা ছেড়া পাতাগুলোর শেষ আশ্রয়স্থল ঐ ওয়াস্ট পেপার বাক্সটি...সদ্যজন্মানো কবিতাগুলোকে খুন হতে দেখে দেখে সে আজ ক্লান্ত খুব...।
সেপ্টেম্বর ১৪।
১৪.
নবজাতক শিশুর অশ্রুহীন চিৎকারের ভাষাটা কেউই বুঝতে পারেনা...
শুধু চাপা একটু হাসি প্রতিপলিত হয় চারপাশের মানুষগুলোর মাঝে…
কোনো কোনো শিশুর কপালে সেই হাসিটুকুও জুটে না…
জুলাই ১৪।
১৫.
সুখ-দুঃখ আজ মুহূর্তময়… অনেক সময় ধরে যেমনি সুখে থাকা যায় না… তেমনি দুঃখ ও দীর্ঘস্থায়ী নয়…
জুলাই ১০।
১৬.
ধোঁয়ার কুন্ড্লীতে দুঃখ কণা ওড়ে,
চশমার কাঁচ বেয়ে জ্বল কণা গড়িয়ে পড়ে,আনায়েসে...।
হাত ঘড়িতে বেলা অনেক হলো…
বুক পকেটের মিট লজেন্সটি মুখে দিয়ে, হেটে চলা.…
বৃষ্টি আজ নাই থামুক...আজ নাই থামুক।
জুলাই ০৪।
১৭.
মাঝে মাঝে শব্দের ওপর অতি মাত্রায় মন খারাপ হয়...
অনুভুতি প্রকাশের জন্য শব্দের অপ্রতুল্যতা খুব বেশি অনুভব করি...।
এর কারন :- হয়তো আমার শাব্দিক জ্ঞান ক্ষুদ্র নয়তো অনুভূতি প্রকাশের জন্য যথার্থ শব্দ আদৌ আবিষ্কার হয় নি...।।
জুন ০৬।
১৮.
বৃষ্টিময় রাতে ঘুমোতে বেশ লাগে…অনেক্ִটা প্রশান্তি আর সুখোময় ঘুম…অন্তত যারা নিজের ঘরে ঘুমোয়…
কিন্তু যারা রাস্তার ধারে ঘুমায়…বৃষ্টির জল আর তাদের চোখের পানি মিশে একাকার…!!!
মে ০৫।
১৯.
অন্ধকারের রূপ দেখি…
কিছু খুজে নাপেয়ে আমি হেটে চলি…বাতাস আমাকে মাতাল করে তোলে…
আমি হেটে যাই…তার্ পরো খুজ্ִতে থাকি…না পাওয়ার দুখঃও আমায় ভাবিয়ে তোলেনা…!!!
মে ০৩।
২০.
বৃষ্টি এতো জোরে এসোনা,দিওনা দু চোখ ভিঝিয়ে…
বৃষ্টি আর বজ্রপাতে ঘুম ভাংলো…কংক্রিটের শহরে প্রকৃতির এক টুক রো বৈশাখীয় উপহার..…!
এপ্রিল ০৭
২১.
কোনো এক নক্ষত্রের রাতে,
সারা বাড়ি মাতিয়ে আমি এলাম,
ঝোনাকিদের উপচে পড়া ভিড়,
অপেক্ষায় ছিলো বাড়ির উঠোনে,
বারান্দার এক কোণে দাড়ানো বাবার মনে ছিলো উচ্ছাস,
তিব্র ব্যথার পরেও মায়ের স্নেহ ভরা ভালোবাসার গাঢ় নিঃশ্বাস...
সেই প্রথম,
এই অবুঝ মনে ভালোবাসা শিখিয়ে দেয় আমার মা...
বুঝলাম,
বিশাল এক পাঠশালায় আমার অস্তিত্ত্ব,
আর মৃত্যুর পথে আমার যাত্রা...নিঃসঙ্গ যাত্রা।
নভেম্বর ১৪।
২২.
শূণ্যতা.
* বস্তুত,শূণ্যতা ছাড়া সৃষ্টিশীলতা অসম্পূর্ণ…
* শূণ্যতার চাদর গায়ে দিয়ে অন্ধকার অন্ধকারের পথে পথে হাঁটে...
* শূণ্য মানুষদের হৃদয় একটুখানি আদুরে কথায় গলে যায়…
নভেম্বর ৯।
২৩.
খাঁচায় বন্ধি চড়ুইটি ডানা ঝাপটায়...
মৃদু হাসি,মায়া হয় না… হিংসে হয়...
চড়ুই পাখিটির পুড়ে মরে যাবার ভয় নেই...
বাহিরে বের হই,হাঁটি…
লাশের বুকে পা পেলে ক্ষমতায় চড়ে বসবে কেউ হয়তো…
আমার ওসব ভেবে লাভ কি!!!
টঙের দোকানে ঢুকি,চা খাবো বলে। পকেটে দোয়েল পাখি অঙ্কিত ২ টাকার দুটি নোট...হেসে উঠি...
--মামা,আধ পেয়ালা চা হবে?
ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩
২০১৩ এর (আনাড়ির) হৃদয় বৃত্তান্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১১